Connect with us

বাংলাদেশ

নিরপেক্ষ নয়, সাহসীকে নির্বাচন কমিশনার করতে বলেছেন বিশিষ্টিজনরা

Published

on

সার্চ কমিটির ডাকা তৃতীয় বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের, সাহসী ও সৎ লোককে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টিজনরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তারা।

আজ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির সঙ্গে বিশিষ্টজনদের তৃতীয় বৈঠক হয়।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রধানমন্ত্রীকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে- এমন সৎ ও সাহসী ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনার করতে হবে। যারা নির্বাচন কমিশনার হবেন তাদেরকে দুনীতি মুক্ত হতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে। তাদেরকে সৎ ও সাহসী হতে হবে। সার্চ কমিটির কাছে আমরা এ পরামর্শ দিয়েছি।  

শাহরিয়ার কবির বলেন, কোন দল কোন নাম দিয়েছেন তা প্রকাশ করা উচিৎ হবে না। যার সাহস আছে তাকে দেখতে চাই, এমন ১০ জনের নাম দিয়েছি আমি। আমাদের তালিকায় নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদেরও নাম রয়েছে।

তিনি বলেন, সার্চ কমিটির বৈঠকে বলেছি- যে নাম এসেছে তা যাচাই-বাছাই করতে। এ জন্য সময় লাগলেও তা নিতে হবে। সময় লাগলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।

Advertisement

সাহিত্যিক মুনতাসীর মামুন বলেন, আমলাতান্ত্র থেকে বের হয়ে চিন্তা করতে হবে, সিভিল সোসাইটি থেকে করতে হবে। বাংলাদেশে কখনো গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তি পাওয়া যাবে না, নিরপেক্ষ কেউ নেই। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমি কোনও নাম প্রস্তাব করিনি।

ড. জাফর ইকবাল জানান, আলাদাভাবে কোনও প্রস্তাব ছিলো না, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ হতে হবে। নাম প্রস্তাব করলেও গোপনে করবো। সর্বজন গ্রহণযোগ্য কথাটা কঠিন, কাউকে ভয় না পেয়ে খাঁটি একজনকে নিয়োগ দিতে বলেছি, তাকেসাহসী, নীতিবান হতে হবে।

অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, আইন ও সংবিধানের আলোকে যে কাজ করবেন তাকে চাই। এখানে কোনও নিরপেক্ষতা নাই, এখানে একপক্ষ তা হলো মুক্তিযুদ্ধ, সেই দক্ষতা থাকতে হবে। ইতিহাসে যেন তার কোনও দূর্নীতি না থাকে।

বদিউজ্জামান বলেন, সবার নাম প্রকাশ করতে হবে, কোনও দল কার নাম দিয়েছে তা প্রকাশ করতে হবে। কি প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে তা জানতে চেয়েছি।

এতে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ, লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক অ্যাডিশনাল আইজিপি নুরুল আলম, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, প্রজন্ম৭১-এর আসিফ মুনির, ডা. নুজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অর্থনীতিবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ।

Advertisement
Advertisement

আবহাওয়া

বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ২৫ লাখ গ্রাহক

Published

on

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঝড়ো বাতাসে গাছ পড়ে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো। এতে করে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) এক পরিচালক নাম প্রকাশ না শর্তে গণমাধ্যমে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে ১৪টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর বিদ্যুৎ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পরপরই যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় সেই লক্ষ্যে প্রত্যেকটি সমিতির কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎহীন এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটুয়াখালী, বাগেরহাট, ভোলা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি জেলা। পটুয়াখালীতে ছয় লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাগেরহাটে ৪ লাখ ৫০ হাজার ও ভোলা জেলায় ৪ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক এবং ৩ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, আমরা জুম মিটিং করে প্রতিটি অফিসে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছি। আমরা সাধারণত তিন ধরনের প্রস্তুতি নেই, ঝড় আসার আগে ও ঝড়ের সময় এবং ঝড় পরবর্তী সময়ে করণীয়। ঝড় আসার আগে আমরা মোবাইলে চার্জ দিয়ে রাখতে বলি সবাইকে, মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করে রাখা হয়, যারা স্ট্যান্ডবাই থাকবেন, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে, ঝড়ের সময় যাতে কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হয়, সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আমরা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখছি। যাতে করে তাদের এলাকায় বিদ্যুতের তারের ওপরে গাছ পড়লে, তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সব আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন। একইসঙ্গে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ বোটের সঙ্গে কিছু রিলিফও প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে এই রিলিফ তাদের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (২৬ মে) বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রেমালে মোকাবিলার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের ধারণা, আজ রাত ৯টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে এটি আঘাত হানবে। আমাদের প্রতিটি নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। কোস্টগার্ড গত তিনদিন ধরে উপকূলের ৫৭টি স্থানে মাইকিং করছে। একইসঙ্গে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ বোটের সঙ্গে কিছু রিলিফও তারা যোগাড় করে রেখেছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে এই রিলিফ তাদের প্রয়োজন হতে পারে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে উপকূল পেরিয়ে আমাদের লোকালয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আঘাত হানবে। এ দুর্যোগে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সে লক্ষ্যে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সভা করেছি। এ সভায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস এমনকি আইজি (প্রিজন) এখানে ছিলেন। আমাদের সচিব (সুরক্ষা), অতিরিক্ত সচিবসহ (জননিরাপত্তা) যাদের প্রয়োজন ছিল তারা সবাই সভায় উপস্থিত ছিলেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাও এখানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবার কথাবার্তা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৯৯৯ সেল চালু করেছি। যেকোনো অভিযোগ বা প্রয়োজন পেলেই এই ৯৯৯-এ কল দিয়ে সেবা নেওয়া যাবে।

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবি ও র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় বিজিবির ছোট ছোট বিওপি সুরক্ষার জন্যও ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে যদি সেখানে কিছু ধ্বংস হয় সেটা এবং রিলিফ কার্যক্রমের জন্য র‌্যাব সেখানে প্রস্তুত রয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছেন তাদের নিরাপত্তার জন্য এখনই পুলিশ এবং র‌্যাব সেসব জায়গায় অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনগুলা সুরক্ষিত। সেখানেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেখানেই প্রয়োজন হবে সেখানেই এসব এলাকার লোকজনকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত থাকবে। উপকূলীয় এলাকা ও দেশব্যাপী ফায়ার সার্ভিস এই কাজগুলো করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। প্রচুর বৃষ্টি হলে পার্বত্য এলাকায় ভূমিধস হতে পারে। সেই ক্ষতি প্রতিরোধেও আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সেচ্ছাসেবীরা প্রস্তুত রয়েছে।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান হলেন হাসান মাহমুদ খাঁন

Published

on

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

রোববার (২৬ মে) রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মঞ্জুরুল করিম এর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বিমান বাহিনী প্রধানের দায়িত্বে দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হাসান মাহমুদ খাঁনকে প্রতিরক্ষা-বাহিনীগুলোর প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন-২০১৮ অনুসারে ১১ জুন, ২০২৪ তারিখ (অপরাহ্ণ) এয়ার মার্শাল পদবিতে পদোন্নতি দিয়ে তিন বছরের জন্য বিমানবাহিনী প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে বর্তমান বিমানবাহিনী প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানকে ১১ জুন থেকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত