Connect with us

আইন-বিচার

হাত-পা হারানো শিশুকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

Published

on

সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগরে পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাত-পা হারানো  শিশু রাকিবুজ্জামানকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গতকাল রাকিবুজ্জামানের জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। শিশুটির বাবা মো. আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।

তিনি বলেন,  শিশুটির দেশে-বিদেশে কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন তা জানাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেনকে জানাতে বলেছে আদালত।

রোববার (৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিটটি করেন ওই শিশুর বাবা। রিটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়নের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, জোনাল ম্যানেজার, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, প্রকল্প পরিচালক, সাতক্ষীরার ডিসি ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শককে বিবাদী করা হয়েছে।

Advertisement

ওই ঘটনার ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ২৫ মে আব্দুর আব্দুর রাজ্জাক ঢালী সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষতিপূরণসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে শিশুর বাবা আব্দুর রাজ্জাক ঢালী ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, গত ২১ মার্চ আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর দ্বিতল বাসার ওপর দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ক্যাপ ও কভারহীন বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়। এর আগে ২০ মার্চ আব্দুর রাজ্জাক পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর ওই আবাসিক ভবনের ওপর দিয়ে টানা বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ না দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।

পরে ৯ মে আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর ৭ বছরের শিশুপুত্র রাকিবুজ্জামান ওই বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়। এতে তার শরীর ঝলসে হাড়-মাংস খসে পড়ে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ মে রাকিবুজ্জামানের ডান হাতের বগল থেকে ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়।

Advertisement

আইন-বিচার

বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার-প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জন বরখাস্ত

Published

on

বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটে করে চার আসামি পালানোর ঘটনায় ডেপুটি জেলার ও প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দায়িত্বে অবহেলার বিষয় উঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি। তারা হলেন- কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (কয়েদি নম্বর-৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নম্বর-৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।

পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে জানান, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে গেলো মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলখানার অদূরে একটি বাজার থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, বগুড়া কারাগার অনেক পুরাতন। এটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। কারাগার ভবনের অনেক স্থান নাজুক। কারাগারের ছাদের যে অংশে ফুটো করেছে সেখানে কোনো রড ছিল না বলে জানা যায়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

Published

on

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রী তহুরা বেগমের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তেঁতুলিয়া শাখার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুন) বিকেলে পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন।

গেলো ১ ফেব্রুয়ারি আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন। পরবর্তীতে আয়কর আইনে কাজী মাহমুদুর রহমানের আয়কর ফাইল প্রাপ্ত হন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ২০২০ সালে দাখিল কৃত সম্পদের হিসাবে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদ ভোগ দখল করছেন। গেলো ১২ জুন এসব সম্পদের দলিল ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন মামলার বাদী।

পঞ্চগড় জেলা জজ কোর্টের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আদালতে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি মামলার পর গেলো ১৩ এপ্রিল মামলার শুনানিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে কাজী মাহমুদুর রহমানের ১৬টি এবং তার স্ত্রীর নামে ১টি দলিল ক্রোক এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

এনবিআর সচিব ফয়সালের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

Published

on

দুর্নীতির মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের সব সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে  ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষ থেকে করা আবেদনে বলা হয়, এনবিআর সচিব ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এর নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট ক্রয় করেছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালেই জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রয় করেছেন। দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।

অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ/সম্পত্তির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তাই ফয়সাল ও তাঁর স্ত্রী এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে নিম্নবর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানত থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।

Advertisement

উল্লেখ্য, আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সংস্থাটির আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত