Connect with us

রাজশাহী

নৌকার প্রার্থী হতে চান সাবেক ভূমি মন্ত্রীর ছেলে কনক

Avatar of author

Published

on

মন্ত্রী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা ৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ভূমিমন্ত্রী  ভাষা সৈনিক, ৭১ এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, পাঁচবারের জাতীয় সংসদ সদস্য, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের অমৃত সভাপতি, প্রয়াত জননেতা শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সন্তান, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সাকিবুর রহমান শরীফ কনক।

৫২ টিভিতে একান্ত সাক্ষাৎকারে আমরা ওনার  কাছে জানতে চেয়েছি,  আসলে তিনি কেনো পাবনা ৪ আসনের নমিনেশন প্রত্যাশী। কি কি লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে চান। এবং সাধারণ জনগণের জন্য কি করতে চান। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণদের নিয়ে কোন ভাবনা আছে কিনা। ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার মানুষের  উন্নয়নে বাবার অসম্পূর্ণ কাজ রয়েছে কিনা। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মানুষের কল্যাণে কি করতে চান।

এসব প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাকিবুর রহমান শরীফ (কনক) ৫২ টিভিকে জানান, ‘জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। আমার প্রয়াত বাবার দেখানো পথ অনুসরণ করেই করোনার সময় থেকে ১ লাখেরও বেশি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে খাদ্য, শীতের সময়গুলোয় কম্বল, ঈদ, পূজা-পার্বণে শাড়ি-লুঙ্গি, নগদ অর্থ উপহার দিয়ে পাশে থেকেছি। এ ছাড়া করোনার কঠিন সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে ২০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার, পিপিই, স্যানিটাইজার, ডাক্তার সেবা ও ওষুধ নিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মানুষকে সেবা দিয়েছি। সামাজিক সব ধরনের কর্মকান্ডে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সম্পৃক্ত রয়েছি। বাবা আমার রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু। তার সঙ্গে থেকেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড তথা জনগণের ভিতরে কিভাবে পৌঁছাতে হয় সেটা শেখার চেষ্টা করেই রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণা করেছি। তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভূমিকা রাখতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য তাদেরকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে, খেলাধুলায় সম্পৃক্ত থাকতে হবে, কর্মসংস্থান এর ক্ষেত্রে তাদের মেধা কাজে লাগাতে কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করতে চাই। আধুনিক  রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান, মানসম্মত চিকিৎসা, পরিবেশবান্ধব বাসস্থান করে সারাদেশের কাছে একটি সুশৃঙ্খল মডেল শহরে পরিণত করতে চাই। আমার প্রয়াত বাবা জনাব শামসুর রহমান শরীফ ডিলু সারাজীবন ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার মানুষের জন্য ভেবেছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার উন্নয়নের ধারা তার হাতেই গড়া। এজন্যই এই অঞ্চলের মানুষ তাদের ভালোবাসার প্রতিদানে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে পাঁচবারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার উন্নয়ন ঘিরে। তিনি সাধারণ মানুষকে সবসময় ভালোবাসতেন বিপদে আপদে পাশে থাকতেন এবং দুস্থ মানুষদের স্বাবলম্বী করতে আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। তার সবচেয়ে বড় গুন তিনি সব শ্রেণীর মানুষের সাথে সাধারণভাবে মিশে যেতেন তাদের দুঃখ কষ্ট বুঝতেন এবং শুনতেন। আমার বাবার আদর্শ ও স্বপ্নকে লালন করেই ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমি যদি মনোনয়ন না পাই, তবুও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভূমিকা রাখতে, ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার মানুষ  আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন এটা আমার বিশ্বাস। এই আসনে বাবা থাকতে বিএনপি জামায়াত কখনো তাদের অবস্থান মজবুত করতে পারেনি। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।

Advertisement

রাজশাহী

পুলিশকে কামড় দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

Published

on

রাজশাহীর মোহনপুরে উপজেলায় পুলিশের দুই নারী কনস্টেবলকে কামড় দেয়ার ঘটনায় নব-নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মোহনপুর উপজেলা চত্ত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) হরিদাস মন্ডল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গেলো সোমবার রাতে বাকশিমইল  কাঁচা বাজারে দুই নারী কন্সটেবল সাথী রানী শীল , শান্তনা মহান্ত  বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন । এ সময়ে সাথীর হাতে ক্যানুলা দেখে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা  জিজ্ঞাসা করেন সাথী রানী শীলের হাতে কী হয়েছে। তারা দুজন কথা না বলে সেখান থেকে চলে আসার চেষ্টা করলে হাবিবা গালাগাল শুরু করেন।

এসময় ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা তাদের বলেন মোহনপুর থানায় চাকরি করতে হলে তার কথার জবাব দিতে হবে। তিনি দুই পুলিশ সদস্যকে তুই সম্বোধন করে কথা বললে দুই পক্ষের  মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে হাবিবা দুই কনস্টেবলকে লাথি মারেন। এর মধ্যে শান্তনা মহান্তর বাম হাতের কবজিতে কামড় দিয়ে আহত করেন ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা। হাবিবার হামলায়  কনস্টেবল সাথী রানী শীল আহত হন।

Advertisement

এ ঘটনায় আহত নারী কনস্টেবল শান্তনা রানী মহন্ত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে। পুলিশ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হাবিবা বেগমকে আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

রাজশাহীতে আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ, হাতবোমা বিস্ফোরণ

Published

on

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। রাজশাহীতে এ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আন্দোলনকারীরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় প্রায় ১০ টি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে  শুরু হওয়া সংঘর্ষে রাজশাহী জিরোপয়েন্ট, রাণীবাজার, অলোকার মোড়, নিউমার্কেট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় ।

জানা যায়,  পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর জিরো পয়েন্টে এর দিকে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের সামনে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি বড় পিকআপ  ভাংচুর করে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী সরকারী মহিলা কলেজের দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।  পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে লাঠি চার্জ  করে। এতে পুলিশের ৫ সদস্য ছাড়াও  লাঠি চার্জে  বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

Advertisement

ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি বড় পিকআপ গাড়ি ভাংচুর করে। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীর আত্মহত্যা

Published

on

আত্মহত্যা

রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীও আত্মহত্যা করেছেন। গত তিনদিন আগে স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (১৮) আত্মহত্যার পর আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে স্বামী জারমান আলী (২০) আত্মহত্যা করেন। বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে এক আম বাগান থেকে সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা-ঘোরলাজ গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে সাগরিকার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঘা উপজেলার আড়ানী ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে জারমান আলীর। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল। জারমান আলী শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায়। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা লক করা। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তিনি দেখতে পন সাগরিকা তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় পুলিশ জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে।

সাগরিকার পিতা গাফফার আলী বাদি হয়ে জারমান আলী ও তার পিতা নওশাদ আলী, মা সানোয়ারা বেগম এবং ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত শনিবার জারমান আলীর বাবা নওশাদ আলী ও তার সৎ মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। আর জারমান পলাতক ছিলেন।

স্ত্রীর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে মঙ্গলবার নিজ বাড়ির ৪শ’ মিটার দুরে আম বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জারমান। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। তবে এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলছেন, কারণে অকারণে বিয়ের দেড় মাস না হতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন জারমান। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে জারমান আত্মহত্যা করেছেন। মামলার ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন এমন ধারণা করছে থানা পুলিশ।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত