ঢাকা
২৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন আজমত উল্লা
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
রোববার (২১ মে) সকালে গাজীপুর জেলা শহরের প্রকৌশল ভবনের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
ওই সময় আজমত উল্লাহ খান বলেন, ২৫ মে গাজীপুর সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর নির্ভর করছে আমাদের ভবিষ্যৎ নগর জীবন। যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে যথাযথ সেবা পেতে হলে সে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সৎ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা অনিবার্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নেতৃত্বের অদক্ষতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আমরা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে বর্তমান সরকার গাজীপুর সিটির উন্নয়নে বহু সহায়তা করেছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা, সততা ও স্বচ্ছতার অভাবে সরকারি বরাদ্দকৃত অনেকাংশ অর্থের ব্যয় না হওয়ায় শহরের সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শৈশবকাল থেকে আমি মানবসেবায় নিয়োজিত থেকে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাজীপুর মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। প্রায় ৫৮ বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। আপনাদের মূল্যবান ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলে আমি একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট, ব্রিজসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সেবামূলক খাতগুলোকে আরও শক্তিশালী করে সেবার মানকে সুনিশ্চিত করতে এক বছর, দুই বছর ও পাঁচ বছর মেয়াদি তিন স্তর বিশিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করবো।
আজমত উল্লার ২৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার
সেবার মান বৃদ্ধি:
অভিজ্ঞ নগরবিদ ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে বিশ্বমানের একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে জনগণের সেবা নিশ্চিত করা হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, নাগরিক সনদসহ বিভিন্ন সনদের ফি, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যবস্থা এবং ওয়ার্ডগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা ও ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
হোল্ডিং কর:
হোল্ডিং করের হার না বাড়িয়ে রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে সহনশীল পর্যায়ে চূড়ান্ত করা হবে।
অধিগ্রহণকৃত ভূমির জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান:
সরকার কর্তৃক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, তা যথাযথভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যসেবা:
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্বল্পমূল্যে অ্যাম্বুলেন্স। সার্ভিস সেবার উদ্যোগ নেওয়া, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মৃত্যুর পর প্রয়োজন অনুযায়ী কাফনের কাপড়ের ব্যবস্থা করা এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিসহ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রমিক, বস্তিবাসী ও দরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য কার্ড/লাল কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন:
সরকারি ও বেসরকারি সেবাদানকারী স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে সব নাগরিকদের সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার জন্য ‘জিআইএস’ পদ্ধতি অবলম্বন করে সার্ভের মাধ্যমে ড্রেন ও খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে উপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রতিবন্ধী নাগরিক এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ হবে।
গুরুত্ব বিবেচনায় সড়ক উন্নয়ন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট জনদের নামে রাস্তার নামকরণ ও নির্মাণ কাজের গুণগতমান নিরীক্ষার জন্য শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করা হবে।
যানজট নিরসন, পার্কিং, ফুটপাতসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ:
পথচারীবান্ধব ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য ফুটপাথ নেটওয়ার্ক, যানজট নিরসনের জন্য বিআরটিএ, ট্রাফিক পুলিশ এবং পরিবহন মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠনসহ অন্য প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে বহুতল ও আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ, নতুন ফুটওভার ব্রিজ, আধুনিক বাসস্ট্যান্ড ও বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাগরিকদের রেলে যাতায়াত সহজীকরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সংযোগ সড়ক নেটওয়ার্ক:
অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণসহ সরকারের সহযোগিতায় সমগ্র গাজীপুরে সংযোগ সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শিক্ষা: শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রয়োজনে জিসিসি’র অধীনে কারিগরি ও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। নগরীতে অবস্থিত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিমখানাসমূহে সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়া অনাথ, গরীব, যোগ্যতাসম্পন্ন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব পাঠাগারের আধুনিকীকরণ, নতুন পাঠাগার প্রতিষ্ঠা এবং ব্যক্তি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারকে সহায়তা দেওয়া হবে।
শ্রমিক-কর্মচারী ও বস্তিবাসীদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ:
পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী ভাই-বোনদের অধিকার সংরক্ষণে ও নির্যাতন প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। শ্রমজীবী মায়েদের শিশুদের পরিচর্যার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ডে-কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং বিকেল ৫টার পর তারা যেন টিসিবির পণ্য পেতে পারেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকার ও মালিক পক্ষের সহযোগিতায় বেতন-ভাতাদি, নিরাপত্তা, বাসস্থান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সহয়তা দেওয়া হবে। গাজীপুর মহানগরীর সব বস্তিবাসীর প্রাপ্ত নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে ।
শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ী সমাজের ভোগান্তি কমাতে জিসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে হেল্প ডেস্ক তৈরি করা হবে।
শিল্পকলা ওয়ার্ড সেন্টার ও ডিজিটাল কমান্ড সেন্টার নির্মাণ:
তরুণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এবং বয়স্ক আর শিশুদের মিলনস্থল ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘ওয়ার্ড সেন্টার’ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেগুলোতে কমিউনিটি সেন্টার, সেবাদান কেন্দ্র, আত্মরক্ষাসহ বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা কেন্দ্র,পাঠাগার প্রতিষ্ঠাসহ বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী করা হবে।
ডিজিটাল কমান্ড সেন্টার তৈরির মাধ্যমে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং স্মার্ট নেইবারহুড কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত পাড়া উৎসবসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে ।
বর্জ্য ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ:
বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র স্থাপন এবং ৩আর পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে বর্জ্যকে জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তরিত করার পদক্ষেপ নেওয়া করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে বর্জ্য ও দুর্গন্ধযুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসারের উদ্যোগ:
নগরীর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীলের লক্ষ্যে নতুন অডিটোরিয়াম এবং কালচারাল কমপ্লেক্স, মুক্তমঞ্চ নির্মাণসহ মিলনায়তনগুলো সংস্কার, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সহযোগিতার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শিল্পকলা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং মেয়র নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হবে।
ক্রীড়া উন্নয়ন:
ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার জন্য উপযুক্ত মাঠ তৈরি করা, মেয়র গোল্ডকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্যোগ এবং কারাতে, সাঁতারসহ বিভিন্ন খেলার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সংবাদকর্মীদের সহায়তা:
গাজীপুরে অবস্থিত প্রেস ক্লাবসমূহের উন্নয়ন ও সংবাদকর্মীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও সুবিধা বঞ্চিতদের সহায়তা:
বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, প্রতিবন্ধী ও বিশেষ শিশুদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ, হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, ভবঘুরে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন ও সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী যুবক/নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পার্ক ও উদ্যান নির্মাণ ও উন্নয়ন:
গাজীপুর মহানগরীতে বিদ্যমান পার্ক ও উদ্যানগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন করাসহ নতুন পার্ক নির্মাণ, শিশুদের জন্য বিশেষায়িত পার্ক নির্মাণ এবং নদী সংলগ্ন স্থানকে নান্দনিক, পায়ে হাঁটা ও বিনোদন উপযোগী করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঈদগাহ, কবরস্থান ও শ্মশানের উন্নয়ন এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহায়তা:
প্রতিটি ওয়ার্ডে ঈদগাহ ও কবরস্থান নির্মাণ, শ্মশানগুলোর উন্নয়ন ও নির্মাণ, নগরীর উপযুক্ত স্থানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য সমাধিক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ, আলেম-মাশায়েখসহ সব ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, গির্জায় সহায়তা দেওয়া হবে।
জলাশয় দখলমুক্তকরণ, নদী ও পরিবেশ রক্ষা, মশক নিধন:
পরিবেশ অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট শিল্প-কল কারখানা, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও স্থানীয় অধিবাসীদের সহযোগিতায় নদী ও জলাশয়কে দখলমুক্ত, দূষণমুক্ত ও সংস্কারের উদ্যোগ এবং নগরীর উপযুক্ত স্থানে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। নিয়মিত মশক নিধনের কার্যক্রম নেওয়া হবে।
জিসিসির কাচাঁ বাজার ও মার্কেট আধুনিকীকরণ ও হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা:
সকল কাঁচাবাজার ও মার্কেটগুলোর আধুনিকায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং হকারদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফ্রাইডে মার্কেট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরিবেশবান্ধব আধুনিক কসাইখানা নির্মাণ হবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হবে।
বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়:
গাউক, রেলওয়ে, বিটিআরসি, তিতাস গ্যাস, পল্লি বিদ্যুৎ, ডেসকো সহ গাজীপুর মহানগরীতে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ:
বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি রক্ষা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য জিসিসি
কার্যকর ভূমিকা রাখবে।। গাজীপুরের ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ : গাজীপুরের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য যাদুঘর ও আর্ট গ্যালারী স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মাদকমুক্ত নগর গড়ে তোলা:
গাজীপুরকে মাদকমুক্ত মহানগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি সংগঠন, যুব সংগঠন, ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় মাদকসেবীদের সুচিকিৎসার ও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের এবং মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে আরো গতিশীল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নতুন আয়ের উৎস সৃষ্টি:
আধুনিক বিপণীবিতান তৈরি এবং যুব নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এবং প্রবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে গাজীপুরে বিনিয়োগে উৎসাহিত করাসহ নতুন আয়ের উৎস তৈরি করা হবে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা:
সিটিজেন চার্টার বা নাগরিক সনদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। সিটি করপোরেশনের প্রতিটি বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে জিসিসির সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। ‘জনতার মুখোমুখি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহানগর ও ওয়ার্ড ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ঢাকা
ক্যাসিনো ডন সেলিমের বিরুদ্ধে আড়ত ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অনলাইন ক্যাসিনো ডন, মানি লন্ডারিং কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেলিম প্রধান জোর পূর্বক ও হুমকি ধামকি দিয়ে আড়ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায়কৃত দুই কোটি টাকা চাঁদা ফেরত ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন বিসমিল্লাহ আড়ৎ নামে একটি পাইকারী বাজারের ব্যবসায়ীরা।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকার বিসমিল্লাহ আড়তের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
মানববন্ধনের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান,তারা ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো ডন ও মানি লন্ডারিং মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেলিম প্রধানের কাছ থেকে আড়তের প্রায় ১৬ বিঘা জমি ভাড়া নেন ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান। বিঘায় ৫০ হাজার টাকা প্রতিমাসে জমির ভাড়া দিয়ে আসছেন ৮ লাখ টাকা।
এছাড়া বায়নাসহ ডোবা ও নিচু এসব জমি ভরাট করে সাড়ে ৩’শ দোকান নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা। সেলিম প্রধান জেল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রভাব খাটিয়ে আড়তের ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধামকি ও জোরপুর্বক প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আড়ত দখলের পায়তারা করে আসছেন। তার জন্য আড়তের সকল ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোর পূর্বক ও হুমকি ধামকি দিয়ে আড়ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায়কৃত দুই কোটি টাকা চাঁদা ফেরত ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন।
ঢাকা
মারা গেছেন সাবেক বিচারপতি আনোয়ার উল হক
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আনোয়ার উল হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শনিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
সাবেক এই বিচারপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এ সময় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, রোববার (২৬ মে) বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে মরহুম বিচারপতি আনোয়ারের জানাজা হবে।
ঢাকা
ধানমণ্ডি-মিরপুর সড়কে হকারদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ
ধানমণ্ডি এলাকায় হকারদের বসতে না দেয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে তারা। রোববার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ধানমণ্ডি-মিরপুর সড়কে অবস্থান করছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমণ্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
তিনি জানান, তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। ধানমণ্ডির বিভিন্ন জায়গায় তারা বসতো। তাদের সকালে বসার সময় দেয়া হলেও তারা তা মানেনি। অন্য সময়গুলোতেও বসতে চায়। এখন তারা সড়ক অবরোধ করছে।
জানা গেছে, হকাররা ধানমণ্ডির মেট্রোশপিং মলের সামনের সড়কে অবস্থান করছেন। তারা বিক্ষোভ করছে। তাদের দাবি— ধানমণ্ডি এলাকায় বাধাহীনভাবে বসতে দিতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি পুলিশ নগরীর মানুষের নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে হকারদের যত্রতত্র বসতে দিচ্ছে না।
হকারদের সড়ক অবরোধের ঘটনায় যান চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন শতশত অফিসগামী ও জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষজন। নিউ মার্কেট থেকে আসাদগেট যাওয়া ও আসার সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো যানবাহন চলছে না। বাধ্য হয়ে লোকজন পাঁয়ে হেটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।
-
অপরাধ4 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়7 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
বাংলাদেশ4 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
অপরাধ2 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
টুকিটাকি4 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
ঢাকা6 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
-
অপরাধ4 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
-
জাতীয়2 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন