রাজধানীর বড় মগবাজারের ওয়ারলেস গেট এলাকায় একটি ড্রাম বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মঙ্গলবার রাতে রমনা মডেল থানায় মামলাটি করে। এতে কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ওসি বলেন, ‘মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। গতরাতে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলাটি হয়। আমরা কাজ করছি, এর সঠিক রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বড় মগবাজারের ওয়ারলেস মোড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বেশকয়েকজন আহত হন। ছয়তলা ভবনের নিচে যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে দুইটি স্কুল আছে। এর মধ্যে একটি সেন্ট ম্যারিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, অন্যটি রমনা কিডস কিন্ডারগার্টেন স্কুল। তার পাশেই মেট্রো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। স্কুলের নিচে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। সেখানে থাকা একটি ড্রাম থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের শব্দে স্কুলের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে এবং তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। এতে একজন প্রকৌশলীসহ কয়েকজন আহত হলে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।
জানা যায়, ছয়তলা ভবনটি বেশ পুরাতন। এক পাশে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় একটি স্কুল রয়েছে। আর নিচতলায় একটি ফার্মেসি ও সুপারসপ আছে। ভবনের আরেক পাশে আরেকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। আর বাকি ফ্লোরগুলো মেয়েদের হোস্টেল। বিস্ফোরণের পর পর দুটি স্কুল এবং ফার্মেসি বন্ধ করে দেয়া হয়।
ঘটনার পরপর পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা সেখানে কাজ শুরু করে। সিটিটিসি ও সিআইডি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে। এদিন ঘটনাস্থলে এসে সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিস্ফোরিত প্লাস্টিক ড্রামে আগে থেকে 'বিস্ফোরক দ্রব্য' রাখা ছিল। অসাবধানতাবশত তা ফেলে দেওয়ার কারণে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরক দ্রব্য কে রেখেছিল বা কীভাবে এখানে এসেছে সেটা উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।’
আর ডিবি প্রধান হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘ড্রামে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে অসংখ্য স্প্লিন্টার উদ্ধার করা হয়েছে।’