দেশে এখন অলিখিত বাকশাল চলছে। বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি মিডিয়া সেল কর্তৃক আয়োজিত গণমাধ্যমের কালো দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭৫ সালে যখন বাকশাল সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়, সে সরকার সমালোচনার পথ রুদ্ধ করতে সরকারি দুটি পত্রিকা বাদে বাকি সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আর আজ বাংলাদেশে অনেক সংবাদপত্র থাকা সত্ত্বেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে পারে না।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র রহিত করা, একটি একদলীয় শাসন কায়েম করা। তার খড়গ পড়েছিল সংবাদপত্রের ওপরেও। অনেক সাংবাদিক তখন বেকার হয়েছিল, ফুটপাতে ব্যবসা করতে বাধ্য হয়েছিল। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। তৈরি করেন প্রেস ক্লাব, প্রেস কাউন্সিল, প্রেস ইন্সটিটিউট। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে আজ এতো মিডিয়া।
তিনি বলেন, বুধবার (১৪ জুন) একজন সাংবাদিককে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ করায় হত্যা করা হয়েছে। কেবল গত ১৪ বছরেই ৫৯ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার পুলিশি প্রতিবেদন ১০০ বার পিছিয়েছে। এসবের কারণে সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, এর ফলে সরকারের যারা সিন্ডিকেট রয়েছে, তারা নির্ভয়ে দুর্নীতি করতে পারছে। দেশে দ্রব্যমূল্য আজ লাগামছাড়া। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ্বালানির অভাবে লোডশেডিং বেড়েছে। ব্যাংকগুলো আজ দেউলিয়া, ডলার-পাউন্ডের সংকট। আইন করে বিদ্যুতের ওপর ইনডেমনিটি বসিয়েছে। অথচ কমার্শিয়াল সেক্টরের ওপর ইনডেমনিটি বসানোর কোনো নিয়ম নেই। এসবই সীমাহীন দুর্নীতির ফল।
https://youtu.be/29dWlzGjSIk