আর্কাইভ থেকে পরামর্শ

স্বামীর সঙ্গে তোলা ছবি ঘন ঘন পোস্ট করলে যা হতে পারে

স্বামীর সঙ্গে তোলা ছবি ঘন ঘন পোস্ট করলে যা হতে পারে
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে মানুষ এখন নিজেদের প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিচ্ছেন ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে। কোথাও ঘুরতে গেলে সেই জায়গাটা ভাল করে ঘুরে দেখার আগেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট দেয়ার জন্য হাত নিশপিশ করে অনেকের। অনেকেই আছেন যাঁরা দাম্পত্য জীবনের নানা ছোটখাটো মুহূর্ত ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে। আপনিও কি তাঁদের মধ্যেই পড়েন? তা হলে কিন্তু একটু সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুযায়ী, যে দম্পতি সমাজমাধ্যম থেকে নিজেদের যত দূরে রেখেছেন, তাঁরা কিন্তু অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি খুশি আছেন। গবেষণায় বলা হয়েছে, যে সব দম্পতি সমাজমাধ্যমে নিজেদের ছবি বেশি পোস্ট করেন, তাঁরা তুলনায় অখুশি। ‘শটকিট’ নামে এক ফোটোগ্রাফি সংস্থার দ্বারা পরিচালিত এই গবেষণাটি ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি ২০০০ দম্পতিকে নিয়ে করা হয়েছে। দম্পতিরা সমাজমাধ্যমে কতখানি সময় কাটান, কত ছবি পোস্ট করেন সেই সব বিষয় নিয়েই মূলত সমীক্ষা করা হয়। এর পাশাপাশি দম্পতিরা একে অপরের সঙ্গে কতটা সময় কাটান, একে অপরকে কতটা বিশ্বাস করেন, তাঁরা একে অপরের কত ঘনিষ্ঠ সেই নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন করা হয়েছিল সমীক্ষায়। সেখানে দেখা গিয়েছে যে দম্পতিরা সপ্তাহে তিন বা তার বেশি বার সঙ্গীর সঙ্গে তোলা নিজস্বী সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন, তাঁরা সমাজমাধ্যমের থেকে দূরে থাকা দম্পতিদের তুলনায় ১২৮ শতাংশ বেশি অসুখী। এই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী মোট ৫২ শতাংশ দম্পতি সপ্তাহে অন্তত তিন বার সঙ্গীর সঙ্গে তোলা ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করেন, ২৪ শতাংশ মাঝেমধ্যে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সঙ্গীর সঙ্গে তোলা ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করেন, আর ৮ শতাংশ দম্পতি নিজেদের সম্পর্ক গোপনে রাখতেই পছন্দ করেন, সমাজমাধ্যমে কোনও রকম ছবি পোস্ট করেন না। সমাজমাধ্যমে নিজেদের সম্পর্কের কথা খুব বেশি চাউর করতে না চাওয়ার নেপথ্যে মূল কারণ হল ব্যক্তিগত জীবন গোপনে রাখতে চাওয়া। অবশ্য আরও একটি কারণ আছে। সেটি হল অনেকেই সমাজমাধ্যমে খুব বেশি সড়গড় নন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন স্বামীর | সঙ্গে | তোলা | ছবি | ঘন | ঘন | পোস্ট | হতে | পারে