আর্কাইভ থেকে জাতীয়

শুধু আমিই নই, বিচারকরাও গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা পাননি : প্রধানমন্ত্রী

শুধু আমিই নই, বিচারকরাও গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা পাননি : প্রধানমন্ত্রী
আমিই যে শুধু গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছি তা নয়, আমাদের বিচারকরাও এ থেকে রক্ষা পাননি। এ দেশে আদালতে বোমা মেরে বিচারক হত্যা করা হয়েছে, আইনজীবীকেও হত্যা করা হয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-বিএনপি যখন বিরোধী দলে তখন ঝালকাঠি ও গাজীপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমাবাজি সম্পর্কে আপনারা জানেন। সেই ঘটনার পর থেকে আমরা বিচারকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাইবোন মারা গেলেন, আর আমি বিচার চাইতে পারবো না। অথচ তাদেরই অনেকে বিচারের ধারক-বাহক বলে। এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যেন আর না পড়ে। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) এদেশের মানুষের জন্য এতো ত্যাগ শিকার করলেন অথচ তাকেই হত্যা করা হলো। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে প্রকৃত পক্ষে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যাকারীদের বিচার যাতে না হয় সেই মার্শাল ল দিয়ে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। অর্ডিন্যান্স জারি করে খুনিদের বিচারের হাত থেকে শুধু রেহাই দিয়েছিল তাই না, বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি বিচার চেয়েছিলাম কিন্তু পাইনি। আমার অধিকার ছিল না মামলা করার। আমি চেষ্টা করেছি। কারণ, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। আমরা ২১ বছর পর সরকার গঠন করি। সরকার গঠন করার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আমরা উদ্যোগ নিই। এই অধ্যাদেশ যাতে বাতিল না হয় বিরোধী দল সব সময় সক্রিয় ছিল। সরকারপ্রধান বলেন, দেশে আইনের শাসন থাকবে। মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। আমাদের মতো কেউ যেন আর বিচারহীনতার কষ্ট না পায়। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সবক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে যেন অনলাইনে কাজ করতে পারি। যাতে করে কোনো অপচয় না হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা ছিল সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীনভাবে চলবে। তাই তার আর্থিক ব্যবস্থাপনা যেটা আগে ছিল সরকারপ্রধানের হাতে, সেটা সম্পূর্ণভাবে সুপ্রিমকোর্টের হাতে হস্তান্তর করি। আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিই। বিধিমালা প্রণয়নের ব্যবস্থা করি। স্থায়ী আইন কমিশন গঠন করি। জুডিশিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে নেই এটা খুব অবাককাণ্ড! আমি কিন্তু সেটাও তৈরি করে দিয়েছিলাম। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক প্রমুখ। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন থাকবে। মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। আমাদের মতো কেউ যেন আর বিচারহীনতার কষ্ট না পায়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শুধু | আমিই | নই | বিচারকরাও | গ্রেনেড | হামলা | রক্ষা | পাননি | | প্রধানমন্ত্রী