রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একই ব্যক্তির নামে দুটি আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে। যার নামে দাখিল হয়েছে তিনি মো. সাহাবুদ্দিন। পিতা মরহুম শরফুদ্দিন আনসারী। বাসা হোল্ডিং ৮৮/১ গ্রাম রাস্তা শিবরামপুর পাবনা। পোস্ট কোড ৬৬০০ পাবনা। বললেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁতে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আজকে ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুটি মনোনয়ন দাখিল হয়েছে একই ব্যক্তির নামে।
ইসি সচিব জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তার দপ্তরে দুটি আবেদন সকাল ১১ টা এবং সকাল ১১টা ৫ মিনিটে জমা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র প্রস্তাবকারীর নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের, এবং সমর্থনকারীর নাম হচ্ছে চট্টগ্রাম-৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাছান মাহমুদ।
এ দুটি আবেদন আগামীকাল (সোমবার) দুপুর একটায় হতে বাছাই করা হবে। বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর আগামীকাল প্রধান নির্বাচনী কর্তা আপনাদেরকে অবহিত করবেন।
সচিব বলেন, আগামীকাল বাছাইয়ের পরে বৈধ মনোনয়ন যেটা হবে তার নাম ঘোষণা করা হবে। আইনানুগভাবে প্রত্যাহারের শেষ তারিখে আমরা চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করব কে বাংলাদেশের পরবর্তী মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
যেহেতু একই ব্যক্তির দুটো আবেদন এবং দুটি যদি বাছাইয়ে টিকে তবে কালকেই এটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ ভোটের দিন রেখে গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাবিংশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী না থাকায় সংসদ অধিবেশন কক্ষে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবারই বৈধ মনোনয়নপত্র হওয়ার পর প্রত্যাহারের দিন চূড়ান্ত ঘোষণা করা হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, যিনি এ নির্বাচনের ‘নির্বাচনী কর্তা’।