আমদানি-রপ্তানি
২৮ হাজার বস্তা পেঁয়াজ এসেছে মিয়ানমার থেকে
ভারতেই এবার পেঁয়াজের দাম বাড়তি। সেখানে অতিবৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে গেল দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তাই দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আনা হচ্ছে পেঁয়াজ। গেল দুই সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে প্রায় ৮ হাজার ১০০ টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, কয়েক দিনের মধ্যে মিয়ানমার থেকে আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছাবে।
টেকনাফ স্থলবন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আমিন জানান, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মিয়ানমার থেকে আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসার কথা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আমদানিকারক এম এ হাসেম, এহতেশামুল হক, শওকত আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ ফারুক, মো. জব্বার, মো. ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজনের কাছে আটটি ট্রলারে করে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে ২৮ হাজার বস্তায় ৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এই পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে।
শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানায়, ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৮ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে মিয়ানমার থেকে। এসব পেঁয়াজ ১০ থেকে ১২ জন ব্যবসায়ী আমদানি করেছেন। এর আগে মিয়ানমার থেকে সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ৯৮৮ মেট্রিক টন, আগস্ট মাসে ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে দাম বেড়ে গেলে এখনকার ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। তবে মাঝেমধ্যে মিয়ানমার থেকে কিছু কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। তিনি আশংকা করেন যে কোনো সময় মিয়ানমারেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যেতে পারে যেহেতু সে দেশ থেকে এর পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বলেন, তবে দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ব্যবসায়ীরা তেমন বেশি লাভবান হচ্ছেন না। কারণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করলেও মিয়ানমারের ক্ষেত্রে সেটি এখনো কার্যকর হয়নি।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল পণ্য তাই সারা দিন এ পণ্য ভর্তি ট্রাক বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
মুক্তা মাহমুদ
আমদানি-রপ্তানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
লোকসভার নির্বাচনের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তবে মেডিকেল ভিসা ও পচনশীল পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
শনিবার (১৮ মে) সকালে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন জানায়, ১৮ মে সকাল থেকে লোকসভা নির্বাচনের দিন ২০ মে পর্যন্ত ভ্রমণ ভিসার পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে জরুরি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোগীরা মেডিকেল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে পচনশীল পণ্যবাহী যানবাহনকে এ বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে। তবে ২১ মে সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার আবারও স্বাভাবিক হবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
আই/এ
আমদানি-রপ্তানি
হিলি বন্দর হয়ে এলো ভারতীয় পেঁয়াজ
দীর্ঘ সাড়ে পাঁচমাস পর হিলি বন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। প্রথমদিন এসেছে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। ভারতীয় এ পেঁয়াজে টনপ্রতি খরচ পড়েছে ৫৫০ ডলার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশে করে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্থলবন্দরের (উদ্ভিদ সংগনিরোধ) উপ-সহকারী ইউসুফ আলী।
ইউসুফ আলী জানান, আর এসবি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
এর আগে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গেলো ৫ মে কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করেন ব্যবসায়ীরা। আবেদনের পর ২৫ আমদানিকারককে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
আই/এ
অর্থনীতি
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আপত্তি
ইউরোপসহ নানা দেশে রপ্তানির জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশ থেকে আসা তৈরি পোশাকের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে যে, ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা বাড়তি মূল্য দিয়ে তাঁদের রপ্তানি পণ্যের জন্য জায়গা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা চাইছেন তাদের পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে ইতোমধ্যেই দুদফায় আলোচনা করেছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠনগুলি।
এদিকে বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমই এ জানায়, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের দাবি খুবই অযৌক্তিক। কারণ বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির সামান্য একটা অংশই ভারতের মাধ্যমে যায়। ফলে তাদের পণ্যের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে ‘মালামালের জট’ লাগার কথা না।
প্রসঙ্গত, গেলো ২০২৩ সাল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি বন্ধ হয়ে এটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
আই/এ
- আইন-বিচার5 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি5 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়4 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- অপরাধ5 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- শিক্ষা6 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
- শিক্ষা7 days ago
এসএসসিতে এবারের সেরা ১০ স্কুল