আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

১৯ বছর পর আজ মডেল তিন্নি হত্যার রায়

১৯ বছর পর আজ মডেল তিন্নি হত্যার রায়

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি। এ হত্যার ১৯ বছর পর আজ এ মামলার রায় হবে। মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। তিনি এখনও পলাতক রয়েছেন।

আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে, গেলো ২৬ অক্টোবর একই আদালতে রায় ঘোষণার দিন ঠিক ছিল। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর নতুন দিনঠিক করেন।

এর আগে, গেলো ২৬ অক্টোবর একই আদালতে রায় ঘোষণার দিন ঠিক ছিল। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর নতুন দিন ঠিক করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন তিন্নি। তাই স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালকে তালাক দিতে তাকে বাধ্য করেন অভি।

তিন্নিও স্বামীকে তালাক দেন। ওই দিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেন।

১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেয়া হয় মরদেহ। কিন্তু পানিতে নয়, মরদেহটি পড়ে পিলারের উঁচু অংশে। পরদিন সকালে মরদেহ ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করে। পরে তদন্তে তিন্নি হত্যার বিষয়টি বের হয়।

মামলাটি চাঞ্চল্যকর হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর এর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এএসপি মোজাম্মেল হক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এছাড়াও এ মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা মামলায় আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ১৯ | বছর | আজ | মডেল | তিন্নি | হত্যার | রায়