বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সবই ভুয়া। বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। মাত্র সূচনা করেছি আমরা, খেলা এখনো শুরু করিনি। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা শহীদ শেখ রাসেল পার্কের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল লাল কার্ড দেখাতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরল। সরকার পতন, ৫৪ দল, ২৭ ও ১০ দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, সাত দিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যর্থ।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬টি আসনে উপ-নির্বাচনে আজকের ভোট অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি ঘোমটা পরা রাজনীতি, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভয় পায়নি, উল্টো বিএনপি নিজেরাই ভয় পেয়েছে। বিএনপি ষড়যন্ত্রমূলক সমাবেশ প্রতিরোধ নয়, সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের দৈর্ঘ্য কম, প্রস্থ বেড়ে যাচ্ছে। বিএনপির আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটার দিকে যাচ্ছে। ভুয়া জোটের মাধ্যমে গঠন করা বিএনপি ভুয়া। তাদের জনগণ বিশ্বাস করে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জনগণকে বার বার ধোঁকা দিয়েছে, তাদের আর জনগণ বিশ্বাস করে না। নির্বাচনকে বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না, আগামী নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে জয় যুক্ত করে একাত্তরের ঘাতকদের বিতাড়িত করবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য সরকার ও বিরোধী দল দুটি থাকবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করে ক্ষমতা দখল করা। তারা কখনোই জনগণের ভোটের সমর্থন পাবে না। তাই আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের খেলা ১০ ডিসেম্বর পরই শেষ হয়ে গেছে, এখন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নীরব পদযাত্রা শুরু করেছে, কিন্তু মানুষ তাদের সঙ্গে নেই, তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর ও দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, মিজবাউর রহমান ভূইয়া রতন, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।