আইন-বিচার
৮১ বারেও দাখিল হলো না সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
৮১ বারেও দাখিল হলো না সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে ৮১ বার পেছাল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন। শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চারদিনে কোনো রহস্য উৎঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাব তদন্তভার গ্রহণ করে। গত সাত বছরেও র্যাব তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্যই উৎঘাটন করতে পারেনি।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অপর আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
আইন-বিচার
চেয়ারম্যান পদ অবৈধ, ফেরত দিতে হবে ৫ বছরের বেতন-ভাতা
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের বিগত পাঁচ বছরের দায়িত্ব অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে ভোগ করা বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তবে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ওই বছরে এসব বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ না নিয়েও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
প্রসঙ্গত, আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আই/এ
আইন-বিচার
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকার করেছেন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। এজন্য বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদলত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশেষ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এসএমসি প্লাসকে এ জরিমানা করেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।
কামরুল হাসান জানান, গেলো ১৪ মে বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন ৫টি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। একই সঙ্গে কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ ও ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এসএমসি প্লাস, ব্রুভানা, প্রাণের এক্টিভ, টারবো এবং আকিজের রিচার্জ – এগুলো ওষুধ না কি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।
এর আগে খাদ্য অদিপ্তরের এ পরিদর্শক জানিয়েছিলেন, এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস তা ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল খান। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। তাঁরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছেন।কিন্তু কোনো কোম্পানি শোনেনি।
আই/এ
আইন-বিচার
গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি-সম্পাদকসহ পাঁচ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ পাঁচ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমিতির অফিস সহকারী মো. সোহাগ বাদী হয়ে গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
বিবাদীরা হলেন, বারের সাবেক সভাপতি আহসান উদ্দিন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার, কোষাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান। এছাড়া অর্থ আত্মসাতে তাদের সহযোগী হিসেবে সাবেক লাইব্রেরি সম্পাদক মো. রওশন আলী ও সাবেক মহিলা সম্পাদক কল্পনা আক্তারকেও বিবাদী করা হয়।
গাজীপুর বারের সিনিয়র আইনজীবী জালাল উদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক বছর মেয়াদে কমিটি গঠনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত বছরের ৩ মার্চ সাবেক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু তারা পরবর্তী কমিটি গঠনের জন্য যথা সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেননি। তা ছাড়া সাবেক ওই কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সমিতির কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কায়সারুল ইসলাম শুনানি শেষে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে জিএমপি সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এএম/
- আইন-বিচার3 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- এশিয়া6 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
- টুকিটাকি6 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
- বলিউড6 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
- অপরাধ3 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- খুলনা4 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
- ক্রিকেট2 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- শিক্ষা5 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা