আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভ্যাকসিন জালিয়াতির কবলে মিমি

ভ্যাকসিন জালিয়াতির কবলে মিমি

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ভ্যাকসিন জালিয়াতির কবলে পড়েছেন তিনি। নিজেকে আইএস অফিসার পরিচয় দিয়ে মিমির সঙ্গে প্রতারণা করেন এক যুবক। পরে এ ঘটনা পুলিশকেও জানান নায়িকা।  

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের নিউ মার্কেট এলাকার একটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে কোভিড ভ্যাকসিন নেন মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই এই টিকাদান কেন্দ্রটি চলছিলো।

এ প্রসঙ্গে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিমি জানান, ‘সম্পূর্ণ বিষয়টা প্রমোট করতে আমি পৌঁছেছিলাম, ওই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে। এমনকি নিজেও সেখান থেকে ভ্যাকসিন নিই। কিন্তু তারপর থেকেই ফোনে কোনো মেসেজ না আসায় আমার খটকা লাগে।  সার্টিফিকেট চাইলে তারা জানায় বাড়িতে পৌঁছে যাবে কিন্তু আসেনি। পরে অফিসের লোক গিয়ে খোঁজ করায় বলে তিন চারদিন সময় লাগবে। এরপরই বুঝি নিশ্চয় বিষয়টার মধ্যে অন্য কোনও ব্যাপার আছে।’

এরপর মিমি ওই ক্যাম্প থেকে টিকা নেয়া অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে পারেন তারাও একই পরিস্থিতির শিকার। এরপরই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকাকরণ প্রক্রিয়া থামিয়ে দেন মিমি।

জানা গেছে, ওই ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজক দেবাঞ্জন দেব।  যিনি নিজেকে আইএস অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। মিমির অভিযোগ খতিয়ে দেখে দেবাঞ্জন দেব নামের ওই ব্যক্তিকে এরইমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুরসভার নাম ভাঙিয়ে টিকাকরণ ক্যাম্প চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ, ব্যবহার করা হচ্ছে কেএমসির লোগো ব্যবহৃত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। উদ্ধার করা হয়েছে একটি জাল কার্ডও। ওই কার্ডে কলকাতা পৌর কমিশনার বিনোদ কুমারের সাক্ষর জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। 
 
প্রসাশনকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই চলছিল এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প, কোথা থেকে এল এই ক্যাম্পের টিকা? ওই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আদৌও আসল নাকি জাল? তা পরীক্ষা করতে দেখতে ভ্যাকসিন বাজেয়াপ্ত করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা পুরসভার কাছে কোনও রেকর্ড নেই। তাই ভ্যাকসিন জাল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। 
 
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভ্যাকসিন | জালিয়াতির | কবলে | মিমি