Connect with us

এশিয়া

বিক্ষোভে রণক্ষেত্র মিয়ানমার; পুলিশের গুলিতে নিহত সাত

Published

on

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদ দমনে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি ছুড়েছে পুলিশ। আজ রোববার গুলিতে অন্তত সাত প্রতিবাদকারী নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির একজন চিকিৎসক ও একজন রাজনীতিবিদ।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়াঙ্গুনের বিভিন্ন স্থানে স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়ে গুলি ছোড়ে পুলিশ।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় এক ব্যক্তি। এই মৃত্যুর খবর জানিয়েছে মিজিমা গণমাধ্যমের চ্যানেলও।

ইয়াঙ্গুনে শিক্ষকদের একটি প্রতিবাদ মিছিল স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় মারা যান এক নারী। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ওই নারীর মেয়ে ও সহকর্মীরা। ওই নারী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয় ।

পুলিশ গুলি করেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাউইয়েও। স্থানীয় রাজনীতিক কিয়াও মিন হটিক জানিয়েছেন, সেখানে তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে।

Advertisement

দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়েও দুইজন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য মিয়ানমার নাও। সেখানে সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীদের উপর চড়াও হয় পুলিশ।

মধ্যাঞ্চলীয় বাগো শহরে পুলিশের দমনাভিযানের মধ্যে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি দাতব্য সংস্থা। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাশিও এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মায়িকেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

টুইটারে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রথম ক্যাথলিক কার্ডিনাল চার্লস মাউং বো জানিয়েছেন, মিয়ানমার যুদ্ধক্ষেত্রের মতো হয়ে গেছে। এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও কেউ সাড়া দেয়নি।

গেল এক ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় সামরিক বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী অং সান সু চি ও অন্য শীর্ষ নেতাদের। এরপর থেকেই দেশটিতে টানা বিক্ষোভ চলছে।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

এশিয়া

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো ইরান

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পরপরই আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইরান। আগামী জুন মাসের শেষের দিকে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরান সোমবার ঘোষণা করেছে, আগামী ২৮ জুন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইরানের রাষ্ট্রচালিত বার্তাসংস্থা আইআরএনএ-এর মতে, বিচার বিভাগীয়, নির্বাহী ও আইনসভা কর্তৃপক্ষের প্রধানদের মধ্যে বৈঠকের পর দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে এবং আগামী ১২ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।

Advertisement

সোমবার (২০ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, গেলো রোববার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রেসিডেন্ট রাইসির ফেরার সময় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।

পরে সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।

এই দুর্ঘটনার ফলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, সেইসাথে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমেতি এবং তাবরিজ প্রদেশের ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী হাশিমের মৃত্যু হয়েছে।

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন

Published

on

গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি,পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়াসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খান এ আবেদন করেন বলে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

করিম খান জানান, গেলো ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ মোট ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। এ কারণেই এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

এই তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন, হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তও রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা আদালতটির নেই। তবে মূল সমস্যা হলো, একবার যদি আইসিসি পরোয়ানা জারি করে— তাহলে তা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোতে সফর করা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হবে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং তালিকার অপর তিন জনের জন্য।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

নতুন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলো ইরান

Published

on

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের নতুন অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের নাম ঘোষণা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। একই সঙ্গে দেশটির মন্ত্রীসভা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আলী বাকেরি কানিকে  ভারপ্রাপ্ত  পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছে।

রোববার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি রাইসিসহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত সকলের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন দেশটি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনী। এসময়ে রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন ইরান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দেশটির সংবিধানের ১৩১ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইরানে এখন তিন সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে; সেই কাউন্সিলের প্রধান হবেন মোহাম্মদ মোখবের। কাউন্সিলের অন্য দুই সদস্য হলেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধান। এই তিন সদস্যবিশিষ্ট পরিষদের প্রধান দায়িত্ব থাকবে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা।

রয়টার্স আরও জানায়, ২০২১ সালে মোখবের প্রথমবার ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে জিতে রাইসি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। গেলো বছর অক্টোবরে মোহাম্মদ মোখবেরের নেতৃত্বে মস্কো সফরে গিয়েছিল ইরানের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। সেই সফরে রাশিয়ার কাছে ইরানের বিখ্যাত সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন বিক্রির জন্য চুক্তি হয়েছিল মস্কো ও তেহরানের মধ্যে।

Advertisement

এদিকে তাসনিম নিউজ জানায়, ২০১৫ সালের ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে দেশটির শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে  দায়িত্ব পালন করছিলেন নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি কানি।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত