বিএনপি তার সমাবেশের অনুমতি শেষ পর্যন্ত পাবে কি না-সে প্রশ্নের সুরাহা হওয়ার আগেই রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়কে ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কার্যালয়ের দুই পাশে রাস্তায় জলকামান ও রায়ট কারসহ এপিএসসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পল্টন জামে মসজিদের সামনে পুলিশ সদস্যদের একটি দল অবস্থান করছে। সেখানে একটি জলকামান রয়েছে। কার্যালয়ের উত্তর পাশে পুলিশের আরেকটি দল রয়েছে। সেখানে একটি জলকামান ও একটি রায়ট কার রয়েছে। কার্যালয়ের উল্টো দিকে রাস্তায় পুলিশ সদস্যদের আরেকটি দল অবস্থান করছে। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ফাঁকা। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ দেখা যায়।
বিএনপি আগামীকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। পুলিশ তাদের ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পাশে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছে। বিএনপি কোথায় সমাবেশ করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা রাতে ব্রিফিং করতে পারে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে নয়াপল্টনে জলকামান ও পুলিশের বিপুল উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি, তাই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
বিএনপি ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করে। সেখানেই ২৭ জুলাইয়ের মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে বিএনপি গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়ে ঢাকার নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার আগ্রহের কথা জানায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের অবজারভেশন রয়েছে। আমরা বিএনপির প্রতিনিধিদলকে গোলাপবাগ মাঠ দেখতে বলেছি।
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বৃহস্পতিবার শান্তি সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। শুরুতে মৌখিকভাবে তাদের সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হলেও পরে নিষেধ করা হয়। সে জন্য তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে।