Connect with us

বাংলাদেশ

সেই মিনুর ট্রাকচাপায় মৃত্যুর ঘটনা ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ তদন্তের নির্দেশ

Published

on

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুর ট্রাকচাপায় মৃত্যুর ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করতে দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং গ্রেপ্তার হওয়া মূল আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির নথিসহ দুই তদন্ত কর্মকর্তা হাজিরের পর বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো.আতোয়ার রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নির্দেশনা দেন।

আদালত দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশে বলেন, কেন সে রাত তিনটায় বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গেল। তাকে প্রক্সি দিয়ে জেল খাটানোর ঘটনায় আটকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা অথবা শুধুই আটকরাই প্রক্সির ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে জড়িত কিনা, নাকি অন্য কেউ আছে-এসব বিষয় সিরিয়াসলি তদন্ত করবেন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ইনস্ট্রাকশন নেবেন।

পরে তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য দিন রাখেন। ওই দিন এ ঘটনায় তলব করা চট্টগ্রামের আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকতে হবে।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট তাদের নথিসহ হাজির থাকতে বলেন আদালত। সে অনুযায়ী দুই তদন্ত কর্মকর্তা হাজির হন।

Advertisement

তাদের সঙ্গে যুক্ত হন চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরাও।

আদালতে মিনুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। দুই তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।

সন্তানদের ভরণপোষণের আশায় মূল আসামির পরিবর্তে কারাবরণ করতে রাজি হন মিনু। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বদলে ৩ বছর ধরে খেটেছেন কারাবাস। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তদন্ত বেরিয়ে আসে এমন অমানবিক গল্প।

চলতি বছর ৭ মে বদলি জেল খাটা চট্টগ্রামের মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। আদালতে নির্দেশে ১৬ জুন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মিনু আক্তার।

আসামি বদলে নিরাপরাধ নারীর কারাবাসের ঘটনাকে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে ঘৃণ্যতম প্রতারণা বলে মন্তব্য করেন উচ্চ আদালত।

Advertisement

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চতুর নারী কুলসুম আক্তার কুলসুমার প্রলোভনের ফাঁদে পড়েন দুই সন্তানের জননী মিনু আক্তার। দ্রুত মুক্ত করা এবং সন্তানদের ভরণপোষণের শর্তে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কুলসুমার বদলে জেলে যান তিনি।

এরপর তিন বছর জেল খাটেন মিনু। এ সময় সন্তানদের ভরণপোষণতো মেলেনি উল্টো দীর্ঘায়িত হয় তার কারাবাস। তখনই হুঁশ হয় মিনুর। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানালে শুরু হয় তদন্ত। আদালতের তদন্তে বেরিয়ে আসে পুরো ঘটনা।

ওই সময় দেশের উচ্চ আদালত মিনুকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। নিরাপরাধ মিনুকে জেল খাটানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপিসহ তিনজনকে তলব করেন আদালত।

তবে জেল থেকে মুক্তির ১৩ দিনের মাথায় ২৬ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ লিংক রোডে ট্রাকের চাপায় মৃত্যু হয় মিনু আক্তারের।

ঘটনাস্থলের সেই রাতের সিসিটিভি ভিডিও তারা খতিয়ে দেখছে। সেখানে রাস্তায় মিনুকে ‘অস্বাভাবিকভাবে’ হাঁটতে দেখা যায়। ট্রাকের নিচে চাপা পড়ার আগে সড়কে দায়িত্বরত টহল পুলিশের সদস্যরা তাকে দুইবার সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।

Advertisement

মামলার সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইল ফোনে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পোশাক শ্রমিক কোহিনুর আক্তার পারভীনকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কোহিনুর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন সহকর্মী (পোশাক শ্রমিক) কুলসুম আক্তার কুলসুমা। পরে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেয়।

২০১৭ সালে নভেম্বর তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমার পরিবর্তে মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নন বলে জানান। 

মুক্তা মাহমুদ

Advertisement

অপরাধ

পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে (আনার) খুন করার জন্য হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী  ঘাতকদের সঙ্গে পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন। আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে কলকাতা যাওয়ার পরের দিনই ঘাতকরা হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। মাত্র ২০ মিনিটেই শেষ হয় কিলিং মিশন।   এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ওই জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৬ বছর বয়সী আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় গিয়ে পূর্বপরিচিত গোপাল বিশ্বাস নামের একজনের বাসায় উঠেছিলেন। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে ওই বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার বলেছেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যা করা হয়েছে।  চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন, বাংলাদেশিরাই হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সুনিশ্চিত তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভারতের কেউ জড়িত না। অনেক তথ্য আছে, তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই বলা যাচ্ছে না। আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নেপথ্যের কারণ পরে জানাবো।’ খুনের মোটিভ জানার কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে একটি দল মোহাম্মদপুর থেকে প্রথমে আমানুল্লাহ নামে একজনকে আটক করার পরই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার জট খুলতে শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর সব তথ্য। পরে আটক করা হয় ফয়সল ওরফে জুয়েলকে। ডেকে নেওয়া হয় শিলাস্তি নামে এক যুবতীকে। এসব জানানো হয় ভারতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। দুই দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয় খুন হয়েছেন এমপি আনার।

Advertisement

ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশে সৈয়দ আমানুল্লাহ, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন নামের এক ব্যক্তির নাম এসেছে। কলকাতার নিউ টাউনে যে ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়, সেটি এই আক্তারুজ্জামানের ভাড়া করা। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামানের ছোট ভাই।

ঢাকা ও কলকাতার পুলিশ জানায়, আনোয়ারুল আজিম ১৩ মে দুপুরে গোপাল বিশ্বাসের বাসা থেকে বেরিয়ে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে যান। সেখানেই হত্যা করা হয় তাঁকে। তাঁর নিখোঁজের ঘটনায় ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস। নিখোঁজের তদন্ত করতে গিয়ে কলকাতার পুলিশ তথ্য পায়, ওই ফ্ল্যাটে সৈয়দ আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি রহমান নামের দুই ব্যক্তিও ছিলেন। এই তথ্যের সূত্র ধরে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ফয়সাল আলী ওরফে সাজি নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,  গ্রেপ্তার হওয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দ আমানুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।  একসময় চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি খুলনার ফুলতলার দামোদর ইউনিয়নে। একটি হত্যা মামলায় আমানুল্লাহ সাত বছর (১৯৯১-৯৭) ও পরে আরেকটি হত্যা মামলায়  ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জেল খাটেন।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আমানুল্লাহ নামে পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে খুনের জন্য আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের সঙ্গে তাঁর পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি হয়।

Advertisement

এদিকে, গ্রেপ্তারকৃদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে আক্তারুজ্জামান ও আনোয়ারুল আজিম পুরানো বন্ধু। আক্তারুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে। ঢাকার গুলশানে তাঁর বাসা রয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে তাঁর বাসা রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কলকাতার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় আক্তারুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন। আক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ খুঁজছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে দিল্লি হয়ে কাঠমান্ডু চলে গেছেন আক্তারুজ্জামান।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়,স্বর্ণ চোরাচালানের আন্তর্দেশীয় চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারুলকে ভারতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

এমপি আজিম হত্যা মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি  আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে অপহরণ মামলা করেছেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রোবায়েত জামান এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী।

মামলার এজাহারে যা আছে

মামলায় মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, ‘মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।

১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

Advertisement

বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।’

ভারতীয় পুলিশ কী বোলছে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার মরদেহ উদ্ধার হয়নি বলে জানি য়েছে কলকাতা পুলিশ। তিনি খুন হয়েছেন কিনা সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি বলেও তারা জানায়।

বুধবার (২২ মে) বিকেলে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)অখিলেশ চতুর্বেদী গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ গত ২০ মে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই কেসটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার একটি নির্দেশ আসে। এরপর আজ ২২ তারিখে আমাদের কাছে একটি তথ্য আসে যে, তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরে আমাদের পুলিশ এই ফ্ল্যাটটিকে শনাক্তকরণ করে। কারণ এখানেই তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে আরও তদন্ত চলছে। সিআইডি এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।’

Advertisement

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পশ্চিমবঙ্গের আইজিপি জানান, ‘এখন পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়নি। আমরা কেসের তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের কাছে যা তথ্য রয়েছে, তাতে ১৩ তারিখে তিনি এই ভবনে ঢুকেছিলেন। তবে এর আগে এসেছিলেন কি না সেটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। যদিও বিষয়টি এখনো তদন্তসাপেক্ষ।

মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তার ব্যাপারে জানতে চাইলে  অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘এটি এখনই বলা সম্ভব নয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফটোগ্রাফি সব টিমকে এই তদন্তে ইনভাইট করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেন।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের  জবাবে পশ্চিমবঙ্গের এই আইজিপি বলেন, ‘যে ফ্ল্যাটটিতে ওই সংসদ সদ্য এসে উঠেছিলেন, সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা (প্রবাসী বাংলাদেশি) আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে।’

প্রসঙ্গত,  গেলো ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার মলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসককে দেখানোর উদ্দেশে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায়় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। উল্টো দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে জানান, তাকে আর ফোন করতে হবে না। দরকার হলে তিনি তাকে (গোপাল বিশ্বাস) ফোন করবেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনোভাবেই তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছড়ায় তার বাংলাদেশের বাসায়। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপরই কোনও উপায় না দেখে গত ১৮ মে শনিবার বরানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস।

Advertisement

আনোয়ারুল আজিম আনার ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একটানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীর একটি কারখানায় অভিযান, ৬৫ হাতবোমাসহ আটক ৩

Published

on

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় একটি বোমা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬৫টি হাতবোমাসহ ৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (২২ মে) রাত ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক জানান, পূর্ব-বাড্ডার টেকপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে অবৈধ হাতবোমা ও বোমা তৈরির কারখানার খবর পাওয়ার পর বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।  পরে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পৌঁছালে অভিযান পরিচালনা করে  র‌্যাব-৩। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ৬৫টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।

আটক হওয়াদের মধ্যে একজন এর আগেও বোমা তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল বলেও তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক বলেন, চলমান উপজেলা নির্বাচনে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যেই বোমাগুলো এ কারখানায় তৈরি হচ্ছিল বলে তারা ধারণা করছেন। র‌্যাব ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।

Advertisement

এর আগে, রাজধানীর পূর্ব বাড্ডার টেকপাড়া এলাকার ওই বাড়িতে হাতবোমাসহ বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে বলে জানায় র‌্যাব। বুধবার (২২ মে) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা তখন জানায়, ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এই মুহুর্তে তাঁদের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত