Connect with us

আবহাওয়া

কোন এলাকায় কত নম্বর সর্তক সংকেত

Published

on

বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরো ঘলীতূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮০পূর্ দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে ২০২৩ সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ (১৩ মে ২০২৩) রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস ঝড়ে প্রভাব কোন এলাকায় কেম হবে তা জানিয়ে সর্তকতা জারি করেছে। কোন এলাকায় কত নম্বর সংকতে জেনে নিন।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ দেশ) নম্বর সহাবিপদ সংকেত (পুন) ১০ (দেশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৮ আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুন:) ০৮ ভোট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Advertisement

পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত(পুন) ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত (পুন:) ০৪ (চার) নর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, কালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অনুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিবড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থকোর আধিক্য প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবরত দ্বীপ ও চরসমূহের নিয়াঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

Advertisement

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদুরবর্তী দীপ ও চরসমূহের নিষ্লাঞ্চল স্থাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিবড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৯৮৯ মিমি)বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধস হতে পারে।

আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এখন স্থল গভীর নিম্নচাপ, বাড়বে বৃষ্টিপাত

Published

on

উপকূলীয় জেলাগুলোতে তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।সমুদ্রবন্দরকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত জারি জারি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৭ মে) সকালে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ খুলনার কয়রা থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্থল গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।

বন্দরে সতর্কতামূলক সংকেত নিয়ে বলা হয়, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দকে ১০ বন্দর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

খুলনার কয়রায় বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের চাপে বাঁধ ভেঙে খুলনার কয়রায় ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাতে তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে এসব গ্রাম তলিয়ে গেছে ।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৬ মে) রাতে জোয়ারের তীব্র চাপে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোণা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের, ধসে গেছে কয়েকশ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট, ভেঙেছে গাছপালা।

স্থানীয়রা জানান, বাঁধের দুর্বল অংশের ওই ৩টি স্থানে প্রায় ১৫০ মিটার ভেঙে নদীর নোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে এলাকা। এছাড়া বাঁধের নিচু কয়েকটি জায়গা ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এসব জায়গায় এলাকার মানুষ রাতভর মেরামত কাজ চালিয়েছে।

মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রোববার রাতে জোয়ারের চাপে ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে কয়েকটি গ্রাম ও কয়েকশ চিংড়ির ঘের তলিয়ে গেছে।

মহেশ্বরীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি বলেন, ইউনিয়নের সিংহেরকোণা এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া নয়ানি এলাকায় বাঁধ উপচে সারারাত পানি ঢুকেছে। এতে অন্তত ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব ও ভারী বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, তার ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা এলাকায় রাতের জোয়ারে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে ৫-৭টি গ্রামে নদীর পানি ঢুকেছে। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নিচু বাঁধ ছাপিয়ে পানি প্রবেশ করেছে।

পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় মানুষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি স্থানে বাঁধ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) দুপুরে জোয়ারের আগে তা মেরামতের চেষ্টা চলছে।

কয়রার ইউএনও এবিএম তারিক উজ জামান বলেন, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এছাড়া ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

দক্ষিণাঞ্চলে পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ

Published

on

প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় রেমাল গতকাল রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলে আঘাত হেনে সারারাত তাণ্ডব চালায়। এখন সেটা স্থলভাগের ওপর অতিক্রম করছে।

এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল। তিনি বলেন, আরো দু-এক ঘণ্টা সময় নেবে স্থলভাগ অতিক্রম করতে। এরপরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাবে।

তিনি বলেন, গতকাল রাতেই বরিশাল স্থলভাবে ঢুকে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার। বর্তমানে বায়ুর চাপ কমে আসায় ৩৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা টানা ও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল শহরে জোয়রের পানি ঢুকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শহরের উপকণ্ঠ, জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদর ও আশপাশের ইউনিয়ন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ নদীরগুলোর ১ থেকে দেড় মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

Advertisement

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন পর্যবেক্ষক জানান, বিভাগে ছয় জেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তেতুলিয়া, কীর্তনখোলা ও মেঘনা নদীর পানি জোয়ারের সময় ৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হয়। যে কারণে এই নদীর নিকটবর্তী এলাকা বেশ প্লাবিত হয়েছে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত আরো পানি বাড়িয়েছে। পানি নামতে সপ্তাহখানেক সময় নেবে বলেও জানান তারা।

বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সবাই সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version