Connect with us

বাংলাদেশ

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৭ জন গ্রেপ্তার

Published

on

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত হতে ১২ হাজার ৩২৩ পিস ইয়াবা, ৪৯৭ গ্রাম ৬০ পুরিয়া হেরোইন, ৫ কেজি ৭০ গ্রাম ৪০ পুরিয়া গাঁজা ৫০ বোতল ফেনসিডিল ১০ গ্রাম আইস ও ৩৬ লিটার দেশিমদ উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সকাল ছয়টা থেকে আজ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তারসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪০ টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

জাতীয়

জাতীয় ঈদগাহে ৫ স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার

Published

on

জাতীয়-ঈদগাহে-নিরাপত্তা,ডিএমপি-কমিশনার

এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামায়াতের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সারা দেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সব জামাতের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পার্কিং ও ডাইভারশন থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পেট্রোলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবের পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করবে। আশা করি, ঈদের জামাত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সারা শহরে প্রায় ২৫ লাখ পশু কোরবানি হবে। পশু কোরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে নগরবাসীকে সেই নিয়ম-কানুন মেনে চলার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনকে সহায়তা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

চামড়া ব্যবস্থাপনার জন্য এবার সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে পুলিশ ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে সেখানে কাজ করবে। কোনোভাবে যাতে চামড়া পাচার হতে না পারে, দালাল-ফড়িয়া চক্র যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব থানা কেন্দ্রিক সেই ব্যবস্থাপনা থাকবে। যে কেউ এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে আমরা তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

যারা ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে আসবেন তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনারা কোনো ধরনের দাহ্য বস্তু, বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু ও ধারালো কিছু নিয়ে আসবেন না।

তিনি আরও বলেন, ফাঁকা ঢাকায় বাইক রাইডিংয়ের নামে কেউ যেন এ মরণ খেলায় মেতে না উঠেন। আমরা অতীতে অনেক দুর্ঘটনার কথা জানি। এবার পুলিশের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে কেউ রেসিং করতে না পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের চামড়া প্রসেসিং এলাকা ঢাকা জেলার সাভারে। ঢাকা কেন্দ্রিক যে চামড়া সেগুলো কালই সেখানে যাবে। আর ঢাকার বাইরেরগুলো সাতদিনের মধ্যে সেখানে আসবে। এ কাজ যাতে সুন্দরভাবে সম্পাদন করা হয় সেজন্য ডিএমপি সহায়তা করবে।

Advertisement

চাঁদাবাজির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, অনেককেই গ্রেপ্তার করেছি। পরে এ ধরনের কাজ যারা করবেন, তারা সতর্ক হবেন এবং ভবিষ্যতে এসব থেকে তারা নিবৃত থাকবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সব সময় সর্বাত্মক ও সর্বোচ্চ ব্যবস্থাটাই নিয়ে থাকি। এবারও সেটি করা হয়েছে।

জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট থ্রেট নেই, তারপরও আমরা সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়ে থাকি- যোগ করেন তিনি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আজ দেশের যেসব জায়গায় পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

Published

on

ঈদ-উদযাপন

সৌদিসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে এবারও আগাম ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে।

রোববার (১৬ জুন) সকাল ৯ টায় সাদ্রা দরবার শরীফের মাঠে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এই জামাতে ইমামতি করেন দরবার শরীফের পীরজাদা আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। নামাজ শেষে তিনি মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এছাড়া সকাল সাড়ে ৯ টায় সাদরা হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মাঠে আরেকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে জেলার অন্যান্য গ্রামগুলোতে এই মতবাদের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করছেন। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

আরিফুল্লা চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে তারা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ঈদ ও রমজানের রোজা রেখে আসছেন। প্রথমে এসব ঈদের জামাতের লোকজন কম হলেও এখন সারা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় ঈদ উদযাপন হচ্ছে।

Advertisement

দরবার শরীফে ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লী আবদুল্লাহ জানান, মরহুম পীর সাহেবের সময়কাল থেকে আমরা এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছি। আমি মনে করি গতকাল সৌদি আরবে হজ পালন হয়েছে। আজকে তারা ঈদ উদযাপন করছে, আমরাও তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।

একদিন আগে ঈদ উদ্‌যাপন করা গ্রামগুলো হচ্ছে – হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।

সাদ্রা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্‌যাপনের এই প্রথা চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। পীরসাহেব ইন্তেকাল করলেও তার অনুসারীরা নিয়মটি মানছে। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন হয়ে আসছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উত্তরবঙ্গগামী লেনে ৮ কিমি যানজট

Published

on

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বঙ্গবন্ধু সেতুতে রাতে একাধিকবার গাড়ি বিকল ও টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। বর্তমানে গাড়ির টান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

রোববার (১৬ জুন) ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে আনালিয়া বাড়ি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট হয়। এতে উত্তরের ঘরমুখো মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস আশেকপুর এলাকায় দেখা যায়, শুধু দূরপাল্লার বাস নয়, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে মানুষ ছুটছে গন্তব্যে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার (ওসি) আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমে জানান, ভোর রাতে সেতুর ওপর যানজটের চাপ বেড়ে যায়। অন্যদিকে কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়। পরে বিকল হওয়া যানবাহনগুলো সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে যার ফলে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজটের সৃষ্টি হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত