Connect with us

অপরাধ

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরি, আটক ১৪ জন

Avatar of author

Published

on

সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।অভিযুক্ত আসামীরা সকলে শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া জেলে ও মাঝিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় ছেলেকে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। সুন্দরবনে বাঘ–হরিণ শিকারের সঙ্গে  যারা জড়িত, ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে দিয়েছে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

এসিএফ আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা হোক সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় বাঘ গণনার কাজ। যেটা এখনও চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভিতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে।

সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। এবং সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অপরাধ

প্রকাশ্যে সবজি বিক্রেতাকে কুপিয়ে হত্যা

Published

on

নরসিংদীর শিবপুরে প্রকাশ্যে এক সবজি বিক্রেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে এলে তার বোনের কাছ থেকে চার লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে শিবপুর উপজেলা সদর রোডে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মারুফ (২৭) শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা ছিলেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে আসেন মারুফ। এ সময় তাকে শিবপুরের সদর রোডস্থ একটি বাড়িতে আটকে রাখে সৈকতের নেতৃত্বে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা। তাকে বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী ব্যাংক থেকে ছুটে আসেন তার বোন বৃষ্টি আক্তার। এ সময় বৃষ্টির কাছ থেকে তার বাবার পেনশনের তোলা ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তার সামনেই ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারুফকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন বলেন, নিহত মারুফ নিজেও গত দু’মাস আগে একজনকে কুপিয়েছে। বয়স বেশি হলেও মারুফ কিশোরগ্যাংয়ের সদস্য বলে জানিয়েছে এলাকার লোকজন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আজকে বেলা ১১টার দিকে শিবপুরের সদর রোডের পাশে প্রতিপক্ষ সৈকত ওরফে শওকতের গ্রুপের সদস্যরা তাকে কুপিয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। তবে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি সঠিক কিনা তা জানা যায়নি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৯

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময় ২৮১ পিস ইয়াবা, ৩০ গ্রাম হেরোইন ও ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ১৫০ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

অবৈধ সম্পদের পাহাড় ইউএনওর অফিস সহকারীর, দুদকের মামলা

Published

on

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মিহির কুমার ঘোষ ও তার স্ত্রী শিল্পী রানী ঘোষের নামে ব্যক্তিগত সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খুজে পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন।  উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের নামে মামলা করেছে দুদুক ।

গেলো বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে দুদকের সমন্বিত কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে উপ সহকারী পরিচালক মো. ইমরান খান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় , ২০১৯ সালে দুদক অনুসন্ধান শেষে শিল্পী রানী ঘোষ ও তার স্বামী মিহির কুমার ঘোষের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পান। পরে  ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট শিল্পী রানীর কাছে সম্পদের তথ্য চায় দুদক।  পরবর্তীতে শিল্পী রানী সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ করে একই বছর ৯ সেপ্টেম্বর দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন ।

শিল্পী রানী দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে বলেন, তার ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮২ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।  কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৬ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক।

দুদক জানায়, গেলো ২০১০-১১ সালে শিল্পী রানীর আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই আয়বর্ষে ব্যবসা থেকে তিনি আয় দেখান ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। কিন্তু সেসময় ব্যবসার পুঁজি দেখান মাত্র ২ হাজার টাকা। এতে বুঝা যায়  যে, আয়কর নথি খোলার পূর্বে তার নামে কোন প্রকার ব্যবসা ছিল না। তার স্বামী মিহির কুমার অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ২০১০-১১ সালে ৫ তলাবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেন।

Advertisement

সম্পদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্বামীকে  অবৈধভাবে সহযোগিতার অভিযোগে শিল্পী রানীর নামে মামলা করে দুদক।

এছাড়া মিহির কুমার ঘোষ দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা হিসাব তথ্য প্রদানসহ ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭২২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করায় দুদক আইনে তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করে সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত মিহির বর্তমানে জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একই পদে  কর্মরত রয়েছেন।

জেড/এস

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত