Connect with us

আইন-বিচার

বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রাস্তাঘাটে বক্তব্য সমীচীন নয় : আপিল বিভাগ

Avatar of author

Published

on

হাইকোর্ট

বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রাস্তাঘাটে মন্তব্য করা, বক্তব্য দেয়া সমীচিন নয়। বলেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। ওই আপিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। বিচারাধীন একটা বিষয়ে এভাবে রাস্তাঘাটে মন্তব্য করা, বক্তব্য দেয়া সমীচিন নয়। এরপর আদালত খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করেন। আগামী ২৪ আগস্ট তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে আপিল বিভাগে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন সর্ব্বোচ আদালত। এছাড়া বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

গেলো ৩ আগস্ট বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্যে ওই তিনি খালেদা জিয়ার মামলায় হাইকোর্টে রায়দানকারী বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। শুধু বিরূপ মন্তব্য করেই উনি থেমে থাকেননি বিচারের রায় নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করেন। মেয়রের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। বিষয়টি নজরে আসায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সমিতির সদস্য শফিক রায়হান শাওন, মাহফুজুর রহমান রোমানসহ চার আইনজীবী। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

Advertisement

আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করেন আইনজী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, এভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের একজন বিচারপতি ও মামলার রায় নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য ধৃষ্টতা ছাড়া কিছুই নয়। এটা আপনাদের বিবেচনায় নেয়া উচিত।

অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ইনায়েতুর রহিম আপিল বিভাগের বিচারক। একজন বিচারপতি সম্পর্কে মেয়র যে ভাষায় গালিগালাজ করেছেন তাতে কোর্টের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, রায় হয়েছে তাতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। তাই বলে রায় নিয়ে এভাবে বিরূপ মন্তব্য করা যায় না। যদি এ ধরনের ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে কোর্টের প্রতি জনমনে আস্থার ঘাটতি দেখা দেবে।

মেয়রের পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, পাবলিক মিটিংয়ে সে এই বক্তব্য রেখেছে। উনি তার বক্তব্য সম্পর্কে জ্ঞাত। উনি এটা কনটেস্ট করতে চান না। বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

শুনানি শেষে আপিল বিভাগ মেয়রকে তলবের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আইন-বিচার

রোববার কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি, বিশেষ চেম্বার আদালতের আদেশ

Published

on

হাইকোর্টে

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী রোববার শুনানি হবে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ চেম্বার জজ আদালত শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।

এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, কোটা বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ রোববার সকালেই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করবে।  জনগুরুত্ব বিবেচনায় আদালত আবেদন গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

রোববার সকালেই আপিল বিভাগে দ্রুত শুনানির মেনশন করবো : অ্যাটর্নি জেনারেল

Published

on

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন

কোটা বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা রোববার সকালেই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানির জন্য মেনশন করব। আশা করছি জনগুরুত্ব বিবেচনায় আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করবেন। শুনানিতে আমরা হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইব। বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেছে দুই শিক্ষার্থী। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
দুই শিক্ষার্থী হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণসহ ৭ জন রিমান্ডে

Published

on

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে লাঠিসোঁটা ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ বিএনপির সাত নেতাকর্মীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।

রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম (৪৭), তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন (৩০), বিএনপি কর্মী শাহাদাত হোসেন (৩২), মো. টেনু (৩৮), মনির হোসেন (২৫) ও বরকত হাওলাদার (৩৭)।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে নয়াপল্টন কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে লাঠিসোঁটা, বিস্ফোরকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের তথ্য জানান ডিবিপ্রধান। এরপর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে ডিবি। পরে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Advertisement

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত