বাংলাদেশ
বাঙালির স্বাধনীতার বীজমন্ত্রের দিন ৭ মার্চ
Published
2 years agoon
বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। এইদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে এক উত্তাল জনসমুদ্রে এ দেশের স্বাধীনতার প্রস্তুতির ডাক দেন।
আজ সেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’
ঐতিহাসিক এ ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।
একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।
ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী বিজয়ী বাঙালিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পাকিস্তানের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ১ মার্চ এই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২ ও ৩ মার্চ সারা দেশে হরতাল পালন হয়। এই পটভূমিতে ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণটি দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে সংবিধানের ১৫০ (২) অনুচ্ছেদের পঞ্চম তফশিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৩ সালে জ্যাকব এফ ফাইল্ড (Jacob F. Field) প্রকাশিত ২৫০০ বছরের বিশ্বসেরা যুদ্ধকালীন ভাষণের সংকলন উই শ্যাল ফাইট অন দ্যা বিচেস; দ্যা স্পিচ দ্যাট ইনস্পায়ার্ড হিস্টোরি (We shall Fight on the Beaches: The Speeches That Inspired History)-এ এই ভাষণ অন্যতম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ সোমবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করা হবে। দেশে দ্বিতীয়বারের মতো দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তাসনিয়া রহমান
অন্যরা যা পড়ছেন
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
শিব নারায়ণ দাশের কর্নিয়ায় পৃথিবীর আলো দেখলেন কালাম ও মশিউর
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আট জনের মৃত্যু
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
জাতীয়
‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তৃতীয় দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না’
Published
32 mins agoon
এপ্রিল ২৬, ২০২৪By
Anik Mahmudবাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না। বললেন, মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মার্টিন।
ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছেন যে, ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক। যুক্তরাষ্ট্র যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এটাই তাঁরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছেন।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে মার্টিন বলেন, ‘এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই তিনি বলছেন। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এ কথা বলছেন বলে দাবি করেন।।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের আধিপত্যবাদী আচরণ দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেয়া হচ্ছে।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।
প্রসঙ্গত, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
আই/এ
জাতীয়
‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
Published
12 hours agoon
এপ্রিল ২৫, ২০২৪‘বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে মার্কিন দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন এসব কথা বলেন।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ইস্যু এবং বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মার্কিন দূতাবাস।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ কে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে জানিয়ে মার্কিন দূতাবাসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলছে ওয়াশিংটন।’
আইপিএসের ক্ষেত্রে চীন বা রাশিয়ার মতো দেশগুলোর আধিত্যবাদী আচরণ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না।’
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কীভাবে দেখেন-এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূতাবাসের এই রাজনৈতিক কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
এপ্রসঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইপিএস অঞ্চলে বাণিজ্যিক গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘আপনি আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকান। সেখানে দেখতে পাবেন বিশ্ব বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলে। এই অঞ্চলকে ঘিরে অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে। আর একারণেই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’। গত বছরের ৩১ আগস্ট রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে।
গেলো বুধবার (২৫ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান এ নিবন্ধনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিলেন। নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গণমাধ্যমে জানান, রাজশাহী জেলায় উৎপাদিত পান এখন থেকে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’ হিসেবে পরিচিত হবে। জিআই নিবন্ধন পাওয়ার ফলে রাজশাহীর পান বাংলাদেশ তো বটেই, দেশের বাইরের অন্য পানের চেয়েও এটি উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত হবে।
এই পান এবার জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, পানের বাজারজাতকরণের এখন থেকে আরও বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। রাজশাহীর পানের পরিচিতি, সুনাম ও চাহিদা আরও বাড়বে। এর ফলে চাষিরাও পানের ভালো দাম পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, তানোর, পবা ও পুঠিয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে পানের বরজ আছে। পান চাষের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ কৃষক। গত বছর জেলায় ৭৬ হাজার ৬৭৮ টন পান উৎপাদন হয়। রাজশাহীর পান দেশের অন্য স্থানের তুলনায় মিষ্টি। তাই এর চাহিদাও বেশি। আমের জন্য রাজশাহী বিখ্যাত হলেও আর্থিক মূল্যে জেলার পানের বাজারই বড়।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে পান চাষের সম্প্রসারণের কারণে এখানে দেশের প্রথম পান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
এএম/
জাতীয়
‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তৃতীয় দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না’
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা...
‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
‘বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া...
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো রাজশাহীর মিষ্টি পান
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘রাজশাহীর মিষ্টি পান’। গত বছরের ৩১ আগস্ট রাজশাহীর মিষ্টি পানকে জিআই পণ্য হিসেবে...
১৩৭তম বন্দর দিবসে বর্ণিল আয়োজন
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হলো ১৩৭তম বন্দর দিবস। তৎকালীন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া সরকার...
বঙ্গোপসাগরে জাহাজডুবি: ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ১
নোয়াখালীর হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ১১...
হবু শিক্ষকদের হাতে আগেই পৌঁছে যায় উত্তরপত্র : ডিবি প্রধান
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার...
কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কৃষি ও শিল্প খাত দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইটি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দেশের সেবাখাতের বিকাশ হবে।...
জামিন পেলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নাশকতার পৃথক ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার পল্টন থানার চার মামলা...
‘অনুমতি মিললেই ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব’
ব্রাজিলের খামারগুলো রপ্তানির লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ পশু প্রস্তুত করা আছে। অনুমতি মিললে ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব। জানিয়েছেন...
দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছেন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক এমডিসহ ৯ জন
দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও...
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমানারি পরীক্ষা শুরু
‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তৃতীয় দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখি না’
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে
অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩
চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা
‘বাংলাদেশকে চীন, রাশিয়া বা অন্য দেশের লেন্স দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
‘বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়’
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো রাজশাহীর মিষ্টি পান
নেতানিয়াহুর জন্য আরও বেশি অপমান অপেক্ষা করছে-হামাস মুখপাত্র
ওমরাহ পালনে বড় সুখবর দিলো সৌদি আরব
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীদের নদীতে ঝাঁপ
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন চট্টগ্রামে
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- বলিউড5 days ago
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
- বাংলাদেশ7 days ago
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- বাংলাদেশ7 days ago
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
- বাংলাদেশ2 days ago
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
- আবহাওয়া6 days ago
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
- দেশজুড়ে5 days ago
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
- জাতীয়6 days ago
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
- বাংলাদেশ4 days ago
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে