আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

চাকরী দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

চাকরী দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ কেরামতিয়া আলিম মাদ্রাসার আশরাফুল ইসলাম  নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে চাকরী দেয়ার নামে প্রতারণার করার অভিযোগ উঠেছে। গেলো বুধবার (২২ ডিসেম্বর) গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ দেন। রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভুক্তভোগী নারী আদুরীর অভিযোগ রাখালবুরুজ কেরামতিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের শিল্পপাড়ার নিজ বাসায় ‘ইংলিশ কোচিং হোম’ নামে ২০০১ সালে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে প্রতারণা বাণিজ্যে নেমে পড়েন। প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি কোচিংয়ের নাম করে বিভিন্ন স্থানে আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। এরপর প্রায় সাড়ে ছয় হাজার টাকা করে প্রতি চাকুরী প্রত্যাশীর কাছ থেকে নিয়ে কোচিংয়ে ভর্তি করান। ভর্তিকৃত চাকুরী প্রত্যাশী যাদের অধিকাংশই নারী তাদের কাছে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক পদে চাকরী পেতে ঘুষ দিতে হবে এমন প্রচারণা চালিয়ে তাদের ফাঁদে ফেলেন। এভাবে অনেকেই চাকরীর আশায় টাকা দেন। অভিযোগকারী আদুরী খাতুন বলেন, আশরাফুল ইসলাম চাকরীর জন্য ঘুষ দিতে হবে বলে আমার কাছ থেকে সত্তর হাজার টাকা নেন চার বছর আগে।কিন্তু চাকরী না হওয়ায় আমি টাকা ফেরত চাইলে তিনি তালবাহানাসহ দুর্ব্যবহার করতে থাকেন।একবার টাকা ফেরত দিবার কথা বলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেকও দেন তিনি।কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে জানা যায় তার ব্যাংক একাউন্ট বহু আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। পরে আশরাফুল তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করেন যে, ১ ডিসেম্বর সমস্ত টাকা ফেরত দিবেন।কিন্তু তিনি আজ অবধি টাকা পরিশোধ করেননি।তবে আশরাফুল ইসলাম ৬০ হাজার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন। এদিকে রাখালবুরুজ কেরামতিয়া আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মাদ খায়রুল বাশার জানান,আশরাফুল ইসলাম অত্র প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি শিক্ষক। চাকরি দেওয়ার নাম করে এ রকম অনেকের নিকট থেকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিবন্ধনসহ চাকরী দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন।তাদের চাপের মুখে তিনি দির্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাতে আসেন না। ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে মাদ্রাসায় আসার জন্য চাপ দেওয়া হলে চাকরী ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি কমিটিতে আলোচনা প্রক্রিয়াধীন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম পারভেজ বৃহস্পতিবার বিকালে মোবাইল ফোনে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চাকরী | দেয়ার | নামে | প্রতারণার | অভিযোগ | শিক্ষকের | বিরুদ্ধে