ভারতের শ্রদ্ধা ওয়াকারের ঘটনা মানুষের স্মৃতিতে এখনও তরতাজা। এরই মধ্যে আরও এক বর্বরোচিত ঘটনা ঘটল দেশটির ঝাড়ঘণ্ড প্রদেশে। এবার ২২ বছরের আদিবাসী তরুণীকে টুকরো টুকরো করেছে তার স্বামী। এখনও পর্যন্ত সেই দেহের ১২ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সাহেবগঞ্জের একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছিলেন নিহত তরুণীর নাম রুবিকা পাহাড়ি। তার স্বামী অভিযুক্ত দিলদার আনসারিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। রুবিকার দেহ ১৮ টুকরো করে আনসারি। তারমধ্যে দেহের ১৮টি টুকরো উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিস। তার দেহের বাকি টুকরোগুলো খুঁজছে পুলিস।
জানা গেছে, দু-বছর ধরে লিভ ইনে ছিলেন রুবিকা ও আনসারি। গ্রেপ্তার এড়াতে তরুণীকে খুন করে টুকরো করার পর আনসারি পুলিস স্টেশনে আসে নিখোঁজ মামলা করতে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় সাঁওতালি মোমিন তলার একটি পুরনো বাড়ি থেকে তরুণীর দেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তরুণী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এতদিন একসঙ্গে থাকছিল।
ডিআইজি সুদর্শন প্রসাদ মণ্ডল বলেন, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে নাকি ওই তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন দিলদার আনসারি। রুবিকা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দিলদারের আরও একটি স্ত্রী রয়েছে। হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে তাদের ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে। এতে রুবিকাকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে দিলদার। তদন্তে তার স্বামীর জড়িত থাকার প্রমাণও মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে রুবিরাকে ১৮ টুকরো করেছে সে। দিলদার ছাড়া আর কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা তার তদন্ত চলছে। বোরিও সানথালি এলাকায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণের পিছনে মানুষের দেহের একটি অংশ রয়েছে। এরপরই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্ত দিলদার আনসারির মামার কাছ থেকে দুটি ধারালো অস্ত্র পেয়েছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত তরুণীর স্বামী বলেই মনে করছে পুলিশ।