Connect with us

ঢাকা

কোটি টাকার মাল চোখের সামনে জ্বলতাছেরে ভাই: ব্যবসায়ীর আহাজারি

Avatar of author

Published

on

বঙ্গোবাজার, ব্যবসায়ীর আহাজারি

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর কাপড়ের পাইকারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত বঙ্গবাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান ছিল। তার কিছুই এখন অবশিষ্ট নেই। চারপাশে আহাজারি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এক ব্যবসায়ী আহাজারি করে গণমাধ্যমকে বলেন, আমার দোকানে সব দামি দামি পাঞ্জাবি ছিল। সব চোখের সামনে জ্বলেরে ভাই। আমার বঙ্গবাজারে দুই দোকান আর ইসলামিয়ায় দুই দোকান।

তিনি বলেন, হাজার হাজার পিস পাঞ্জাবি ভাই। সব দামি দামি পাঞ্জাবি তুলছিলাম, বেইচতুম। চোখের সামনে সব জ্বলতাছেরে ভাই। কী করে সহ্য করবোরে ভাই। কী করবো ভাই, আমার মাথায় ধরে না।

আহাজারি করতে করতে তিনি বলেন, সব শেষ করে দিছেরে ভাই। এক কোটি টাকার ওপরে পাঞ্জাবি কালেকশন করছি। সব শেষ ভাই।

আগুনের দিকে দেখিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ওই ব্যবসায়ী বলেন, চোখের সামনে টাকা জ্বলে। ওরে ভাইরে। কীভাবে জ্বলেরে ভাই।

Advertisement

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের কিছু অংশ ছিল তিন তলা এবং কিছু অংশ ছিল চার তলা। ব্যবসায়ীরা বলছেন সেখানে অন্তত সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার দোকান ছিল। তবে ভয়াবহ আগুনে একেবারে ভস্ম হয়ে গেছে সব। মাটিতে মিশে গেছে পুরো মার্কেট।

আগুনের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ যে পানি দিয়েও সেটি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এছাড়া সেখানে প্রাথমিকভাবে পানির সংকটও দেখা দেয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের পুকুর থেকে পানি নেয় অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা।

হাতিরঝিল থেকে পানি নিয়ে ঘটনাস্থলে ফেলছে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। সেখানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের অর্ধশত ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যোগ দিয়েছে নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনী।

এক ব্যবসায়ী মাটিতে বসে কান্না করতে করতে বলেন, চোখের সামনে এভবে পুড়ছে কিছুই করতে পারছি না। আমি আর কেমন চলবো। আমি বাঁচতে চাই না।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ঢাকা

দুই বোন একসঙ্গে নিখোঁজ, থানায় জিডি

Published

on

নিখোঁজ

নারায়নগঞ্জের বন্দরে একসঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে দুই বোন। রোববার (৩০ জুন) বন্দর থানায় পৃথক দুইটি জিডি হয়েছে।

এর আগে, শনিবার (২৯ জুন)  বিকেল ৪টায় বন্দর থানার পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ী (হাবিব নগর) এলাকা থেকে গৃহবধূ সাথী আক্তার (১৮) ও তার ছোট বোন মীম (১১) নামে এক কিশোরী টেইলার্সে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী ও নিখোঁজ কিশোরী পিতা বাদী হয়ে বন্দর থানায় পৃথক ২টি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করে। যার জিডি নং- ১৩ ৭৩ ও অপর জিডি নং- ১৩৭৪।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গেলো শনিবার বিকেল ৪টায় পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি (হাবিব নগর) এলাকার শাওন মিয়ার স্ত্রী সাথী আক্তার ও তার ছোট বোন মীম ট্রেইলার্স যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ গৃহবধূ সাথী আক্তার ও মীম উল্লেখিত এলাকার দেলোয়ার হোসেন কাজী মেয়ে। অনেক স্থানে খোজাখুজি করে নিখোঁজ দুই বোনের কোনো হদিস না পেয়ে এ ব্যাপারে বন্দর থানায় পৃথক দুইটি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করা হয়।

এদিকে পুলিশ জিডি পেয়ে নিখোঁজ দুই বোনকে খুঁজে পাওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

এইচএস‌সি পরীক্ষা দি‌তে পারেনি ২২ পরীক্ষার্থী, শিক্ষ‌কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

Published

on

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ক‌লেজ কর্তৃপ‌ক্ষের অব‌হেলা ও এক শিক্ষ‌কের প্রতারণার কার‌ণে এইচএস‌সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পা‌রে‌নি ২২ পরীক্ষার্থী। এতে পু‌লি‌শের সঙ্গে পরীক্ষার্থী‌দের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। প‌রে অতি‌রিক্ত পু‌লিশ ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনে। ত‌বে শিক্ষার্থী‌দের অভিযোগ, বিনা কার‌ণে পু‌লিশের সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের মার‌পিট করে‌ছে।

রোববার (৩০জুন) সকা‌লে পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ পরীক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হ‌য়ে নিকরাইলের পল‌শিয়া রানী দীনম‌নি উচ্চ বিদ্যাল‌য়ে কে‌ন্দ্রে গি‌য়ে আন্দোলন শুরু ও ভাঙচুর কর‌তে থা‌কে।

জানা গে‌ছে, উপ‌জেলার নিকরাইল শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জ কর্তৃপক্ষ এইচএস‌সি পরীক্ষার জন্য নির্ধা‌রিত টাকার চে‌য়ে বাড়‌তি টাকা দাবি ক‌রে। এতে অনেক শিক্ষার্থী বাড়‌তি টাকা দি‌তে অস্বীকার ক‌রে। প‌রে ওই ক‌লে‌জের বাংলা বিভা‌গের প্রভাষক লোকমান হো‌সেন এ সু‌যো‌গে ২২জন পরীক্ষার্থীর কাছ থে‌কে ৩ হাজার টাকা নেন ফরম পূরণের জন্য। কিন্তু পরব‌র্তিতে ওই শিক্ষার্থী‌দের বোর্ড থে‌কে কোনো রে‌জি‌স্ট্রেশ‌ন কার্ড বা প্রবেশপত্র দেয়া হয়‌নি শিক্ষার্থী‌দের।

পরীক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে জানায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত ৮ হাজার টাকা দি‌তে না পারায় ফরম পূরণ ক‌রে‌নি। প‌রে ক‌লে‌জের বাংলা প্রভাষক লোকমানের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে জালিয়াতির শিকার হ‌য়ে‌ছি। টাকা দি‌য়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পারলাম না। আমা‌দের ভ‌বিষ্যৎ নষ্ট হ‌য়ে যা‌বে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষ‌কের প্রতারণার কার‌ণে। আমরা যেভাবে হোক পরীক্ষা দি‌তে চাই।

শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের বাংলা‌ বিভা‌গের প্রভাষক লোকমান হো‌সেন গণমাধ্যমে ব‌লেন, ওই ২২ শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হ‌য়ে‌ছে। সব প্রমাণপত্র আমার কা‌ছে র‌য়ে‌ছে। কিন্তু গতকাল রা‌তে ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বো‌র্ডে ফোন ক‌রে ২২জন পরীক্ষার্থীর ফরম বা‌তিল ক‌রেছেন।

Advertisement

ত‌বে শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আক্তারুজাজামান গণমাধ্যমে জানান, পরীক্ষার্থীরা ক‌লে‌জে‌ কোনো যোগাযোগ করেনি। অনেক শিক্ষার্থী‌কে বিনামূ‌ল্যে ফরম পূরণ করা হ‌য়ে‌ছে। বাড়‌তি ফি নেয়া হয়‌নি। শিক্ষার্থী‌দের অভিযোগ সত্য না।

ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) আহসান উল্লাহ  জানান, পরীক্ষা দি‌তে না পারা শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হ‌য়ে কে‌ন্দ্রে আন্দোলন ক‌রে। ‌প‌রে কেন্দ্র অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ মোতা‌য়েন ক‌রে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

Published

on

বেতন

তিন মাসের ওভারটাইম এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবীতে নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে থার্মেক্স গ্রুপের আদুরী গার্মেন্টস শ্রমিকরা।

রোববার (৩০ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে শিবপুর উপজেলার কারারদী (বড়ইতলায়) ফ্যাক্টরীর সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এসময় সড়কের উপর কাঠের আসবাপত্র দিয়ে অগ্নিসংযোগও করেন তারা।

এসময় শ্রমিকরা দাবী করেন, গেলো তিন মাস ধরে ওভারটাইমের বকেয়া পরিশোধ করছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগেও দেই, দিচ্ছি করে আর তা পরিশোধ করেনি। বকেয়া পরিশোধের দাবী করলেই নানা অযুহাতে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়। এসবের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে শ্রমিকরা।

এদিকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই প্রান্তে কমপক্ষে ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন বলেন, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে। আমরা দু-পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করছি। আশা করছি শীঘ্রই সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত