Connect with us

ঢাকা

জমিদার রাজেন্দ্র বাবুর বাড়ি সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন

Published

on

ফরিদপুর জেলার সদরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইশরশি জমিদার বাড়ি সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবিতে জেলার ৩৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এলাকাবাসী একসাথে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। 

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুর ১২টায় প্রথমধাপে জমিদার বাড়ির সামনে ও দুপুর ২টায় দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে হাজার হাজার এলাকাবাসী ও সমাজ উন্নয়নমূলক সংগঠনগুলো ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।এ সময় বক্তারা বাইশরশি জমিদার বাড়িটিকে সংস্কার ও সংরক্ষণ করে বাড়িটি প্রত্নতাত্তিক, ইতিহাস ও গবেষনার কেন্দ্র  হিসেবে ঘোষণা এবং সরকারি সম্পদ হিসেবে ঘোষনা করার দাবি জানান।

এ সময় সংগঠনগুলো মানববন্ধন থেকে গণস্বাক্ষর নিয়ে জমিদার বাড়িটি রক্ষার দাবিতে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাইশরশি জমিদার বাড়িটি দীর্ঘদিন যাবৎ অযত্ন অবহেলার কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। বিভিন্ন ক্ষমতাশালীরা এই বাড়ির বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে যাচ্ছে। বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলার পায়তারা চলছে। যদি এটি সুষ্ঠভাবে সংস্কার ও সংরক্ষণ না করা হয় তাহলে এটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই এই বাড়িটি সংরক্ষণ জরুরী।

Advertisement

উল্লেখ্য বাইশরশি জমিদার বাড়িটি ফরিদপুরের জমিদার, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজ সংস্কারক রাজেন্দ্র চরন মজুমদার এর স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি। তার বংশধর শেষ জমিদার বাবু শুকুমার রায় চৌধুরী ১৯৭১ সালে আত্মহত্যা করার পর জমিদার বাড়ির লোকজন চলে যায়। এরপর থেকে বাড়িটি শূণ্য পড়ে আছে।

বাইশরশি জমিদার বাড়িটি একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা এটাকে সংস্কার করা হলে ফরিদপুরবাসী ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানতে পারবে। এছাড়াও সোমবার রাতে জমিদার বাড়িতে অবস্থান ও মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানবন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।

এস

Advertisement

ঢাকা

মাইক্রোবাসের ওপর উল্টে গেল ধানবোঝাই ট্রাক

Published

on

ধানবোঝাই

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে মাইক্রোবাসের ওপর উল্টে গেছে ধানবোঝাই একটি ট্রাক। এতে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়।

বুধবার (২৬ জুন) ভোর ৫টার দিকে ৩২ নম্বর (রাসেল স্কয়ার) মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন দু’টি সরিয়ে নিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তব্যরত পুলিশ জানায়, ভোরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মাইক্রোবাসটি পান্থপথের দিক থেকে এসে রাসেল স্কয়ার মোড় পার হচ্ছিল। এসময় শ্যামলী-আসাদগেটের দিক থেকে আসা ট্রাকটি সাইন্সল্যাবের দিকে যাওয়ার জন্য রাসেল স্কয়ার মোড় পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এরপরই মাইক্রোর উপর ট্রাকটি উল্টে যায়।

ধানের বস্তাসহ ট্রাকটি উল্টে গেলে বস্তা থেকে ধান সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়। পরে স্থানীয়রা ও পুলিশ সড়কে পড়ে থাকা ধান সরিয়ে নেয়। এরপর গাড়ি দুইটিকে রেকার লাগিয়ে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার সময় যানবাহন দু’টিতে চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তারা অক্ষত আছেন।

Advertisement

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

‘আমাকে আর মারবেন না’ বলে আঁতকে উঠে শিশুটি!

Published

on

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে ১১ বছরের এক শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের কারণে শিশুটি এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। কেউ সামনে গেলেই ‘মারবেন না’ বলে চিৎকার করে উঠছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াছিন আরাফাত (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, দেউলভোগ সবুজহাটি এলাকার ইমান আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া কাঠমিস্ত্রি সাগর হাওলাদারের ছেলে নাহিদকে (১১) মোবাইল ফোন চোর অপবাদ দিয়ে সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাসার সামনে থেকে একই এলাকার মোস্তফা জামানের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত, তার বন্ধু রিয়াদ, শাহাদাৎ, শিহাবসহ বেশ কয়েকজন মিলে ধরে নিয়ে যায়।

ইয়াছিন আরাফাত ও তার লোকজন মিলে নাহিদকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গাছের ডাল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে। খবর পেয়ে নাহিদের বাবা-মা ছেলেকে উদ্ধারের জন্য গেলে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে তারা মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য নাহিদকে উলঙ্গ করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। গ্যাস লাইটের আগুনে চাবি গরম করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছ্যাঁকা দেয়।

Advertisement

তারা দিনভর নাহিদকে আটকে রেখে নির্যাতন করতে থাকে। নাহিদের বাবা-মা অস্থির হয়ে বেশ কয়েকবার ছেলে উদ্ধারের জন্য ইয়াছিনদের বাড়িতে গিয়ে হাতে পায়ে ধরলেও তাদের মন গলেনি। রাত ৮টার দিকে ফের নাহিদের বাবা সাগর হাওলাদার ছেলেকে আনার জন্য ইয়াছিনদের বাড়িতে গেলে দেখেন সেখানে নাহিদ নেই। পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয়রা নাহিদকে সুবজহাটি রাস্তা থেকে উদ্ধার করে তার বাবা-মাকে খবর দেন। নাহিদের বাবা-মা ছেলেকে নিয়ে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদকে ঢাকার সলিমুলস্নাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

স্থানীয়রা জানায়, ইয়াছিন আরাফাত, রিয়াদ, শাহাদাৎ, শিহাবসহ এই গ্রুপটি বিএনপি নেতা ইদ্রিস শেখের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় নানা অপকর্ম করে থাকে।

শ্রীনগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজা পারভীন চৌধুরী বলেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের কারণে শিশুটি এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। কেউ কাছে গেলেই ‘আমাকে আর মারবেন না, মারবেন না’ বলে চিৎকার করে উঠছে। শ্রীনগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিস ছেলেটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।

এই ঘটনায় সাগর হাওলাদার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, শিশুটিকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা অমানবিক। পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নিয়ে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রাসেলস ভাইপার জমা দিয়ে পুরস্কার পেলেন ৩ জন

Published

on

নাটকিয়তার পরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া জমা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদপুরের ৩ জন।  ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এ পুরস্কার তুলে দেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই তিন ব্যক্তির হাতে পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ইশতিয়াক।

পুরস্কার পাওয়া আজাদ শেখ বলেন,তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। কথা রাখার জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ।

রেজাউল করিম বলেন, এই ৫০ হাজার টাকা তাঁর পরিবারে খুব কাজে লাগবে। পাশাপাশি সাপুড়ে না হয়েও সাপ ধরে যে টাকা পেলেন এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী ওই তিন ব্যক্তিকে পুরস্কারের ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে। পাশাপাশি সাপ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে গেলো ২০ জুন রাসেল ভাইপার মারতে পারলে তার বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে একদিনের মাথায় সে ঘোষণা পরিবর্তন করে নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরে বন বিভাগে জমা দিলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।

নাটকিয়তার এখানেই শেষ নয়,  গেলো ২৪ জুন সন্ধ্যায় আগের সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেয় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। তবে এর আগেই পুরস্কারের আশায় জীবিত তিনটি রাসেলস ভাইপার নিয়ে যান ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম, আজাদ শেখ ও শাহজাহান খান। সে সময় বনবিভাগ থেকে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র না থাকায় তাদেরকে পুরস্কারের টাকা দেয়া হয়নি।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করার আগে যারা জীবিত সাপ জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, জীবন্ত ৩টি  রাসেলস ভাইপার ফরিদপুর বন বিভাগের প্রহরী মো. জাহিদুল ইসলাম  আজ বিকেলে খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে  পৌঁছে দেন।

আই/এ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত