Connect with us

অন্যান্য

ইচ্ছে মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ভয়াবহতা

Published

on

প্রবাদে আছে ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সবকিছুই সুন্দর ও ভালোভাবে পরিচালিত হয়। নাহলে জীনটায় নিরানন্দের হয়ে ওঠে। আমরা সাধারণত একটু অসুস্থ হলেই নিজেরাই ডাক্তার হয়ে যায়। ইচ্ছেমতো ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করি। এটি মোটেই ঠিক নয়। আর এন্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে তো নয়ই। 

আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা কেমন, কত সময় কাজ করবে। ইচ্ছে মতো খেলে কী হবে এসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুসরাত সুলতানা। 

অপ্রয়োজনীয়,  অতিরিক্ত এবং অনিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কারণে আপনার শরীরে ব্যাকটেরিয়াগুলো অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল শিখে ফেলে। তাদের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন ব্যাকটেরিয়াও একই গুণপ্রাপ্ত হয়। এভাবে তারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি সেই পরিবর্তিত ব্যাকটেরিয়া অন্যদের শরীরে ঢুকে একইভাবে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। 

এভাবে একজনের শরীরে এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ক্ষমতা লাভ করলে, সেটি অন্যের শরীরেও সংক্রামিত হচ্ছে। এভাবে মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। আর আমরা ধাবমান হচ্ছি ভয়াবহ পরিণতির দিকে। 

এক গ্রুপ চিকিৎসক যৌক্তিক অ্যান্টিবায়োটিক দেন (ক), অন্য গ্রুপ চিকিৎসক অযৌক্তিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রাইব করেন (খ), কোয়াকদের প্রেস্ক্রিপশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক (গ), রোগী নিজেই দোকান থেকেই কিনে খান  (ঘ)। 

Advertisement

ক গ্রুপের অধীনে যেসব  রোগী আছেন তারা নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন না। কিন্তু অন্য তিনটি গ্রুপের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। ক গ্রুপ এক্ষেত্রে বৃথা কষ্ট করছেন। কারণ যারা যৌক্তিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করছেন, তারা অযৌক্তিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনকারীদের মাধ্যমে তৈরি হওয়া রেসিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

ফলে বিচ্ছিন্ন ভাবে যৌক্তিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবন বা প্রেস্ক্রিপশন  করে কোনো লাভ নেই।  এটি কঠোরভাবে একযোগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে একসময় আপনার শরীরে আর কোনো এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না৷ ছোট কাঁটা-ছেড়া বা সামান্য ঠান্ডা কাশিতেও মৃত্যুর মুখে পতিত হতে পারেন। 

পরিশেষে, আমাদের ঠান্ডা জ্বর বেশিরভাগ সময় ভাইরাসজনিত। ৫-৭ দিনে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আর অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করার জন্য। তাই দয়া করে শুধু শুধু অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
(ডা. নুসরাত সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক, ভাইরোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ)
এসএস/৩নভেম্বর
                                                                                                

Advertisement
Advertisement

অন্যান্য

হিরো আলমের ফেসবুক পেজ উগান্ডা সাইবার টিমের দখলে

Published

on

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি হ্যাক হয়েছে। আর এই মুহূর্তে এই পেজটি এখন উগান্ডা সাইবার টিমের হাতে। শনিবার গভীর রাতে পেজটি হ্যাক করার পর সেখানে অশ্লীল ছবি পোস্ট ও বিভিন্ন কথা শেয়ার দেওয়া হয়। লেখা হয়েছে- উগান্ডা সাইবার টিম পেজটি হ্যাক করেছে।

হিরো আলম রোববার (৩১ মার্চ) বিকালে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে জানান, তিনি দুটি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ঢাকায় ফিরে ডিবিতে অভিযোগ দেবেন।

তিনি বলেন, শনিবার রাত আড়াইটার পর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি (Hero Alom) হ্যাক করা হয়েছে। উগান্ডা সাইবার টিম পেজটি হ্যাক করে। এরপর প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে সেখানে কাশ্মীরের সাবেক স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানীর ছবি দেওয়া হয়েছে। কভার পেজে অশ্লীল ছবি দিয়েছে। যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ওই সব ছবি সরিয়ে নিয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

মাতৃগর্ভের সন্তানের পরিচয় প্রকাশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নীতিমালা জমা

Published

on

মাতৃগর্ভের সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নিয়ে নতুন নীতিমালা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে,মাতৃগর্ভের সন্তানের পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নীতিমালা দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডাক্তারসহ সবাইকে এই নীতিমালা মানতে হবে।

আদালত এ নীতিমালার ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

এরআগে, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

Advertisement

রুল জারির পর রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেছিলেন, ভারতে আইন করে গর্ভজাত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা হলে প্রসূতি মায়ের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে গর্ভপাত করার ঘটনাও ঘটে। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

দীর্ঘ তিন বছর পর অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু, স্বস্তিতে ফুলবাড়ীবাসী

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সটি টানা তিন বছর পর চাল হওয়ায় রোগী-স্বজনসহ উপজেলাবাসীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। শুক্রবার দুপুর ২ টায় টানা তিন বছর থেকে গ্যারেজে তালাবদ্ধ থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করেছেন হাসপাতাল কর্তপক্ষ। এ দিকে টানা তিন বছর থেকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বিরত রোগী-স্বজনসহ ফুলবাড়ীবাসীদের
এক স্বস্তি ফিরেছে।

এর আগে উপজেলাবাসী টানা তিন বছর ধরে চরম দুর্ভোগ নিয়ে অসুস্থ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধ্য হয়ে উচ্চ মূল্যে মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারসহ বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে কুড়িগ্রাম-রংপুর-মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক -হাসপাতালে ছুঁটছেন রোগী ও স্বজনরা। অবশেষে শুক্রবার সেই কাঙ্খিত অ্যাম্বুলেন্সটি সচল হওয়ার সবার মাঝে খুশী জোয়ার বইছে।

হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারী তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সামছুন্নাহার তার বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা করে। দীর্ঘ শুনানীর পর আদালক তাকে বেকসুল খালাস দেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগ সমস্ত কাগজ পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর স্বপদে কর্মস্থলে তাকে যোগদান করানো হয়।

ফুলবাড়ী ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক মিলন জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর দাবীতে অনেক আন্দোলন করা হয়েছে। কিন্তু মামলার জটিলতার কারণে চালক একাব্বর আলীকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালার বিধান না থাকার কারণে টানা তিন বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্সটি গ্যারেজেই পড়ে ছিল। চালক মামলা থেকে রায় পাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে অ্যাম্বুলেন্সটি সেবা চালু হয়। এখন থেকে নিয়মিত অ্যাম্বুলেন্সসেবা পাবে ফুলবাড়ীবাসী এটা খুবই আনন্দের খরব ।

অ্যাম্বুলেন্স চালক একাব্বর আলী জানান, তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সামছুন্নাহার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক করে অন্যায় ভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।সে মামলায় আমি নিদোষ বলে আদালত বেকসুল খালাস দিয়েছেন। তাই আমি যোগদান করেছি।

Advertisement

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমন কান্তী সাহা জানান, চালক একাব্বর আলঅ মামলা থেকে বেকসুল খালাস পেয়েছেন। আইন কোন বাধা নেই। তাই তিনি পূর্বের মতো কাজ চালিয়ে যাবেন। এখন ফুলবাড়ীবাসী নিয়মিতভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত