Connect with us

এশিয়া

ভিয়েতনামে ভবনে ভয়াবহ আগুন, নিহত ১২ জন

Avatar of author

Published

on

ভিয়েতনামে আগুন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামের রাজধানী হানোইয়ে একটি নয় তলা ভবনে ‘বড়’ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর এ আগুনে পুড়ে ১ ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি’র (ভিএনএ) দেয়া তথ্য মতে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ভবনটিতে আগুন লাগে। তবে স্থানীয় সময় রাত ২টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে এ ঘটনায় ১১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ভবনটিতে ১৫০ জন মানুষের বসবাস ছিল। এরমধ্যে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৪ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে সরকারিভাবে এখনো হতাহতের খবর জানানো হয়নি।

Advertisement

এদিকে ভবনটিতে যখন আগুন লাগে তখন সেটির বাসিন্দারা বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে যারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন, তারা চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি। কারণ ভবনটিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য মাত্র একটি দরজাই ছিল। এটির জানালাগুলো লোহার গ্রিল দিয়ে আটকানো ছিল এবং ভবনটিতে কোনো জরুরি বহির্গমন দরজা ছিল না।

যে ভবনে আগুন লেগেছে সেখানকার এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘সাহায্য চাওয়া অনেক মানুষের চিৎকার শুনতে পাই। কিন্তু আমরা তাদের খুব বেশি সাহায্য করতে পারিনি। ভবনটি এতটাই বদ্ধ ছিল যে, বের হওয়ার কোনো রাস্তাই ছিল না। হতাহতদের বের হয়ে আসার কোনো সুযোগ ছিল না।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি ঘুমাতে যাচ্ছিলাম, তখনই পোড়া গন্ধ পাই। বাইরে বের হয়ে আমি আগুন দেখতে পাই।’

এ নারী আরও বলেছেন, ‘সব জায়গায় ধোঁয়া ছিল। উঁচু একটি তলা থেকে একটি শিশুকে নিচে ছুড়ে দেওয়া হয়। আমি জানি না ওই শিশুটি বেঁচে আছে কি না। যদিও অনেকে ম্যাট্রেস দিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করেন।’

টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ফায়ার ফাইটাররা সিঁড়ি এবং হোস পাইপ নিয়ে এসেছেন। ওই সময় ভবন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছিল।

Advertisement

এদিকে ভিয়েতনামের বাণিজ্যিক শহর হো চিন মিনহে গেলো বছর একটি তিন তলা ভবনে আগুন লেগে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

 

Advertisement

এশিয়া

ফিলিপাইন-তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞের পর চীনে আঘাত হানলো টাইফুন গায়েমি

Published

on

 

সাগরে সৃষ্ট টাইফুন গায়েমি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এটি এবার চীনে আঘাত হেনেছে। চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৮ কিলোমিটার গতিতে ঝড়টি আছড়ে পড়ে।এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে আছড়ে পড়েছে টাইফুন গায়েমি। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

টাইফুন গায়েমি’র ফলে ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সংযোগ সড়ক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এরমধ্যেই ঝড়ের কারণে সব ফ্লাইট বাতিল ও ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

এছাড়াও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে ফুজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

Advertisement

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ জনে। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯০ হাজার ৪০৩ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা তিনটি ‘গণহত্যায়’ ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৪৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

থামছে না ইসরাইলি বর্বরতা, নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থামছে না ইসরাইলি বর্বর হামলা। সবশেষ হামলায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৮ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা দুটি ‘গণহত্যায়’  ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৯৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। এখনো উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত,  গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

জেডএস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত