Connect with us

আইন-বিচার

কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ: বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে রিট

Published

on

কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে দল বেধে ধর্ষণের অভিযোগে বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করছেন আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া।

আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তা দাখিল করা হয়।

রিট প্রার্থনায় বলা হয়, ওই ঘটনা কক্সবাজারের দায়রা জজ বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে বিচারিক অনুসন্ধান করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

রিটে গত ২৭ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর রিট আবেদনকারীর করা আবেদন যুক্ত করা হয়েছে। আবেদনে ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে গণঘর্ষণের ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, কক্সবাজারে র্যারবের কমান্ডিং অফিসার, জেলা প্রশাসক ও টুরিস্ট পুলিশের সুপার এবং টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজিকে রিটে বাদী করা হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে নামেন ভ্রমণে আসে ঢাকার ওই নারী। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তার স্বামীর সঙ্গে আশিক নামের এক ব্যক্তির ধাক্কা লাগে। এর জের ধরেই ওইদিন সন্ধ্যায় ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায়।  প্রথমে ঝুপড়ি একটি চায়ের দোকানে এবং পরে কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ।

পরদিন ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা (২৮), রিয়াজ উদ্দিন (৩০), অজ্ঞাতনামা তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

তাসনিয়া রহমান

Advertisement

আইন-বিচার

শিশু-শিশু বললেই হবে না, একসময় এরাই হয় কিশোর গ্যাং : প্রধান বিচারপতি

Published

on

হাইকোর্ট

অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উন্নয়ন করতে হবে বলেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, ‘সমাজে অপরাধের ধরন পাল্টেছে। এখন আগের সেই সামাজিক অবস্থা নেই। তাই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উন্নয়ন (ক্রাইম কন্ট্রোল ম্যাকানিজম ডেভেলপ) করতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) আলোচিত এক হত্যা মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

এসময় কিশোর গ্যাং প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, সমাজে বেপরোয়া ‘কিশোর গ্যাং’ নিয়ে খবর হয়েছে। এক্ষেত্রে শিশু-শিশু বললেই হবে না। একসময় এরাই অপরাধে জড়ায়।

সম্প্রতি ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, নারীদের উত্ত্যক্ত করা- দেশের যেকোনো এলাকায় এখন এ ধরনের অপরাধ ঘটলে ‘কিশোর গ্যাং’-এর নাম আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমাকৃত এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী এখন সারা দেশে ২৩৭টির মতো ‘কিশোর গ্যাং’ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা শহরে, ১২৭টি। এসব গ্যাংয়ের (অপরাধী দল) সদস্য ১ হাজার ৩৮২ জন। ঢাকার পর চট্টগ্রামে রয়েছে ৫৭টি। এসব দলের সঙ্গে জড়িত ৩১৬ জন।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ডাটাবেজ প্রজেক্টের নামে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তির নির্দেশ

Published

on

হাইকোর্টে

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল হাউজ হোল্ড ডাটাবেজ (এনএইচডি) প্রজেক্টের নামে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে করা আবেদন ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবু জাফর শেখ মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে আইনজীবী আবু জাফর শেখ মানিক বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল হাউজ হোল্ড ডাটাবেজ (এনএইচডি) প্রকল্পে (জুলাই ২০১৩, ডিসেম্বর ২০২০) পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে দুদকে দায়ের করা আবেদন আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুদকের চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে ভুক্তভোগী ৭৩ জন প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। এছাড়া, অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা চেয়ে দুদকের কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনে দুদকের সাড়া না পেয়ে ১৩ মে হাইকোর্টের রিট দায়ের করেন ৭৩ জন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট শুনানি আজ

Published

on

নিপুণ

অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে চিত্রনায়িকা নাসরিন আক্তার ওরফে নিপুণ আক্তারের করা রিটের শুনানি হতে পারে আজ।

সোমবার (২০ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রিট আবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে বুধবার (১৫ মে) জমা দেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) ওঠে।

এর আগে অনিয়মের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নাসরিন আক্তার ওরফে নিপুণ আক্তার।

Advertisement

আবেদনে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা এবং অনিয়মের অনুসন্ধান চাওয়া হযেছে। নিপুণের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মঙ্গলবার (১৪ মে) রিটটি করেন।

আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে সমাজ কল্যাণ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, সংস্কৃতি সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভলান্টারি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এজেন্সি ঢাকার কর্তৃপক্ষ, শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ড, শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশন, মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে।

গেলো ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর (প্রাপ্ত ভোট ২৬৫)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫ ভোট)। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯ ভোট)। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।

আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় জানান, কিছু অনিয়ম ও জালজালিয়াতির অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন নিপুণ আক্তার। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাই তিনি ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেছেন। আবেদনে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল, নতুন নির্বাচন, অনিয়মের অনুসন্ধান এবং নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মেয়াদে সমিতিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন নিপুণ আক্তার।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত