Connect with us

আইন-বিচার

ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Published

on

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) এ মামলা করা হয়।

এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা দানকর ফাঁকির মামলার রায় ৩১ মে। দীর্ঘ ৭ বছর পর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন উচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার এবং বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

অ্যার্টনি জেনারেল শুনানিতে বলেন, মৃত্যুভীতির কথা বলে নিয়নীতির তোয়াক্কা না করে অসৎ উদ্দেশ্যে কর ফাঁকি দেন ইউনূস।

Advertisement

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ এই তিন অর্থ বছরে নিজের নামে গঠিত দুটি ট্রাস্ট ও একটি প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

আয়কর নথিতে বলা হয়েছে, এসব টাকা মৃত্যু ভীতি থেকে ওইসব প্রতিষ্ঠানে দান করেন ড. ইউনূস। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মৃত্যু চিন্তা নয় অসৎ উদ্দেশ্যে, কর ফাঁকি দিতেই নিজের প্রতিষ্ঠানে নিজেই টাকা দান করেন এই নোবেল জয়ী। এতে দানকর বাবদ রাষ্ট্রের পাওনা ১২ কোটি ১৬ লাখ ৭ হাজার টাকা। যা সুদ আসল মিলে পরিশোধ করতে হবে তাকে।

ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান শুনানিতে বলেন, আয়কর পরিশোধ করেই টাকা দান করেছেন তিনি। আর দান করার কারণে আইন অনুযায়ী তিনি পাবেন কর অব্যাহতির সুবিধা।

আইনজীবী আরও জানান, ইউনূসের উপার্জনের মূল উৎস বক্তৃতা দেয়া। এতে প্রতি বক্তব্যের জন্য তিনি নেন ৫০ হাজার ডলার। ডলারের বর্তমান দাম অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ টাকা। যদিও পরে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ড. ইউনূস।

ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে উচ্চ আদালতে। এছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।

Advertisement

আইন-বিচার

‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টে রুল

Published

on

সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত রোবাইয়াত ফাতেমা তনির মালিকানাধীন গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৭ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব আগামী ১০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। এরপর রুলের পরবর্তী শুনানি হবে। ততদিন শোরুম বন্ধ থাকবে।

এর আগে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ওই শোরুম সিলগালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তনি।

উল্লেখ্য, গেলো ১৪ মে প্রতারণার অভিযোগে সিলগালা করা হয় ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম। দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

Advertisement

শোরুমটি সিলগালা করে দেয়ার পর অভিযোগের শুনানির জন্য পরের দিন তনিকে ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজির হতে বলা হয়। পরে তনি অধিদপ্তরে গেলে শুনানি করে তাকে দুই দফায় ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত

Published

on

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই।

আজ সোমবার (২৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। আদালতে ডিপজলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সম্পাদক পদে ডিপজল বিজয়ী হন। পরে এনিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন অভিনেত্রী নিপুণ। পরে আদালত মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

ডিপজলের আইনজীবী বলেন, নিপুণের করা রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। তবে কেন শুধুমাত্র ডিপজলের সম্পাদক পদ স্থগিত করা হয়েছে। এটি আইন বহির্ভূত।

Advertisement

এর আগে ২০ মে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সম্পাদক পদে বিজয়ী ডিপজল তার পদে বসতে পারবেন না বলে আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গেলো ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

জেলেই থাকতে হবে ডেসটিনির রফিকুল আমিনকে

Published

on

ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় কোম্পানির এমডি রফিকুল আমিনকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৭ মে) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ রফিকুল আমিনকে জামিন না দিয়ে মামলাটি শুনানির জন্য ৬ মাস স্ট্যান্ড ওভার রাখেন। ফলে জেলেই থাকতে হচ্ছে রফিকুল আমিনকে।

এর আগে মানিলন্ডারিং আইনের এক মামলায় ১২ বছরের সাজা পাওয়া কোম্পানির এমডি রফিকুল আমিনকে ১ বছরের জন্য জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে আরও মামলা বিচারাধীন থাকায় তিনি তখনও কারামুক্তি পাননি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৪ মে দুই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় আসামি ৪৬ জন এবং ট্রি প্ল্যানটেশন মামলায় আসামি ১৯ জন। ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনসহ ১৪ জনের নাম দুই মামলায় থাকায় মোট আসামি ৫১ জন। যাদের মধ্যে রফিকুল আমীন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম গত দশ বছর ধরে কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন আসামি লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, জেসমিন আক্তার (মিলন), জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রুবেল। বাকি ৪৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন।

মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন বলে মামলাতে অভিযোগ করা হয়।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version