মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নেবে। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের কল্যাণ করা আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মালদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মালের চাঁদনী মাগুর ইস্কান্দার স্কুল অডিটোরিয়ামে সমবেত হন। প্রধানমন্ত্রী তার আবাসস্থল থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি একটি সফল দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। অনথিভুক্ত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়টি সংলাপে প্রাধান্য পেয়েছে। হঠাৎ করে মালদ্বীপে গিয়ে যারা এখনো বৈধতা পাননি সে বিষয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে তার সরকারের এমওইউ স্বাক্ষরের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সরাসরি মালদ্বীপের মুদ্রায় যাতে দেশে পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থাও নেয়া হবে, যাতে প্রবাসীদের লোকসানের মুখে পড়তে না হয়। এখানকার বিভিন্ন দ্বীপের অভিবাসীরা যাতে নির্বিঘ্নে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে আমি বলবো। তারা এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থা করে দেবে, যাতে ডলার কিনে আবার বাংলাদেশে পাঠাতে হলে প্রবাসীদের যে লোকসান হয় সেটা বন্ধ হয়।
দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোদের জন্য বর্তমান সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে টাকা আপনারা পাঠান তার থেকেও বেশি টাকা কিন্তু সরাসরি আপনার পরিবার পেয়ে থাকে।
মালদ্বীপের সঙ্গে কানেকটিভির উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ৯৬ সালে সরকারে আসার পরই তার সরকার বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয় এবং বেসরকারি খাতে বিমান পরিচালনারও সুযোগ তৈরি করে। যে কারণে আজ একটি বেসরকারি খাতের বিমান মালদ্বীপে আসা শুরু করেছে। সরকারি বিমানে আমরা মালদ্বীপে যাতায়াতের একটা ব্যবস্থা করবো সেই লক্ষ্য আমাদের রয়েছে।
এস