Connect with us

বিএনপি

শেখ হাসিনার অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী

Avatar of author

Published

on

আপনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন বিদেশিদের কথায় আপনি মাথা নত করবেন না। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জনগণ রাস্তায় নামবে তখন আপনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদের রুখে দেবেন- এই জন্য মাথা উঁচু করে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, এদেশের সব জনগণ, কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-পেশাজীবীরা রাজপথে নামছে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। আপনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন বিদেশিদের কথায় আপনি মাথা নত করবেন না। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জনগণ রাস্তায় নামবে তখন আপনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদের রুখে দেবেন- এই জন্য মাথা উঁচু করে থাকবেন। যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলা হয়, রাতের ভোট দিনে করতে বলা হয়- তাহলে আপনি তাদের কাছে মাথা নত করবেন না।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (ঢাকা বার) আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সত্য কথা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- ‘আমাদের নেত্রী কথা দিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন’। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই হবে না। ওবায়দুল কাদের কি ভুলে গেছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা? সেই নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। ওই নির্বাচন আমরা দেখেছি। ওই নির্বাচনকে বলা হয় মিডনাইট নির্বাচন।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছিলেন আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আমরা দেখেছি সেই নির্বাচনে তারা একচেটিয়া নির্বাচন করেছে। অনেক বড় বড় দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারপরে বললেন আমরা একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন করবো। তারপরে পাঁচ বছর চলে গেলো। এরপর ২০১৮ সালে মধ্যরাতে নির্বাচন করলো।

Advertisement

বিএনপির এ নেতা বলেন, ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তিনি জাতীয় বেইমান হলেন। এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে গেলেন। জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা দেশবাসী দেখেছে। অপরদিকে জিয়াউর রহমানের কথা ও কাজ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা ও কাজ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এটাও দেশবাসী দেখেছে।

রিজভী বলেন, কার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? শেখ হাসিনার অধীনে? আপনাদের মনে নেই ২০০৪ সালে শেখ হাসিনা আন্দোলন শুরু করেছিলেন কিসের জন্য? জাস্টিস কে এম হাসান- যিনি একসময় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন কয়েক মাসের জন্য। তাই তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না এটা নিয়ে শেখ হাসিনা আন্দোলন শুরু করলেন। কিন্তু আপনি শেখ হাসিনা ৪৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাহলে আপনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কীভাবে? কয়েক মাসের জন্য যিনি বিএনপির একটি সম্পাদক পদে ছিলেন তার অধীনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, তাহলে কীভাবে ওবায়দুল কাদের নিশ্চয়তা দেন আপনার অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে? কোনোদিন এটি সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আজ সবাই একমত শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তার অধীনে দিনের ভোট রাতে হয়। সেইজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি চূড়ান্ত আঘাত হানতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য।

মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

বিএনপি

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার আহ্বানে সাড়া দেয়নি সরকার : বিএনপি নেতা আমিনুল

Published

on

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার আহ্বানে সাড়া দেয়নি সরকার। আওয়ামী লীগের আক্রোশ-প্রতিহিংসার শিকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বলেছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক।

মঙ্গলবার (২৫ জুন)  রাজধানীর পল্লবীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। রূপনগর ও পল্লবী থানা বিএনপি এ মাহফিলের আয়োজন করে।

বিএনপি নেতা আমিনুল হক বলেন,খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বারবার বিদেশে নেয়ার আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি ক্ষমতাসীন সরকার। এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করবে না, এর বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে।’

আমিনুল হক আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আওয়ামী লীগের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে রাজপথে থাকতে হবে।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তারপর তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

Advertisement

শনিবার (২২জুন) থেকে মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হার্টে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত দেয়। রোববার (২৩ জুন) খালেদা জিয়ার হার্টে পেসমেকার বসানোর পর সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

আরও ১৭ জন নতুন পদ পেলেন বিএনপিতে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটিতে আরও ১৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৫ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের চেয়ারপারসন’স ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠিত হয়। কমিটির সদস্যদের মধ্যে হুমায়ুন কবির (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), সিরাজুল ইসলাম (সাবেক রাষ্ট্রদূত), তাসভিরুল ইসলাম (সভাপতি, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি)-কে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে পদমর্যাদা দেওয়া হয়।’

এ ছাড়া স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটিতে আরও ১৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তারা হলেন- আশরাফ উদ্দিন (সাবেক রাষ্ট্রদূত, ক্যানাডা), ড. এনামুল হক চৌধুরী (সিলেট), এ এন এম ওহিদ আহমেদ (সাবেক ডেপুটি মেয়র, টাওয়ার হ্যামলেটস), আনোয়ার হোসেন খোকন (আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি), রাশেদুল হক (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি), নাহিদ খান (সহ-আন্তর্জাকি বিষয়ক সম্পাদক বিএনপি), ড. তোফাজ্জল হোসেন তপু (জাপান), হাফিজ খান সোহেল (ওয়াশিংটন), এএস এম জি শাহ ফরিদ (পেনসিলভেনিয়া), বদরুল ইসলাম শিপলু (ক্যালিফোর্নিয়া), ডলি নাসির (ইতালি), ড. গোলাম ফারুক শাহিন (নিউইয়র্ক), শফিক দেওয়ান (জার্মানি), ড. শামীম পারভেজ (জার্মানি), হাজি হাবিব (ফ্রান্স), কবির আহমেদ (আয়ারল্যান্ড) ও মো. নায়েমুল বাসির (অস্ট্রিয়া)।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

সিসিইউ থেকে খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর

Published

on

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে  কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

ডা. জাহিদ জানান, ম্যাডামকে মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা দেখার পর সবকিছু পর্যালোচনা করে তাকে বিকাল ৪টা ৪৫মিনিটে সিসিইউর সব সুবিধা সম্বলিত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে গেলো ২১ জুন দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। এরপর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।

এরপর রোববার খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

Advertisement

আজ দুপুরে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের গত ১২ ঘণ্টা রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেন। এরপর সিসিইউতে খালেদা জিয়াকে বোর্ড সদস্যরা দেখতে যান। এরপর আবার বৈঠকে করে তাকে কেবিনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত