আমদানি-রপ্তানি
১ হাজার ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
এক হাজার ৫১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক ভার্চুয়াল সভায় ক্রয় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভা শেষ হলে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ষষ্ঠ এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৭ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ৩টি এবং ক্রয়সংক্রান্ত-কমিটির অনুমোদনের জন্য ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং জ্বালানি ও খনিক সম্পদ বিভাগের ২টি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৫১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৫১২ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থই জিওবি থেকে ব্যয় হবে। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সালেহ জানাবেন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সভায় ‘র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর নির্মাণ’ প্রকল্পের ডব্লিউডি-১ লটের আওতায় র্যাব সদর দপ্তরে ১২তলা ব্যাচেলার অফিসার্স কোয়ার্টার্স, ১০তলা ফোর্স ব্যারাক এবং ৮তলা ডিএডি মেস কাম এমটি সেড নির্মাণকাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে যার মধ্যে ১টি রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কন্সট্রাকশন লিমিটেড এর নিকট থেকে ১৯২ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২৬ টাকায় বর্ণিত নির্মাণকাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্যাকেজের আওতায় ১২তলা ব্যাচেলার অফিসার্স কোয়ার্টার্স, ১০তলা ফোর্স ব্যারাক এবং ৮তলা ডিএডি মেস কাম এমটি সেড, অভ্যন্তরীণ স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিকরণ, গ্যাস সংযোগ, লিফট, পাম্প, মটর, পিএবিএক্স ইন্টারকম, অগ্নিনির্বাপন স্থাপন ইত্যাদি কাজ করা হবে।
সভায় ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের একটি লটের আওতায় সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্স এলাকায় ১টি ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণকাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মেসার্স বাংলা বিল্ডার্স লিমিটেড (বিবিএল) ও মেসার্স এল জেআই-এর কাছ থেকে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৭ টাকায় সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্স এলাকায় ১টি ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই প্যাকেজের আওতায় ১৫তলা আবাসিক ভবন, প্রতি তলায় ১০০০ বর্গ ফুট বিশিষ্ট ৮টি ইউনিট, অভ্যন্তরীণ স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিকরণ, ভূ-গর্ভস্থ জলাধার, গভীর নলকূপ, পাম্প মোটর, রাস্তা, বাউন্ডারি ওয়াল এবং অভ্যন্তরীণ আরসিসি রোড ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।
সভায় ঢাকাস্থ আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে (জোন-এ) সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০ তলা বিশিষ্ট ২টি আবাসিক ভবন নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ১টি মাত্র দরপত্র জমা পড়ে যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এর কাছ থেকে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩২ টাকায় ঢাকাস্থ আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০ তলা বিশিষ্ট ২টি আবাসিক ভবন নির্মাণকাজ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ (২০১৮ সালের সর্বশেষ সংশোধনীসহ) এর আওতায় স্পট মার্কেট হতে ষষ্ঠ এলএনজি কার্গো আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০১৯ সালের ৮ আগষ্ট সিসিইএ সভার অনুমোদনক্রমে স্পট মার্কেট হতে এলএনজি কেনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। পেট্রোবাংলা ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৬ষ্ঠ এলএনজি কার্গো সরবরাহের দরপ্রস্তাব আহবান করলে মাত্র ১টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে পিপিসির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এর কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ৯.৩১২৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৪৫ কোটি ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৩ টাকায় আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শুভ মাহফুজ
আমদানি-রপ্তানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
লোকসভার নির্বাচনের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তবে মেডিকেল ভিসা ও পচনশীল পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
শনিবার (১৮ মে) সকালে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন জানায়, ১৮ মে সকাল থেকে লোকসভা নির্বাচনের দিন ২০ মে পর্যন্ত ভ্রমণ ভিসার পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে জরুরি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোগীরা মেডিকেল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে পচনশীল পণ্যবাহী যানবাহনকে এ বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে। তবে ২১ মে সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার আবারও স্বাভাবিক হবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
আই/এ
আমদানি-রপ্তানি
হিলি বন্দর হয়ে এলো ভারতীয় পেঁয়াজ
দীর্ঘ সাড়ে পাঁচমাস পর হিলি বন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। প্রথমদিন এসেছে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। ভারতীয় এ পেঁয়াজে টনপ্রতি খরচ পড়েছে ৫৫০ ডলার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশে করে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্থলবন্দরের (উদ্ভিদ সংগনিরোধ) উপ-সহকারী ইউসুফ আলী।
ইউসুফ আলী জানান, আর এসবি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
এর আগে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গেলো ৫ মে কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করেন ব্যবসায়ীরা। আবেদনের পর ২৫ আমদানিকারককে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
আই/এ
অর্থনীতি
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আপত্তি
ইউরোপসহ নানা দেশে রপ্তানির জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশ থেকে আসা তৈরি পোশাকের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে যে, ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা বাড়তি মূল্য দিয়ে তাঁদের রপ্তানি পণ্যের জন্য জায়গা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা চাইছেন তাদের পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে ইতোমধ্যেই দুদফায় আলোচনা করেছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠনগুলি।
এদিকে বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমই এ জানায়, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের দাবি খুবই অযৌক্তিক। কারণ বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির সামান্য একটা অংশই ভারতের মাধ্যমে যায়। ফলে তাদের পণ্যের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে ‘মালামালের জট’ লাগার কথা না।
প্রসঙ্গত, গেলো ২০২৩ সাল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি বন্ধ হয়ে এটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
আই/এ
- আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট4 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- খুলনা6 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা