Connect with us

রংপুর

সৌদির সাথে মিল রেখে কুড়িগ্রামে ঈদ উদযাপন

Avatar of author

Published

on

কুড়িগ্রামে ঈদুল ফিতর

সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উপজেলার দুটি গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ছিটপাইকের ছড়া ও পাইকডাঙ্গা গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। গ্রাম দুটিতে দুইশতাধিক মোহাম্মদীয়া তরিকতের অনুসারী নারী,পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

পাইকডাঙ্গা গ্রামের জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লী বীর মুক্তিযোদ্ধ জামাল উদ্দিন জানান, বাপদাদার আমল থেকে তারা ঈদের চাঁদ দেখা বা খবর পাওয়ার পরদিন ঈদের নামাজ আদায় করেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।

চাঁদ দেখার খবর শুনে বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্টের সাথে একই দিনে ইদের নামাজ আদায় করেছেন ছিট পাইকের ছড়া গ্রামবাসী।

ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বারের ন্যায় এবারো তারা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তিনি আরোও জানান, বিশ্বের যেকোন স্থানে বা দেশে ঈদের চাঁদ দেখা বা কোন মাধ্যমে সংবাদ পেলেই ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা। আমরা বিগত ১৫ বছর থেকে এই সমাজ পরিচালনা করে আসছি।

Advertisement

ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা গ্রাম থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন আলমগীর হোসেন ও আব্দুল লতিফ। এই মুসুল্লি জানান তারা ৫ বছর ধরে ফুলবাড়ী থেকে এসে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

পাইকডাঙ্গা গ্রামে নামাজের ইমামতি করনে মোহাম্মদ তামিম হোসেন ও ছিটপাইকের ছড়া গ্রামে নামাজের ইমামতি করেন মোহাম্মদ মোকছেদুল ইসলাম। ঈদের নামাজ উপলক্ষে দুটি গ্রামে নিরাপত্তা প্রদান করেছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।

ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নজরুল ইসলাম জানান, দুটি গ্রামের কিছুসংখ্যক পরিবার আজকে ইদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তারা ঈদের নামাজ শেষ করেছেন।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

জনদুর্ভোগ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা

Published

on

ভারতে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এ ছাড়া বেড়েই চলেছে জেলার অন্য নদ-নদীর পানি। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা।বেশকিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ডুবে গেছে ওইসব এলাকার সবজিখেত।

পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার ধরা হয়।

অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার দুপুরে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলে জানান, পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গংগাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সূর্যমূখী ক্বারী মাদরাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এ ছাড়া কোলকোন্দ ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ৫ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। সেখানে নিম্নাঞ্চলে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট।

Advertisement

গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না গণমাধ্যমে বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতিবছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তিস্তা খনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

২০১ বোতল মাদকসহ দুই কারবারি গ্রেপ্তার

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২০১ বোতল ইস্কাফ ও একটি টিভিএস মোটরসাইকেলসহ দুই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুই কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল জব্বার ওরপে ডাল জব্বার (৪৩) উপজেলা ধর্মপুর এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। আরেক গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মেহের জামাল (৪০) উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের ফরিদ আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় ফুলবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নাজমুস সাকিব সজীবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে আজোয়াটারী (ইন্দ্রারপাড়) এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫১ বোতল ইস্কাফ ও মোটরসাইকেলসহ আসামি আব্দুল জব্বার ওরপে ডাল জব্বার কে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। পরে অভিযুক্ত ডাল জব্বারের দেয়া তথ্য মতে সীমান্তবর্তী বর্মন পাড়া এলাকায় থেকে ৫০ বোতল ইস্কাফসহ আরকে আসামি মেহের জামাল (৪০)কে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সোমবার সকালে মামলা দায়ের করে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, এই দুই আসামি বিরুদ্ধে পূর্বে ফুলবাড়ী থানায় অন্তত হাফ-ডজন মামলা রয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক-স্টাফদের ওপর হামলার অভিযোগ

Published

on

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা পুরুষ স্টাফ নার্সদের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে আয়ান (১৪ মাস) নামে এক শিশু রোগীর সাথে আসা স্বজনদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে হামলার এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীন।

অভিযুক্তরা হলেন, পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের হাছান তারেকের ছেলে রাব্বি (২৫), রাব্বির বাবা হাসান তারেক (৫২) ও সদরের কাসাতপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মানিক মিয়া (৪২)।

জানা গেছে, জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছিলেন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ স্টাফ নার্সরা। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যুর রিপোর্ট দেয়ার মাঝে গরম চা দিয়ে অসাবধানবসত বুক ও পেট ঝলসে যাওয়া আহত ওই শিশুকে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এরপর অভিযুক্তরা উত্তেজনাপূর্ণ-উগ্র আচরণ শুরু করে জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা অন্যদের পাশাপাশি সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীনের উপর চড়াও হয়ে কিল ঘুষি দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এসময় অন্য রোগীসহ স্টাফ ও চিকিৎসক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সকলকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাদের উপর হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসক আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবী করছি।

Advertisement

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, যখন অভিযুক্তরা আসেন তখন প্রচুর রোগীর চাপ। রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার মাঝে কারণ ছাড়াই অভিযুক্তরা হামলা চালায়, এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। মূলত আমাকেই মারতে আসছিল তারা।

এদিকে শনিবার ভোর রাত সাড়ে চারটার সময় শহরের মসজিদ পাড়া এলাকার তৌহিদুজ্জামান তার স্ত্রী নাজনীন নাহার বৃষ্টি তলপেটের ব্যথা অনুভব করায় প্রথমে দেশ ক্লিনিক পরে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃষ্টি মৃত্যুবরণ করে। রোগীর স্বামী তৌহিদুজ্জামান ভূল চিকিৎসায় স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নুরে আলমসহ সিনিয়র স্টাফ নার্স স্টাফদের ওপর অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ডাক্তারের চেম্বার ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রঞ্জু আহস্মেদ বলেন, শিশু আয়নকে নিয়ে চিকিৎসক ও কর্তব্যরতদের ওপর হামলার অভিযোগে একটি এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এদিকে ভোর রাতে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে আবারও হামলার আরেক ঘটনায় অভিযুক্ত তৌহিদুজ্জামানকে তার পরিবারের লোকজন আসা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত