৮-এর ঘরে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। আজ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিষয়টি জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। বর্তমানে এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। আজ শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে তাপমাত্রা কমার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন থেকেই বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বইতে থাকে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এ হাওয়ায় নেমে আসে শীত। গেলো তিনদিন ভোর থেকে বেলা অবধি ঘন কুয়াশা থাকলেও আজ ভোর থেকে কুয়াশা না থাকায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।
কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।
চা-শ্রমিক সানোয়ার ও হুমায়ুন জানান, সকালে চা-বাগানে কাজ করতে গেলে চা-পাতা বরফের মতো লাগে। হাত-পা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে।
কদবানু, জমিলাসহ কয়েকজন বলেন, আমরা ফজরের আজানের পর পরই ঘুম থেকে উঠি। কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। সব বরফের মতো লাগে। তারপরও পেটের দায়ে পাথরের কাজে যেতে হয়।
এদিকে শীতের তাপমাত্রা ওঠানামা করার কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।