Connect with us

এশিয়া

২০ বছরের মধ্যে ভিয়েতনামে ভয়াবহতম অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৫৬

Avatar of author

Published

on

ভিয়েতনামে আগুন

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে একটি বহুতল আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। এদের মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বিগত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ড এটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এনডিটিভি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় গেলো মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ১০তলা ভবনটির পার্কিং ফ্লোরে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে অনেকগুলো মোটরসাইকেল পার্ক করা ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিনিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের সন্দেহে ভবনটির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হোয়া নামে এক নারী প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সাহায্যের জন্য অনেকের চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদের বেশি কিছু করার ছিল না।

Advertisement

তিনি বলেন, ভবনটি এতটাই আবদ্ধ যে, পালানোর কোনো রাস্তা ছিল না। ফলে ভুক্তভোগীদের বেরিয়ে আসা অসম্ভব ছিল।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে ভবনটিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা গেছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ভবনটি সরু গলির মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় উদ্ধারকারীদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ভবনের নিচতলায় বেশ কিছু পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল দেখতে পাওয়া যায়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবনটিতে প্রায় ১৫০ জন মানুষ বসবাস করতেন।

হুয়োং নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের একটি উঁচু তলা থেকে এক শিশুকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, সবখানে ধোঁয়া ছিল। ওপরের একটি তলা থেকে এক শিশুকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল। আমি জানি না সে বেঁচে রয়েছে কি না। যদিও মানুষজন তাকে ধরতে একটি ম্যাট্রেস ব্যবহার করেছিল।

বুধবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন। ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিয়েতনামে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটেছে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে।

এক বছর আগে বাণিজ্যকেন্দ্র হো চি মিন শহরে একটি কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩২ জন প্রাণ হারান, আহত হয়েছিলেন ১৭ জন। পরে ভবনটির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ওই ঘটনার পরেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সব ভেন্যু পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

তার আগে, ২০১৮ সালে হো চি মিন শহরে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে ১৩ জন মারা যান। ২০১৬ সালে হ্যানয়ে একটি কারাওকে ভেন্যুতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান আরও ১৩ জন।

এভাবে একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশটিতে অগ্নিনিরাপত্তার মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Advertisement

এশিয়া

ফিলিপাইন-তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞের পর চীনে আঘাত হানলো টাইফুন গায়েমি

Published

on

 

সাগরে সৃষ্ট টাইফুন গায়েমি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এটি এবার চীনে আঘাত হেনেছে। চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৮ কিলোমিটার গতিতে ঝড়টি আছড়ে পড়ে।এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে আছড়ে পড়েছে টাইফুন গায়েমি। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

টাইফুন গায়েমি’র ফলে ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সংযোগ সড়ক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এরমধ্যেই ঝড়ের কারণে সব ফ্লাইট বাতিল ও ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

এছাড়াও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে ফুজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

Advertisement

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ জনে। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯০ হাজার ৪০৩ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা তিনটি ‘গণহত্যায়’ ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৪৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

থামছে না ইসরাইলি বর্বরতা, নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থামছে না ইসরাইলি বর্বর হামলা। সবশেষ হামলায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৮ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা দুটি ‘গণহত্যায়’  ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৯৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। এখনো উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত,  গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

জেডএস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত