Connect with us

বাংলাদেশ

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে নানা উদ্যোগ

Published

on

ভিক্ষে নয়, কর্মের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন চায় কুড়িগ্রামের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। করোনাকালীন অসহায় জীবনযাপন করা এসব মানুষ চায় সামাজিক মর্যাদা ও কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবন। এ পরিস্থিতিতে তাদের কর্মমুখী পরিবেশে সম্পৃক্ত করতে নেয়া হয়েছে উদ্যোগ। 

স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন এএফএডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট) তাদের ব্যবসায় যুক্ত করতে উপকরণসহ দোকানঘর তৈরি করে দিয়েছে। আর পণ্য বিক্রির মাধ্যমে শুরু হয়েছে তাদের নতুন কর্মক্ষেত্র। 

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিলুফা সুলতানা, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম ফেরদৌস, সদর ইউএনও রাসেদুল হাসান, এএফএডির প্রধান নির্বাহী সাঈদা ইয়াসমিন রুপা, তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মো. আবু আজাদ রানা প্রমুখ।

কুড়িগ্রাম জেলায় প্রায় শতাধিক তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী রয়েছে। এদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ জন বসবাস করে শহরের ধরলা ব্রিজ সংলগ্ন উত্তর মরাকাটা ওয়াপদা বাঁধে। করোনাকালে তাদের উপার্জন থমকে গেছে। প্রকাশ্যে চেয়ে-চিন্তে অর্থ চাইতে গেলেই লোকজন ভয়ে সটকে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে এ জনগোষ্ঠীকে আয়মূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কাপড়ের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও দোকানঘর নির্মাণ করে দেয় স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট (এএফএডি) নামের একটি সংগঠন। তারা দেশি-বিদেশি বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে ডোনেশন নিয়ে তহবিল সংগ্রহ করে দাঁড়ায় তাদের পাশে। 

দোকানঘর ও উপকরণ পেয়ে খুশি তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মো. আবু আজাদ রানা। তিনি বলেন, আমরা ভীষণ সম্মানিত বোধ করছি। আমরা মানুষের কাছে ভিক্ষে নয়, সম্মানজনক কাজ চাই। কাজের মাধ্যমে সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। এছাড়া পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নদের নিয়ে আমরা কোনোভাবে আশ্রয় নিয়ে আছি। আমাদের জন্য বাসস্থান করে দিলে খুবই ভালো হয়।

Advertisement

স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন এএফএডির প্রধান নির্বাহী সাঈদা ইয়াসমিন রুপা জানান, জার্মানভিত্তিক মাল্টিজার ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ চ্যাপ্টরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও রিজিওনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মারেন পিচ কুড়িগ্রামে কাজ করতে এসে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

তারই আগ্রহে আমার সংগঠনের সহকর্মী ও দেশীয় এনজিওর বন্ধুদের টোকেন ডোনেশন দিয়ে এ তহবিল সংগ্রহ করে দোকানঘর ও উপকরণ কিনে দেয়া হয়। যাতে তারা মানুষের দারস্থ হতে না হয়। এজন্য একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে সামাজিকভাবে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে। তাদের জীবন-জীবিকা পরিবর্তন করে তারা যেন কর্মক্ষম হতে পারে সেজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করতে এসে বলেন, বেসরকারি সংগঠন এএফএডি তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এরা যদি ব্যবসা ভালোভাবে পরিচালিত করতে পারে, তাহলে তাদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করা হবে।

এস

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

গাজায় গণহত্যা নিয়ে ডয়েচে ভেলেকে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির আহ্বান

Published

on

গাজাতে মানবাধিকারের যে লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে সেটার ওপর আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র  ডয়েচে ভেল বানিয়ে দিক। তার মাধ্যমে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করুক এবং একইসাথে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক। আর যদি সেটা তারা করতে না পারে তাহলে আমরা ধরে নেবো বাংলাদেশকে নিয়ে ডয়েচে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে। বললেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনে সম্মেলন কক্ষে  এক কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিকট অতীতে ডয়েচে ভেলে মানবাধিকার নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছে, যেখানে শ্রীলঙ্কা, যে দেশ কিছু দিন আগেও গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করেছে তার সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করা হয়েছে। তিনি এটির সমালোচনা করবেন না। মানবাধিকার নিয়ে যে কোনো সংস্থার অঙ্গীকারের তিনি প্রশংসা করেন। তবে তিনি আহ্বান জানাবেন ডয়েচে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি এত অঙ্গীকার থাকে সেটার প্রমাণ তারা দিক।

তিনি বলেন, একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তার অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এ দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অবিশ্বাস্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার শক্ত নেতৃত্বে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা যখন বিশ্বমঞ্চে আমাদের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছি, তখন এক ধরনের আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র সরকার লক্ষ্য করছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, তথ্য কমিশন বাংলাদেশ,ইউএস এইড, দি কার্টার সেন্টার কতৃক যৌথভাবে আয়োজিত এ কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎহীন সিলেট, ব্যাহত মোবাইল নেটওয়ার্ক

Published

on

উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমেল স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এখন সিলেটে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৭ মে সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয় সিলেটে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিলো।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সিলেটে প্রায় সাড়ে তিন লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন আছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির।

এ প্রকৌশলী জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হওয়া ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহকদের চাহিদা ছিল ১৯৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহ ছিল মাত্র ৭৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সিলেট বিভাগে গ্রাহক আছেন প্রায় সাড়ে ৭ লাখ।

স্থানীয়রা জানান, প্রবল বৃষ্টির কারণে নগরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা কেউ ঘর থেকে বের হননি। তবে চাকরিজীবীদের ভোগান্তি মাথায় নিয়েই নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে।

অন্যদিকে স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেও ঝড়-বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তবে পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থীকে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বিদ্যালয়ে যেতে দেখা গেছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যে জেলায়

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুর জেলায়। এসময়ে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ৫৭ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব।

তিনি বলেন, সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ১২৯ মিলিমিটার। এরপরও একটানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চাঁদপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ বিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় ৩০ ঘণ্টা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত