Connect with us

জাতীয়

প্রতিটি উপজেলা ফায়ার স্টেশনের কাজ প্রায় শেষ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে ৪১তম ব্যাচের অফিসার্স ফাউন্ডেশন কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান তিনি। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বিসিএস নন-ক্যাডারের সুপারিশ অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের যোগ দেওয়া স্টেশন অফিসারসহ মোট ৪৪ জন অফিসারের প্রশিক্ষণ সমাপ্তি শেষে তাদের পদায়নের আগে এই সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলো। 

দীর্ঘ ১১ মাসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সব দুর্যোগে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে ৪৪ জন অফিসারের মধ্য থেকে শারীরিক যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা, শিষ্টাচার, শৃঙ্খলা, আচার-ব্যবহার, লিখিত পরীক্ষা, ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতার ভিত্তিতে তিন জনকে চৌকস নির্বাচিত করা হয়। 

১ম চৌকস নির্বাচিত হন শেখ তরিকুল ইসলাম, ২য় চৌকস হন খন্দকার মিরাজুল ও ৩য় চৌকস নির্বাচিত হন সিল্টন আহমেদ। নির্বাচিত চৌকস অফিসারদের পদক পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশে ফায়ার স্টেশন ছিল মাত্র ২০৪টি। এখন সারা দেশে চালু ফায়ার স্টেশন ৪৫৬টি। চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা হবে ৫৬৫টি ও জনবলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ১৬ হাজার।

তিনি আবারও বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী এ জনবলকে ২৫ হাজারে উন্নীত করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এখন আর আগের দমকল বাহিনী নয়। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সব দিক থেকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন বহুমাতৃক সেবাকাজে নিয়োজিত। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরকে ঢেলে সাজানোর জন্য নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও প্রতিনিয়ত দুর্যোগ-দুর্ঘটনার চিত্র পরিবর্তিত হচ্ছে। দুর্যোগ-দুর্ঘটনা আমাদের সামনে নতুন নতুন চরিত্রে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রকৃতিগতভাবে দুর্যোগপ্রবণ এ দেশে আপনাদের সবসময় দুর্যোগ প্রশমনের জন্য যেমন কাজ করতে হবে। তেমনি উদ্ভাবনী বিবেচনা শক্তি দিয়ে সংঘটিত দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতিও সীমিত রাখতে হবে।

এ সময় তিনি ৪১তম ব্যাচের অফিসার্স ফাউন্ডেশন কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী দিনে আপনারাই হবেন ফায়ার সার্ভিসের মূল চালিকা শক্তি। সুন্দর মন-মানসিকতা এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ দিয়ে এ বিভাগের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি আশা করছি।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ১০০ একর জায়গা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি’ করার জন্য। আগে এ প্রতিষ্ঠানের ১০তলা ভবনের ওপরে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজ করার সক্ষমতা ছিল না। আমরা এ সক্ষমতাকে ২০ তলায় উন্নীত করেছি। আগামী বছর ৬৮ মিটারের ৫টি টার্নটেবল লেডার এই বহরে যুক্ত হবে। তখন এ সক্ষমতা ২২তলা পর্যন্ত উন্নীত হবে।

Advertisement

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঝুঁকিভাতা দেওয়া, পূর্ণাঙ্গ রেশন ইউনিট চালু, ৩ রঙের মর্যাদাপূর্ণ কমব্যাট পোশাক প্রবর্তন, রাষ্ট্রীয় পদক সংখ্যা ও সম্মানী বৃদ্ধি এবং ফায়ারফাইটার ও অফিসারসহ ৫টি পদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাজের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মাধ্যমে আমরা বাহিনীকে বিশ্বমানের একটি সেবা বাহিনীতে পরিণত করবো।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন অধিদফতরের উপসহকারী পরিচলক আনোয়ারুল হক। প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট ছিলেন ওয়ারহাউজ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন সরকার। এ সময় পতাকাবাহী দলের নেতৃত্ব দেন জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর শামীম আহম্মেদ, ১ম কনটিনজেন্টের নেতৃত্ব দেন প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট এবং দ্বিতীয় কনটিনজেন্টটির নেতৃত্ব দেন স্টেশন অফিসার জিল্লুর রহমান।

Advertisement

চট্টগ্রাম

বিশ্বমানের টেলিকম সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: পলক

Published

on

কল ড্রপ কমিয়ে এনে বিশ্বমানের টেলিকম সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট ও ড্রাইভ টেস্ট কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। প্রতিবছর দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসে। এই পর্যটন নগরীকে বিশ্বের কাছে আরও আর্কষণীয় করে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমানের আইকনিক রেলস্টেশন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করেছেন। যার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারে হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এসব কিছু প্রধানমন্ত্রী করছেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য এবং কক্সবাজারকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য। এরফলে বিদ্যুৎ, দ্রুতগতির ইন্টারসেবা, সড়ক, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন সবকিছু কক্সবাজারে হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে এখন ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এখন একটা উদ্দেশ্য, ইন্টারনেটের গুণগত মান বৃদ্ধি করা। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট কার্যক্রমে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিটিআরসির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজ, আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানীসহ প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট শেষে প্রতিমন্ত্রী রামুতে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Published

on

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বিকেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় সড়ক পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।

জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, রাতে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে রাত যাপন করবেন। আগামীকাল শনিবার (৬ জুলাই) সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

Advertisement

দুপুর ১২টায় নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নিজ বাসভবনে জোহরের নামাজ আদায় করবেন এবং মধ্যাহ্ন ভোজ করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৪টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

নোবেল লরিয়েট সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

একটি ব্যাংকের এমডির পদ নিয়ে যত সমস্যা। নামি দামি নোবেল লরিয়েট সামান্য এমডি পদের জন্য লালায়িত কেন? এই পদে কী মধু আছে? তবে তা শ্রমিকদের মামলা আর অডিট রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মাসেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের জন্য এডিবি, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অনেক সংস্থাই এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একটি ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আটকে যায়। এই পদ নিয়েই যত সমস্যা। ব্যাংকের আইন অনুযায়ী একজন ২০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবে। ইতোমধ্যে তার বয়স ৭০ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত সময় থেকে ফেলেছেন। তাহলে সে আর ব্যাংকের এমডি পদে থাকেন কীভাবে। একজন নোবেল বিজয়ী সামান্য এমডির জন্য এত লালায়িত কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কখনো পেলাম না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই পদের জন্য বড় বড় দেশের অ্যাম্বাসেডর আমার অফিসে এসে আমার অফিসারদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে। তাদের বলে এমডির পদ না থাকলে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। এমডির পদের জন্য হিলারি ক্লিনটন, শেরি ব্লেয়ার আমাকে ফোন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এলো। আমি শুধু তাদের বলেছি- এই এমডি পদে কী মধু আছে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিলারি ক্লিনটন টেলিফোনে ২০ মিনিট ধরে অনুরোধ করেছিলেন।

Advertisement

পরে ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো মার্কিনীর কথা শুনব না, দেখাও করব না, বলে দিয়েছিলাম তাদের। এমডি পদে থাকতে পারল না বলে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে সেতুর টাকা বন্ধ করল। মালয়েশিয়া সরকার পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় করেছি এটা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশবাসী পাশে ছিল বলেই জ্ঞানীগুণীদের বাধা সত্ত্বেও সব অতিক্রম করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। সবাই না করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই জটিল স্থাপনা আমরা নির্মাণ করতে পেরেছি৷’

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত