এশিয়া
জাপানে ভয়াবহ বার্ড ফ্লু, মুরগি পুঁতে ফেলার জায়গা সংকট
জাপানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বার্ড ফ্লু। চলতি মৌসুমে এ ভাইরাসে দেশটিতে রেকর্ড ১ কোটি ৭০ লাখ মুরগির মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় জাপানে মুরগি পুঁতে ফেলার জায়গারও সংকট দেখা দিয়েছে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা সিএনএনের খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বার্ড ফ্লুর রেকর্ড প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লড়াই করছে জাপান। যা দেশটিতে মুরগির সরবরাহের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে ডিমের দামও।
খবরে আরও বলা হয়, ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে আক্রান্ত মুরগিগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছে। তবে সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমির সংকট। আক্রান্ত মুরগি পুঁতে ফেলার জন্য জায়গার অভাবে পড়েছেন দেশটির স্থানীয় প্রশাসন ও খামারিরা।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী এনএইচকে জানিয়েছে, সম্প্রতি দেশটির প্রায় সকল অঞ্চলেই বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি ২৬ অঞ্চলের মধ্যে ১৬টিতেই আক্রান্ত প্রাণী পুঁতে ফেলার জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই।
এনএইচকের খবরে আরও বলা হয়, চলতি মৌসুমে রেকর্ড এক কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মুরগি মারা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ অর্থবছরে রেকর্ড ৯৯ লাখ মুরগি মারা হয়েছিল।
চলতি মাসে এক প্রতিবেদনে রাবোব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বার্ড ফ্লুর প্রভাব ও খাবারের উচ্চমূল্যের জন্য এ বছরের প্রথম তিনমাসে ‘ঐতিহাসিক উচ্চ স্তরে’ পৌঁছেছে ডিমের দাম।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার কারণে ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মাঝমাঝি পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ফিডের দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রাবোব্যাঙ্কের প্রাণী প্রোটিনের সিনিয়র বিশ্লেষক নান-ডার্ক মুলডার বলেন, গত বছরের এই সময় থেকে এ বছর দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশেরও বেশি।
রাবোব্যাঙ্কের মতে, জাপানে ডিমের দাম গত মাসে ২৩৫ ইয়েনে (প্রায় ১৮৯ টাকা) পৌঁছেছে। যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। একইসঙ্গে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ইসরায়েল, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং আর্জেন্টিনাসহ অন্যান্য অনেক দেশের বাজারেও ডিমের রেকর্ড দাম বেড়েছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্যমতে, বন্য জলজ পাখিদের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমিত সংক্রমণের কারণে বার্ড ফ্লু হয়। সংক্রমিত পাখি তাদের লালা এবং অন্যান্য শারীরিক স্রাবের মাধ্যমে অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে ভাইরাস প্রেরণ করতে পারে।
এশিয়া
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরানের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ সংসদ সদস্য মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শুক্রবার অনুষ্ঠিত ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী হন।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট। অন্যদিকে সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা এক কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯।
১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।
উল্লেখ করা যায়, শুক্রবার দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময়সীমা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকলেও তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
ইরানে এখন গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরম চলছে বলে দিনের বেলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। সন্ধ্যার পর ভোটারদের সারি বাড়তে থাকে এবং রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব সারি আরো দীর্ঘায়িত হয়।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার) রাজধানী তেহরানে দিনের প্রথম প্রহরেই ভোট দেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। ভোটাধিকার প্রয়োগের পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ আজ একটি ভালো দিন। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে আজ আমাদের প্রিয় জনগণের সক্রিয় হওয়ার দিন। অর্থাৎ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার দিন। ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রিয় জনগণ ভোট দিয়ে সেরা প্রার্থীকে বেছে নেবেন। এই পর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় কাজটি শেষ করবেন।
গেলো ২৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে কেউ এককভাবে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান অফে গড়ায়। ২৮ জুনের নির্বাচনে ২ কোটি ৪৫ লাখ ভোটার ভোট দেন। এরমধ্যে সংস্কারপন্থী প্রার্থী পেজেশকিয়ান পান এক কোটি ৪ লাখ ভোট। অন্যদিকে, সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক ও বিপ্লবের মূলনীতির অনুসারী সাঈদ জালিলি পান ৯৪ লাখ ভোট।
জেএইচ
এশিয়া
এবার কারাগারের টয়লেট ভেঙে পালালো তিন কয়েদি
পাকিস্তানেরর কারাগার থেকে ছয় কয়েদির পালানোর ঘটনার বেশ কাটতে না কাটতেই এবার পালালো আরও তিন কয়েদি। তবে এবার কারাগারের টয়লেট ভেঙে বিচারাধীন অবস্থায় পালিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) কোয়েটা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের বেলুচিস্তানের কেন্দ্রীয় শহর দুকির একটি সাবজেল থেকে ওই তিন আসামি পালিয়ে যান। ‘দ্য ডন’র প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দুকি থানার এসএইচও জলিল আহমেদ মারির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন বলছে, ডাকাতি ও খুনসহ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত তিনজন কয়েদি টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে দুকি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। ওই কারাগারে রাখা ১৩ জন বিচারাধীন কয়েদিকে সকালে টয়লেট ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়। তখন ওই তিনজন পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, জেল পালানো কয়েদিরা হলেন, আসমাতুল্লাহ, আবদুল কবির ও মুহাম্মদ সাদিক। তাদের ধরতে ইতোমধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় কয়েদিদের নজরদারির কাজে নিয়োজিত কারা ওয়ার্ডেন ও দুই পুলিশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনজন পুলিশ সদস্য হলেন- ওয়ার্ডেন গুল খান, হেড কনস্টেবল আব্দুল গনি ও কনস্টেবল ইসমাইল মারি। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া বেলুচিস্তানের কারা মহাপরিদর্শক এ ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গেলো রোববার (৩০ জুন) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনসহ ১৯ কয়েদি আজাদ কাশ্মিরের রাওয়ালাকোটের একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে একজন কয়েদি আহত হয়েছিলেন।
টিআর/
এশিয়া
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৭ হাজার ৯০০ জনে।
স্থানীয় সময় রোববার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮৭ হাজার ফিলিস্তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৮৬ হাজার ৯৬৯ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে গাজা যুদ্ধে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাতে ৯ মাসে ইসরাইলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব মারণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার পাউন্ডের বোমা, হেলফায়ার মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জেএইচ
- ঢাকা5 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
- অপরাধ7 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের
- ঢাকা7 days ago
স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু
- ফুটবল6 days ago
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ পেলো আর্জেন্টিনা
- দুর্ঘটনা6 days ago
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
- রংপুর6 days ago
নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
- ব্যাংক6 days ago
সোমবার বন্ধ থাকবে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন
- পরামর্শ6 days ago
প্রতিদিন পর্যাপ্ত না ঘুমোলে যে বড় ক্ষতি হতে পারে আপনারও
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন