রাজনীতি
আদালত বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে উঠে-পড়ে লেগেছে: রিজভী
![বিএনপি](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/09/News-Image-9-3.jpg)
গণতন্ত্রের পক্ষে তরুণদের যে ঢল নেমেছে তাতে স্নায়ুবিক প্রতিক্রিয়ায় বিহব্বল ক্ষমতাসীন সরকার। এতে স্বৈরতন্ত্রের ক্রমাগত বিকাশ ঘটাতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এখন চলছে নানা রকমের উদ্দেশ্য ও অভিসন্ধি। অবৈধ আওয়ামী সরকারের আদালত তাই উঠে-পড়ে লেগেছে বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভীর বলেন, নতুন নতুন মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রবাহ আটকে নেই। কারাবন্দি নেতাদের দীর্ঘদিন কারাগারে আটকিয়ে রাখার জন্য প্রহসনের আইনি প্রক্রিয়াও তারা আর অবলম্বন করছে না। এখন গায়ের জোরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে। গ্রেপ্তারসহ রিমান্ডের নামে উৎপীড়ন এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের কপালের লিখন হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে মুক্তি দেয়া হয়নি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ব্যাক ডেট দিয়ে পেন্ডিং মামলায় মুন্নাকে আটকে রাখার পর আবারও উচ্চ আদালতে রিট করলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। মুন্না এ মুহূর্তে সব মামলা থেকে জামিনপ্রাপ্ত। অথচ তাকে কারাগার থেকে বের হতে দিচ্ছে না জেল কতৃর্পক্ষ। তারা বলছে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে মুক্তির নির্দেশনা না পেলে মুন্নাকে ছাড়বে না। এ ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন নিয়ে দাম্ভিক স্বার্থপরতার পক্ষে বিচারকরা কাজ করছে। সেজন্য তারা অত্যন্ত আন্তরিকতা সহকারে জোরেসোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু নেতাকর্মীকে সাজানো মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। সাক্ষীদের শিখিয়ে পড়িয়ে তাদের জবানবন্দি নেয়া হচ্ছে। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাদের পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে এনে জোর করে সাক্ষী দেয়া হচ্ছে।
বিএনপি
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
![খালেদা-জিয়া](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/খালেদা-জিয়া.jpg)
১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বিকেলে বাসার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, পেসমেকার বসানোর পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা স্থিতিশীল। সে কারণে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়েছে। বাসায় রেখেই তাকে আগের মতো চিকিৎসা দেবেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, গেলো ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।
এর আগে গেলো বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৩ জন চিকিৎসক।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এসি//
রাজনীতি
বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-23.jpg)
রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে ১২ দিন ধরে চিকিৎসা নেয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ বিকেলে বাসায় ফিরবেন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে তার বাসায় ফেরার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে বাসায় নেয়া হচ্ছে। যেহেতু তিনি নানা রোগে আক্রান্ত, তাই হাসপাতালে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত। যদিও বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়, তবুও বাসায় চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
এর আগে রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডামের হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে। হৃদ্রোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেনটিংও করা ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে পেসমেকার স্থাপনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়। পেসমেকার হলো হৃৎস্পন্দন নিয়মিত রাখার কৃত্রিম বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করে হৃদপেশিতে পাঠায় এবং হৃদপিণ্ডের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকরা জানান, হৃৎপিণ্ডের ডান অ্যাট্রিয়াম প্রাচীরে ওপর দিকে অবস্থিত বিশেষায়িত কার্ডিয়াক পেশিগুচ্ছে গঠিত ও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট অংশ যা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়ে হৃৎস্পন্দন সৃষ্টি করে এবং স্পন্দনের ছন্দময়তা বজায় রাখে এই পেসমেকার।
শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তারপর তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন।
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে খালেদা জিয়ার সবশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন।
৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
কেএস/
আওয়ামী লীগ
তিস্তার পানির বিষয়ে মমতাকে ‘হ্যাঁ’ বলাতে হবে : কাদের
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-4.gif)
তিস্তার পানির বিষয়ে মমতাকে রাজি করাতে হবে। তিনি এতদিন না বলে আসছেন। তাকে ‘হ্যাঁ’ বলাতে হবে। না হলে ভারতের সংবিধান এটি অ্যালাও করে না। তাদের রাজ্যকে বাদ দিয়ে ভারত সরকারের এই চুক্তি করার সুযোগ নেই। বললেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তার পানির জন্য মূল সমস্যা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির সরকার। যখন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা চলছিল, তখনই গর্জে উঠেছিলেন মমতা। বলেছিলেন এই পানি তিনি দেবেন না। কোনোদিনও বাংলাদেশকে পানি দেবেন না, এটা তাঁরা দিতে পারে না। এখানে একটা সমস্যা।
তিনি বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে সবাই বলে, চুক্তি কেন হলো না। ভারত একটা ফেডারেল রাষ্ট্র। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছা করলে কোনো রাজ্য সরকারের অধীনের পানি অন্য দেশকে দিতে পারে না। এটা ভারতের সংবিধানে লেখা আছে। এর আগে যখন গঙ্গার পানি দিলো, তখনকার পশ্চিমবঙ্গের জ্যোতি বসু সরকার ছিল। তারা রাজি ছিল বলেই বাংলাদেশ পানি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, যেসব সমস্যা সমাধান হয়নি, ভারতের নতুন সরকার তা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছে। আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।
বিএনপি ভারতের দাসত্ব চেয়েছিল দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মনে আছে? নরেন্দ্র মোদী যখন ক্ষমতায় আসেন, প্রথমদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বিএনপি নেতারা ভারতের হাইকমিশনের সামনে হাজির। হাইকমিশন বন্ধ, মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির। এই হচ্ছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা ভারতবিরোধিতা করে, কিন্তু ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের ইচ্ছায় গ্যাস বিক্রি করার অঙ্গীকার করে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
- পর্যটন5 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম4 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড3 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ4 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- আবহাওয়া6 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি5 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর5 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়6 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!