সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল হাসানকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অস্ত্রগুলো তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ এফ রহমান হল দখলে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। বললেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, উচ্চপর্যায়ের ছাত্রদলের নেতারা এখন পর্যন্ত ১১টি অস্ত্র এনেছে। এরমধ্যে চারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের এই অস্ত্র আনার পেছনের মোটিভ জানতে পেরেছি, প্রমাণ পেয়েছি। দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারাসহ কে কে জড়িত- সেটিও জানা গেছে। এটা কোনো ধরনের হয়রানি নয়। আমরা শুধুমাত্র অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও গুলশান শাখা নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে। তারই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা এলাকা থেকে হাসানকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন ও অস্ত্র কোথায় ব্যবহার হবে তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তারা নির্ধারিত মডেলের অস্ত্র পছন্দ করে অর্ডার করে আনিয়েছে। কক্সবাজার, টেকনাফ, পাবনা এবং দেশের অন্যান্য সীমান্ত এলাকা থেকে এই অস্ত্রগুলো এসেছে। তাদের মধ্যকার মোবাইলের কথোপকথন থেকে মাসুম নামের একজনের পরিচয় পাওয়া যায়। কল রেকর্ডে আরও শোনা যায়- তিনি জিসানকে বলছেন, তারা এই অস্ত্রগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ এফ রহমান হল দখলে ব্যবহার করবেন।
