চট্টগ্রাম
যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় যুবদলের আনন্দ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় যুবদলের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল হক ইমুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের অনন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় একটি আনন্দ মিছিল বের করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুল হক ভূঁইয়া। উপজেলা সদরের আদ্রা অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বের করা আনন্দ মিছিলটি কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যুবদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় যুবদল নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে অন্তত ১২ জন আহত হন।
কসবা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুল হক ভূঁইয়া বলেন, কসবা উপজেলা ও পৌর যুবদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।কসবা-আখাউড়া বিএনপির কাণ্ডারি কবির আহম্মেদ ভূঁইয়ার নির্দেশনা ও পরামর্শে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে আনন্দ মিছিল বের করি। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হন।
কসবা থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়া জানান, অনুমতি না নিয়ে যুবদলের পদধারীরা মিছিল বের করেন। পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে।
চট্টগ্রাম
পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় আরও ১ জনের মৃত্দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দুজন স্থানীয় বাসিন্দা ও ৮জন রোহিঙ্গা।
বুধবার (১৯ জুন) ভোরে উখিয়ার ৮, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।
নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট মোহাম্মদ হারেস (২), ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট এর ফুতুনী (৩৪),ক্যাম্প-১০ ব্লক এফ/১০ এর মোহাম্মদ কালাম, সেলিনা খাতুন, আবু মেহের, জয়নব বিবি, ক্যাম্প -৯,ব্লক বি/১৪ এর মো. হোসেন আহমেদ ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং স্থানীয় বাঙালি থাইংখালি’ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র আব্দুল করিম ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার আলী জহুরের ছেলে মো. হোসেন আহমেদ (৫০)।
নিহত আব্দুল করিমের (১২) বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির সবাই ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ভোরে হঠাৎ বাড়ির পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাহাড় ধসে এসে তাঁদের ঘরের ওপরে পড়ে। তখন তাঁরা কয়েকজন বের হতে পারলেও তাঁর ছেলে বের হতে পারেনি। মাটিচাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তারাও আহত হয়েছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে চলমান ভারী বর্ষণে উখিয়ার চারটি পৃথক ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় অন্য পাহাড়ধসের শঙ্কা থাকা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
আই/এ
চট্টগ্রাম
টেকনাফে পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ
কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বর্ষণে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে আছে টেকনাফ কলেজসহ অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত উপজেলায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে বায়ান্ন টিভিকে জানিয়েছেন টেকনাফ আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আট গ্রাম, হ্নীলা ইউনিয়নের ১২ গ্রাম, টেকনাফ পৌরসভার সাত গ্রাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছয় গ্রাম, সাবরাং ইউনিয়নের সাত গ্রাম, বাহারছড়া ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু ঘরবাড়িসহ চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় মাছের ঘেরসহ লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান জানান, গেলো ১৮ জুন রাত ৯টার পর থেকে কক্সবাজারে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আদনান চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টিতে ভূমিধস হওয়ায় আজ সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা
কক্সবাজারের রামুতে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৯ জুন) ভোরে ঈদগড় ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপরের খিল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঈদগড় ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড উপরের খিল এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেনের মেয়ে রুবি আক্তার (১৯) ও তার স্বামী নুর মোহাম্মদ (২৮)। নুর মোহাম্মদ চট্টগ্রামের রাউজান এলাকার বাসিন্দা।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাত ২-৩টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার ক্লু বের করার চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- বাংলাদেশ1 day ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক1 day ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- ক্রিকেট6 days ago
বাংলাদেশ সুপার এইটে গেলে যারা থাকবে প্রতিপক্ষ
- ক্রিকেট5 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- আইন-বিচার4 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
- বাংলাদেশ5 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
- টুকিটাকি7 days ago
আইসক্রিমে মানুষের কাটা আঙুল! খেতে গিয়ে আঁতকে উঠলেন যুবতী
- বাংলাদেশ4 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত