Connect with us

চট্টগ্রাম

বলৎকারের বিচার চাওয়ায় পিটুনি, গ্রেফতার ২

Published

on

লক্ষ্মীপুরে ১০ বছরের এক মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলৎকারের বিচার চাওয়ায় পিটুনির অভিযোগে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ও বলৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।  

সোমবার রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকার তামরীন ইন্টারন্যাশনাল হিফযুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

গ্রেফতার আব্দুর রশিদ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ভোলার বোরহান উদ্দিন থানার কাচিয়া ইউনিয়নের চকডোষ গ্রামের দক্ষিণ চকডোষ গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। মাসুম বিল্লাহ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক ও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের ফেনুয়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, শিশুটি তামরীন ইন্টারন্যাশনাল হিফযুল কোরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে সে পড়ালেখা করত। এ সুযোগে ঘুম থেকে উঠিয়ে রাতের অন্ধকারে খাওয়ার রুমে ডেকে নিয়ে শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ কয়েক দিন তাকে বলৎকার করে বলে অভিযোগ উঠে। বিষয়টি জানার পর শিশুর মা ও আত্মীয়স্বজন মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদকে ঘটনাটি অবহিত করে।

অধ্যক্ষ ওই ঘটনার কোনো তদন্ত না করেই ঘটনা প্রকাশ করে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন করার অভিযোগে পরদিন শিশুটিকে বেদম পিটিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে শিশুর মা ও আত্মীয়স্বজন মাদ্রাসায় এসে তাকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

Advertisement

পুলিশ এসে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আব্দুর রশিদ ও মাসুম বিল্লাহকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় দুই শিক্ষককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

শিশুটির মা বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে শিক্ষকরা খুব খারাপ কাজ করছে। আমি অধ্যক্ষের কাছে বিচার চেয়েছি। কিন্তু তিনি আমার ছেলেকে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।

চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িত দুই শিক্ষককে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একে এম ফজলুল হক বলেন, দুই শিক্ষককে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এস

Advertisement
Advertisement

চট্টগ্রাম

মহেশখালীতে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবি

Published

on

মহেশখালীর কালারমারছড়া-ধলঘাটা নৌ পথে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় যাত্রীদের মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম নষ্ট হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল ৩টায় ফিশং ট্রলারের ধাক্কায় এই নৌকা ডুবির ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কালামারছড়া ঘাট থেকে ধলঘাটার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী নৌকা। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা ফিশিং ট্রলারের সাথে ধাক্কা লাগলে যাত্রীবাহী নৌকা দু’ভাগ হয়ে সব যাত্রী সাগরে পড়ে যায়। পরে ফিশিং ট্রলারে জেলেরা তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

আরসার কাছে অস্ত্র বিক্রির দায়ে ৩ যুবক গ্রেপ্তার

Published

on

রোহিঙ্গ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র বিক্রির দায়ে ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি ওয়ান শুটারগান ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে  বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব—১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।

র‌্যাব জানায়,গ্রেপ্তারকৃতরা দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ মহেশখালী থেকে সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিরাজমান বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা সদস্যদের কাছে বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও জেলায় বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চাহিদামতো অস্ত্র সরবরাহ করতো।

চক্রটি রামু উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য তারা মহেশখালী থেকে রামুর উদ্দেশ্যে আসছিল। খবর পেয়ে রামু স্বপ্নতরী পার্কের সামনে তল্লাশি চালিয়ে গেলো ২৯ মে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মহেশখালী কালারমারছড়ার ফকিরজুম এলাকার মৃত জাফর আহমদের ছেলে তারেক মিয়া (২৮), চকরিয়া ডুলাহাজারার ডুমখালীর ফরিদুল আলমের ছেলে মো. নেজাম উদ্দিন (৩২) ও কালারমারছড়ার নুনাছড়ি এলাকার মৃত আক্কাস আলী ফকিরের ছেলে আব্দুল গফুর ওরফে গুরা মনু (৩২)।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মহেশখালী এবং চকরিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আজকের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে রামু থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কক্সবাজারে ১৭ ডাকাত আটক করলো র‍্যাব

Published

on

কক্সবাজারের খুরুস্কুল ও ঈদগাও ভাদি তলার চিকন পাতায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৭ জন ডাকাত আটক করেছে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে র‍্যাব-১৫ এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবু সালাম চৌধুরি এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে খুরুশকুলের খুলিয়া পাড়ায় অভিযানে যায় র‍্যাব। এ সময় উক্ত এলাকাস্থ কমার্স কলেজ সংলগ্ন খুরুশকুল মাঝের ঘাট রাস্তার ব্রিজের উপর ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিকালে কতিপয় ব্যক্তি র‌্যাবরে উপস্থিতি বুঝতে পেরে অন্ধকারে পলায়নের চেষ্টাকালে ডাকাত দলের ৮ জন ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়।

পরে আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন সদস্য রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছে ১টি রামদা, ৩টি ছুরি (১টি বড়), ১টি লোহার তৈরি কুড়াল সাদৃশ্য দেশীয় তৈরি অস্ত্র, ১টি এসএস পাইপ, ১টি কাঠের লাঠি, ১টি টর্চ লাইট, ৪টি অ্যান্ড্রোয়েট এবং ৪টি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- আব্দুল্লাহ খান (২৫), সৈয়দ হোছেন প্রকাশ সোনা মিয়া (২০), মো. আরিফ (২৪), সৈয়দুল করিম (২৫), আরাফাত উদ্দিন প্রকাশ সুজন (২১), খাইরুল বাশার প্রকাশ হাছান(২৬), মজিবুর রহমান(৩৩) ও মো. বাদল প্রকাশ বাহাদুর(২৮)।

Advertisement

এদিকে ওই রাতে ঈদগাঁও ভাদি তলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৯ ডাকাতকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে র‍্যাব। আটককৃতরা হলো আসিফুর রহমান আসিফ (২১), মো. আব্দুল জলিল প্রকাশ কায়সার (২২), আব্দুল্লাহ আল মুহিম (২০), মো. নাহিম (২১), সাজ্জাদ মিয়া (২১), মো. ইসমাইল উদ্দিন প্রকাশ গুরা মিয়া (২০), আব্দুল মালেক প্রকাশ মালেক (২৪), মো. পারভেজ (২৩) ও শাহরিয়াজ ওসমান হৃদয় (২০)।

উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত