নাওগাঁর সাপাহার উপজেলার উত্তরপাতাড়ী গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজার স্ত্রী সুমির (১৭) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সেলিম রেজা। এনিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে।
প্রায় ৯মাস আগে সেলিম পত্নীতলা উপজেলার দিবর গ্রামের সুমিকে বিয়ে করে। এরপরই সেলিম বিষ কোম্পানী (সেট) চাকুরীর সুবাধে স্ত্রী সুমি খাতুনকে গ্রামের বাড়ীতে রেখে সে উপজেলা সদরের সৌদি মসজিদ সংলগ্ন মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকত।
স্থানীয়রা ও সুমির বাবা জানান, মঙ্গলবার (২২ জুন) তাদের এক আত্নীয়ের মৃত্যু হলে মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ী হতে মৃত আত্নীয়ের বাড়ী নিয়ে যায় সুমির বাবা।
তারা জানান, বুধবার (২৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমিকে জামাইয়ের বাড়ী পৌঁছে দেয়ার জন্য সাপাহার সদরের জিরো পয়েন্টে নিয়ে আসে। এসময়, সেলিম সুমিকে নিয়ে মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে উঠে। সন্ধ্যায় সেলিম তার শশুরকে মোবাইলে ফোন করে জানায়, ছাত্রাবাসে গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে সুমি।
খবর পেয়ে তার শশুরের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে কৌশলে সেলিম সেখান থেকে সটকে পড়ে। এরপর খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সাপাহার থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল হতে সুমির বাম হাত সুতলি দড়ি দিয়ে বাধা এবং গলায় গামছা পেছানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাত ১০টার দিকে নওগাঁ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম এ, মামুন খান চিসতি (প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান (ক্রাইম) এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাপাহার সার্কেল বিনয় কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে সোমবার (২৪জুন) সকালে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের শরীরের বিভিন্ন আলামত দেখে এবিষয়ে থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে।