Connect with us

জাতীয়

ভারত থেকে সাড়ে ৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন পাবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে স্যালাইনের কোনো অভাব নেই। তবে কেউ কেউ বলছে বাজারে স্যালাইনের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আমরা সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন ভারত থেকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আজকালের মধ্যে সাড়ে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন দেশে এসে যাবে। বাকিটা পরের দিন আসবে, এর বেশি লাগলেও আমরা আনার ব্যবস্থা করব। বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে ডে উপলক্ষে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগের বেশ কয়েকটি ইউনিট উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ও নারী রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এসময় তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার ভালো করে সেবা দিন। আপনাদের সেবার উপর নির্ভর করবে এই হাসপাতালে মানোন্নয়ন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, শুধু ঢাকা সিটিতে নয়, সারাদেশে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এডিস মশা সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। আপনারা জানেন, সারাদেশে দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিন আড়াই হাজার নতুন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত সাতশ মতো রোগীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সরকারের পক্ষে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা করা সম্ভব নয়, এর জন্য সামাজিক আন্দোলন করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মশা নিধনের কার্যক্রম কয়েক মাস করলে চলবে না। সারাবছর মশা নিধনের কার্যক্রম চলাতে হবে। তবেই মশা নিধন করা সম্ভব হবে। এখনও মশা বাড়ছে, তাই রোগীও বাড়ছে। এতে মৃত্যুও বাড়ছে। যে পর্যন্ত মশা না কমবে, সে পর্যন্ত মৃত্যুও কমবে না। অন্যদের দেশে ভালো করে স্প্রে করে ও সারাবছর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালায়। এরজন্য ওই সব দেশে মশাও কম, মৃত্যুও কম। আমরা এই পরামর্শ দিয়েছি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে আগামী দিনে এই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। পাশাপাশি এই বলেছি, যে সমস্ত ঔষধ তৈরি করে ও আমদানি করে ব্যবহার করে সেই ঔষধগুলো যেন সঠিক মানের হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাত্র শিক্ষকদের র‌্যালিতে অংশ নেন ও কেক কেটে এবং গাছের চারা রোপন করে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের ডে’র উদ্বোধন করেন।

এএম/

 

Advertisement

জাতীয়

বেনজীর-আজিজ প্রসঙ্গে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

Published

on

বেনজীর আহমেদ ও আজিজ আহমেদ এর অপরাধ ব্যক্তিগত। আমরা তো একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করতে পারি না। ব্যাপারটা যখন প্রকাশ্যে এসেছে, তখন দুদক তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে নিশ্চয়ই মামলা করবে। যে যতটা অপরাধ-অপকর্ম করেছে, ততটা শাস্তি পেতে হবে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার (২৯ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বেনজির ও আজিজ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি’ বলে উল্লেখ করে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, কোহিনূর – এরা কাদের সৃষ্টি? দুর্নীতি, লুটপাটের ভবন ‘হাওয়া ভবন’কাদের সৃষ্টি? তাদের বিচার কি বিএনপি করেছে? শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। সে কারণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজিরের যে ক্যারিয়ার ও পারসোনালিটি তাতে তাকে তো বাইরে থেকে কেউ এমনটি ভাবেননি, এখন যা জানছেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) ভাবেননি, কেউ ভাবেনি। আজিজ আহমেদ অত্যন্ত বিচক্ষণ ছিলেন, তার এমন ডিগ্রি আছে যা অনেক অফিসারের ছিল না।

তিনি বলেন, আজিজ আহমেদকে তার যোগ্যতার জন্য সেনাপ্রধান করা হয়েছিল। কিন্তু সে দুর্নীতি করলে তো তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বেনজীর আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের আইজিপি ছিলেন। এখন তার ব্যাপারটা… এখন এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা তো একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করতে পারি না। ব্যাপারটা যখন প্রকাশ্যে এসেছে, তখন দুদক তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে নিশ্চয়ই মামলা করবে। যে যতটা অপরাধ-অপকর্ম করেছে, ততটা শাস্তি পেতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে, সে কারণে তিনি আজকে দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। যখনই যেটা প্রকাশ পাচ্ছে… সেই করোনার সময় ফেইক হসপিটাল করে যারা অপকর্ম করেছে, তাদের কিন্তু আমাদের নেত্রী ক্ষমা করেননি। আজকেও অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি পেতেই হবে, এখানে কোনও ছাড় নেই।

হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুই কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে কি না এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চান। জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ আছে কি না আমি জানি না। নিশ্চয় তাদের কর্তব্যে কোনো প্রকার বিচ্যুতি ঘটেছে। সেখানে কী রকম সেটা আমি তো জানি না।’

কাদের বলেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট প্রয়োগ করেছেন। ভোটারের উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি ছিল। নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন অনেক তৎপর ছিল। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেও এ নির্বাচনে কোন প্রাণহানি হয়নি। নির্বাচন ফেয়ার করতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশে দুর্যোগের পরেও ভোটার উপস্থিত ছিল সন্তোষজনক। অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। আগামীকাল চূড়ান্ত পরিসংখ্যান জানা যাবে। এই নির্বাচনে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সহ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তো ভেবেছিলাম ভোটার উপস্থিতি কম হবে। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় কিছু কিছু ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও ধান কাটা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি মোটামুটি সন্তোষজনক।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

Published

on

-ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশ।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল  ৫ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি— ভূমিকম্পটি ৫.৪ মাত্রার ছিল। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৩৯ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারে।

ভূমিকম্পের সর্বশেষ আঘাত

Advertisement

সর্বশেষ গেলো ২৮ এপ্রিল (রোববার) বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। রাত ৮টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। হালকা ভূমিকম্প হওয়ায় সেসময় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ৭ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ওই সময় জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। এর উৎপত্তিস্থল পাবনা জেলার আটঘরিয়া। ওই ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

র‌্যাবের নতুন ডিজি ব্যারিস্টার হারুন

Published

on

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ। তিনি বর্তমান মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ৫ জুন হারুন অর রশিদ তার দায়িত্ব নিবেন।

আজ বুধবার (২৯ মে) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।  আলাদা আরেক আদেশে বর্তমান ডিজি খুরশীদ হোসেনকে অবসর দেয়া হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তার (হারুন অর রশিদ) বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে। বর্তমানে তিনি পুলিশ সদরদপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) পদে কর্মরত। তার আগে তিনি পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। হারুন অর রশিদ ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি এবং ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকে অসম্ভব মেধাবী হারুন অর রশীদের বাবা আহম্মেদ আলী ছিলেন ব্যবসায়ী। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ।

হারুন অর রশিদ ১৯৯৫ সালে ১৫ তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকুরি করেছেন। পুলিশ সদরদপ্তরে ডিআইজি লজিস্টিক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি হন। কর্মজীবনে পুলিশি সেবা আধুনিকায়ন যেমন- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, অনলাইন জিডি, বিডি পুলিশ হেল্প লাইন এবং সিআইএমএস-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ছিলেন ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ।

ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি থাকাকালীন তিনি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পান। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম পেয়েছেন।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত