বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের জন্য কানাডার কাছে টিকা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/08/12/resize-600x315x1x0image-10835-1628757038.jpg)
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও হোস্ট সম্প্রদায়ের জন্য কোভ্যাক্স হিউম্যানিটারিয়ান বাফারের সহ-সভাপতি কানাডা থেকে করোনাভাইরাসের টিকা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১১ আগস্ট) কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী কারিনা গোল্ডের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে কোভ্যাক্স থেকে টিকা চান ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার মন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশ ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) থেকে রোহিঙ্গাদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। মূলত, চীন থেকে আনা সিনোফার্মের টিকা রোহিঙ্গাদের দেওয়া হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য জানিয়ে কানাডার মন্ত্রীর কাছে প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ড. মোমেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য কানাডার অব্যাহত রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে তিনি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার আইসিজে মামলায় আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে গাম্বিয়াকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
এ সময় ড. মোমেন গোল্ডকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য করা বিশেষ সুবিধার কথা তুলে ধরেন এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাসানচরে মানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কানাডার মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের উদারতার জন্য দেশটির প্রশংসা পুনর্ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু কানাডার বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকার উল্লেখ করে গোল্ড জানান, রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কিত কর্মসূচির জন্য কানাডা আগামী তিন বছরের জন্য ২৮৮ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার বরাদ্দ করেছে। তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুবিধা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে গোল্ডকে ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শিশুদের মিয়ানমারের কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার সুবিধা দিতে চায়। তিনি বলেন, এজন্য ইউএনএইচসিআর মিয়ানমার থেকে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে। যদি রাখাইন রাজ্যে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নাগরিকত্বের পথ জাতিসংঘ সেখানে আরও সম্পদ বিনিয়োগ করে বা নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে এটি বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করবে।
একইসঙ্গে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা এবং অন্যান্য অধিকারের অভাব মৌলবাদ ও চরমপন্থার দিকে পরিচালিত করতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এ সংকটের সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে দোহায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এলডিসিএস (এলডিসি-৫) জাতিসংঘ সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ও কানাডার সহ-সভাপতিত্বের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. মোমেন কানাডিয়ান সরকারকে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট করার জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য প্রবেশাধিকার বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
এ সময় ড. মোমন প্রত্যাশা করেন, কানাডায় অবস্থান করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে সেখান থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন নিশ্চিত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কানাডার মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মুক্তা মাহমুদ
আন্তর্জাতিক
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বৈঠকে বাংলাদেশসহ ছয় দেশ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/বিমসটেক-1.jpg)
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা আলোচনার জন্য মিয়ানমারে গেছেন। মিয়ানমারে জান্তা সরকারের আমলে এটি একটি বিরল ঘটনা।
শুক্রবার ( ২৬ জুলাই ) দ্য স্ট্রেইটস টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমসটেকের সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানী ইয়াঙ্গুনে গিয়েছেন বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধানরা।
শুক্রবার আলোচনা শুরুর আগে দেশগুলোর নিরাপত্তা প্রধানরা মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, মাদক নির্মূল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মানব পাচার রোধে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছে।
২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন শুরু করে। সম্প্রতি তারা রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিরোধের মুখে পড়েছে। বর্তমান সামরিক সরকার মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
গেলো ৩ বছরে ধরে মানবাধিকার সংগঠনগুলো জান্তার দমন-পীড়নের সমালোচনা করে আসার পরেও সেসব সমালোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সামরিক সরকার।
পশ্চিমা বিশ্বে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের স্বীকৃতি না থাকায় চলমান বিমসটেক সম্মেলনে তারা কোনো দূত পাঠায়নি।
জাতিসংঘও সামরিক সরকারকে মেনে নেয়নি; বরং অং সান সু চির সরকারের দূতকেই দেশটির প্রতিনিধি মনে করে জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকগুলোতেও জান্তা সরকারকে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে না।
জেডএস/
জাতীয়
ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকবে সন্ধ্যা পর্যন্ত
![ইন্টারনেট-গতি](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/ইন্টারনেট-গতি.jpg)
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসসিপিএলসি এর মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ল্যান্ড ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে এই সময়ে সি-মি-উই-৪ এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। তবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি দুঃখ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি) সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ কেবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে।
সি-মি-উই-৪ এর জন্য বিএসসিসিএল এর কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। আর সি-মি-উই-৫ এর জন্য বিএসসিসিএল এর ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সীমিত পরিসরে চালু রয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে আজ সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এসি//
জাতীয়
দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
![প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা-1.jpg)
দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।’
পরে প্রধানমন্ত্রী মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পরিদর্শন করেন এবং ১৮ জুলাই হামলার শিকার হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার বিভিন্ন অংশ দেখেন।
সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভবন দুটির ধ্বংসযজ্ঞের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন। এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গেলো ১৮ জুলাই কয়েকশ দুষ্কৃতকারী সেতু ভবনে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর করে, আগুন ধরিয়ে দেয়। অনেক যানবাহন, মোটরবাইক ভাঙচুর করে, বিভিন্ন শেড ও কক্ষ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসি//
- অপরাধ3 days ago
বিএনপি-জামায়াতের যেসব শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন
- জাতীয়15 hours ago
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- জাতীয়2 days ago
এক দিনে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- জাতীয়2 days ago
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকার ঘোষণা ছিলো: ডিবিপ্রধান
- জাতীয়2 hours ago
ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকবে সন্ধ্যা পর্যন্ত
- জাতীয়3 days ago
ছাত্র আন্দোলনের নামে শিবির-ছাত্রদল তাণ্ডব চালিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- ক্যাম্পাস22 hours ago
সেই আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো বেরোবি
- জাতীয়1 day ago
ঢাকাসহ ৪ জেলায় শুক্র ও শনিবার কারফিউ থাকবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী