Connect with us

আবহাওয়া

তীব্র তাপদাহের পর আসছে কালবৈশাখী ঝড় শিলাবৃষ্টি

Avatar of author

Published

on

ঝড়,বৃষ্টি

টানা ১৬ দিনের তাপদাহের পর বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে দেশের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তবে ২৩ এপ্রিল থেকে সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিসহ হাওড় অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল (১৮ এপ্রিল) থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ১৯ এপ্রিল থেকে ঢাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ১৯-২০ এপ্রিলের দিকে দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে ২৩ এপ্রিল থেকে সিলেট সুনামগঞ্জসহ হাওড় এলাকায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ২৩ এপ্রিল ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর অঞ্চলের কোনো কোনো এলাকার ওপর দিয়ে বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাই দীর্ঘ তাপদাহের পর আবার ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত যানবাহন, ঘরে ঘরে এয়ারকন্ডিশনিংয়ের তাপ এবং নির্মাণকাজের ফলে সৃষ্ট তাপ অন্যতম প্রধান কারণ বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এ কারণে হয়তো ঢাকার পাশের মানিকগঞ্জে জেলাতেই তাপমাত্রা ঢাকার চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কম।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৩টার আবহাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বলেন, আজ এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ইশ্বরদীতে। বিকাল ৩টায় ইশ্বরদীর তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, আজ বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোনো কোনো এলাকায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঢাকার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল (সোমবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আবহাওয়া

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস, ৮ অঞ্চলে সতর্ক সংকেত

Published

on

সতর্ক

দেশের আট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় একই অবস্থা থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে বলে জানা গেছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু গরম কমছে না কেনো!

Published

on

বৃষ্টি

রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে গেলো কয়েক দিনের তুলনায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমেছে। আগামীকালও ঢাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কম থাকবে। তবে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে রাজশাহী বিভাগেও বৃষ্টি তুলনামূলক কম থাকবে। বললেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত গেলো ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে সর্বোচ্চ ১২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

পূর্বাভাস বলা হয়, অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস বা ঝড়ো হওয়া থাকতে পারে। কোথাও কোথাও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হতে পারে এবং বজ্রপাতও হতে পারে। রয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টি হলেও রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হচ্ছিল। এখন একটু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ ও আগামীকাল চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে। আগামী ৫ ও ৬ জুলাই রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে বেশি ঝরবে বৃষ্টি। ৬ জুলাইয়ের পরে কেবল রংপুর বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে গড়ে ৫২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা। আবহাওয়া অধিদপ্তর দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও উল্লেখ করা হয়, জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, আগামী অন্তত এক সপ্তাহের মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

এ ব্যাপারে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘১৯৪৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মোট ৭৬টি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। গভীর নিম্নচাপগুলো বাদ দিলে জুন মাসে হয়েছে পাঁচটি, জুলাই মাসে ১৯টি, আগস্ট মাসে ২১টি ও সেপ্টেম্বরে ২৫টি। জুনের পরেই নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে জুলাই মাসে এবং সবচেয়ে বেশি থাকে সেপ্টেম্বরে।’

এদিকে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বায়ুচাপের তারতম্য। যে কারণে যে কারণে আজও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে আজও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকায় নৌ বন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গেলো কয়েক দিন থেকে প্রায় সারাদেশে বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। গতকাল ভোলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘বর্ষার বৃষ্টিকে উষ্ণ বৃষ্টি বলা হয়। মেঘ বৃষ্টি আকারে ভূ-পৃষ্ঠে এলেও তাপমাত্রা খুব একটা কমাতে পারে না। টানা বৃষ্টি হলে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমে। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রায় তেমন প্রভাব পড়ে না।’

তিনি বলেন, ‘এখন বৃষ্টিপাত হচ্ছে কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি আছে এবং এই জলীয় বাষ্প সুপ্ত তাপ ছেড়ে দেয়, সেই কারণে গরমের অনুভূতির তীব্রতাও থাকছে। বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্প ৮০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে।’

এদিন সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘এখন দেশের তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হতে পারে। আগামী ৬ জুলাইয়ের পরে গরমের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।’

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

সকাল থেকেই বৃষ্টি, চার সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত

Published

on

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে ৫ জুলাই পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুকের সই করা আবহাওয়া বার্তায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মূলত, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। একইসঙ্গে এটি (মৌসুমি বায়ু) বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। যার প্রভাবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এছাড়া আগামী ৫ পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় জানানো হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।

Advertisement

এদিকে আজ সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে টানা বৃষ্টিপাত। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবীরা। এদিকে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষার্থীরা। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিনও দেশজুড়ে এমন বৃষ্টির ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত