আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা ফেরাতে মোদির কাছে স্থানীয় নেতাদের দাবি

জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা ফেরাতে মোদির কাছে স্থানীয় নেতাদের দাবি

যথা সময়ে কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আশ্বাস দেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, বৃহস্পতিবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন ঘণ্টার বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মূলধারার আটটি দলের ১৪ নেতা। বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কাশ্মীরের উন্নয়নে সবার সহযোগীতা চান মোদী। 

বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে সরব হন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। সরব হয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। আবারও ৩৭০ ধারা কার্যকর করে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান তারা।

সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ওমর আবদুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট মানেন না তারা। তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসের বন্ধন ভেঙেছে। এটা এখন কেন্দ্রের দায়িত্বে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচিত সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে এই বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার মানি না। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। বিষয়টি নিয়ে আদালতে লড়ব।

জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে বৈঠকে দাবি করেন গোলাম নবী আজাদ। ওই কথা শুনে কোন প্রতিক্রিয়া দেননি প্রধানমন্ত্রী।

পাশাপাশি ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, যে সিদ্ধান্তগুলো কাশ্মীরের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে সেগুলো ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। জম্মু ও কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া উচিত। জম্মু ও কাশ্মীরের উপর যে ডিলিমিটেশন আরোপ করা হয়েছে, আমরা আগেও বলেছি এই ধরনের ডিলিমিটেশনের কোন দরকার নেই। তারপরও তা আরোপ করা হল। আসামেও করা হয়। কিন্তু আসামের ডিলিমিটেশন তুলে নিয়ে সেখানে নির্বাচন করানো হল। তাহলে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আরোপিত থাকছে কেন?

এদিকে বৈঠক শেষে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ। তারা খুবই ক্ষুব্ধ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, যেভাবে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে তা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ মেনে নেবে না। তারা অপমানিত।

মেহবুবা মুফতি আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর আন্দোলন চালিয়ে যাবে, যাতে শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিকভাবে ৩৭০ ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা যায়। এটা আমাদের জাতিগত পরিচয়ের বিষয়। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলার জন্য সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানের সঙ্গে আবারো আলোচনা করতে হলে তা করা উচিত বলে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিধানসভা নির্বাচন, কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের অধিকার, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তিসহ পাঁচটি দাবি রেখেছেন বিরোধী দলের প্রতিনিধি গুলাম নবি আজাদ।

২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর এবারই প্রথম কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন জম্মু | ও | কাশ্মীরের | মর্যাদা | ফেরাতে | মোদির | কাছে | স্থানীয় | নেতাদের | দাবি