Connect with us

রাজশাহী

ইসি সেজে কাউন্সিলর পদপার্থীর সঙ্গে প্রতারণাকারী গ্রেপ্তার

Published

on

গ্রেপ্তার

নির্বাচন কমিশনার সেজে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এক কাউন্সিলর পদপার্থীর সঙ্গে প্রতারণাকারী চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতর নাম গিয়াস উদ্দিন। তিনি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার পুটিবিলা গ্রামের কবির আহাম্মদের ছেলে।

শনিবার (১৭ জুন) দুপুর ১টা নগর পুলিশ কমিশনারের সদর দপ্তরে কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান জানান নগর পুলিশের কমিশনার আনিসুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার জানান, নগরীর বোয়ালিয়া থানার রামচন্দ্রপুর খরবোনার বেলু শেখের ছেলে আরমান আলী রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। গত ৮ জুন সকাল ৭টায় প্রতারক গিয়াস উদ্দিন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আরমান আলীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব:) আহসান হাবিব খানের পরিচয় দিয়ে নির্বাচন সংক্রান্তে নানান কথাবার্তা বলেন। এরপর ওই প্রতারক আবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে আরমান আলীকে মোবাইলে ফোন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। প্রতারক ওই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর নিকট টাকা দাবী করেন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ না করলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ফলাফল তাঁর বিরুদ্ধে যাবে মর্মে হুমকি প্রদান করে।

পরে প্রতারক ওইদিন আবার সকাল ৮টা ২৯ মিনিট ও ১১টা ১৩ মিনিটে কাউন্সিলর পদপার্থী আরমান আলীকে মোবাইলে ফোন করে। তখন আরমান আলী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতারকের ফোন রিসিভ করেন না। কাউন্সিলর পদপার্থী আরমান আলী ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, রাজশাহী গোলাম মোস্তফার এমন অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার দিনই এ সংক্রান্তে বোয়ালিয়া মডেল থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নির্বাচন কমিশনার সেজে প্রতারণার এ ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

Advertisement

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নগর পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)-এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) জনাব বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম (বার)-এর নেতৃত্বে এবং আরএমপি’র সাইবার ক্রাইমের সহযোগিতায় ডিবি’র একটি দল সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রকে গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান শুরু করেন। এ দিকে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে প্রতারক গিয়াস উদ্দিন একের পর এক তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।

অবশেষে ডিবি পুলিশের ওই টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার শেখের টেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতা গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার রাত ১০ টায় রাজশাহীতে নিয়ে আসে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত মো: গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় প্রতারণা-সহ অন্যান্য আইনে ৩টি মামলা রয়েছে। এ প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতর সহযোগীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানানো হয়েছে।

 

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

রাজশাহী

বিয়ের একমাস না যেতেই একসঙ্গে বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে পরিবারের অমতে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেন সাজেদুল ইসলাম (২১) ও রিয়া খাতুন (১৯)। বিয়ের একমাস যেতে না যেতেই একসঙ্গে বিষপান করেন এই দম্পতি। এতে স্ত্রী রিয়ার মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্যদিকে হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন স্বামী সাজেদুল।

গেলো রোববার (৩০ জুলাই) ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

ওই দম্পতির প্রতিবেশীরা জানান, গেলো রোববার দুপুরে রিয়ার চাচী শাশুড়ি ভানু বেগম  সাজেদুলের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি রিয়া-সাজেদুলের ভালোবাসার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে রিয়াকে নানা কটূক্তিমূলক কথা বলেন এবং থুথু ফেলে বিদ্রুপ করেন। সাজেদুল বাড়ি ফেরার পর এ বিষয়টি জানিয়ে রিয়া কান্নাকাটি করেন।

এতে অপমানে আবেগতাড়িত হয়ে দুজনে একসঙ্গে দুই বোতল কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন।

পরিবারে লোকজন টের পেয়ে তাদের প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই রোববার রিয়ার মৃত্যু হয়। সাজেদুল আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

ওসি জানান, এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ঘটনা জানার পর থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আই/এ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

এবার থানার ভেতর পাওয়া গেলো রাসেলস ভাইপার

Published

on

এবার রাজশাহীর চারঘাট থানার ভিতরে মিললো বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। থানার ওসির ওয়াশরুমে সাপটিকে দেখতে পাওয়ার পরে, আতঙ্কে  পিটিয়ে মেরে ফেলে পুলিশ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজশাহীর চারঘাট মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আফজাল হোসেন জানান,  গতকাল রাতে থানা ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি রাসেলস ভাইপার সাপ শব্দ করে ওঠে। পরে থানার পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় সাপটি মেরে ফেলা হয়। এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা কুঠিপাড়া, পিরোজপুর এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা দিলেও এই প্রথম চারঘাট থানা চত্বরে দেখা গেল।

জানা যায়, ঘটনার পর পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে থানা চত্বরে কীটনাশক প্রয়োগ করে আগাছা পরিষ্কার করা হয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

বগুড়ায় আবারও ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

Published

on

বগুড়ার সুখানপুকুর রেল স্টেশনে আবারও ‘ফোর নাইনটি কলেজ ট্রেন’ লাইনচ্যুত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে  স্টেশনে প্রবেশের সময় ২ নম্বর লাইনে বোনারপাড়া থেকে সান্তাহারগামী ট্রেনটি-এর দুটি বগি লাইনচুত হয়।  তবে স্টেশনের ১ নম্বর লাইন দিয়ে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাজেদুর রহমান।

এ নিয়ে এক সপ্তাহে তিনবার ট্রেনটি লাইনচ্যুত হলো। এর আগে গেলো ২৫ জুন একবার ও ৩০ জুন একই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল।

সাজেদুর রহমান বলেন, সুখানপুকুর স্টেশনে ২ নম্বর লাইনে কলেজ ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে ১ নম্বর লাইন হয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ সচল রয়েছে।

এ বিষয়ে সুখানপুকুর রেলস্টেশনের মাস্টার আবদুল মতিন বলেন, নির্ধারিত সময়ে বোনারপাড়া থেকে সান্তাহারের উদ্দেশে ছেড়ে আসে ফোর নাইনটি কলেজ ট্রেন। নির্ধারিত যাত্রাবিরতির জন্য সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি বগুড়ার সুখানপুকুর রেলস্টেশনের ২ নম্বর লাইনে ঢুকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। বোনারপাড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসেছে। লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version