Connect with us

এশিয়া

বৃষ্টির মধ্যে রানওয়েতে আছড়ে পড়ল প্লেন

Avatar of author

Published

on

ভারতে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় আছড়ে পড়েছে একটি যাত্রীবাহী প্রাইভেট জেট। প্রবল বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা একেবারে কমে যাওয়ার কারণে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। অবশ্য এই ঘটনায় আটজন আহত হলেও প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।

ভারতের মহরাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুম্বাই বিমানবন্দরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে অবতরণের চেষ্টা করার সময় একটি ব্যক্তিগত বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে আটজন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু (একজন পাইলট, একজন সহ-পাইলট এবং অন্যজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট)।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইকে বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন জানিয়েছে, যাত্রীবাহী ওই প্রাইভেট জেটের আট আরোহীর সবাইকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় তারা কী পরিমাণ আঘাত পেয়েছেন তা জানা না গেলেও এখন পর্যন্ত প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার পর রানওয়ে থেকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা হয় এবং বিমানবন্দরের স্বাভাবিক আবার শুরু করা হয়। দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার অবস্থা নিরীক্ষা করে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন থেকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়।

Advertisement

এনডিটিভি বলছে, দুর্ঘটনার পর মুম্বাই বিমানবন্দরে ওই রানওয়েটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম দুটি হায়দ্রাবাদে এবং পরের তিনটি ফ্লাইট গোয়াতে পাঠানো হয়।

অবতরণের সময় প্লেন আছড়ে পড়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বাই বিমানবন্দরের ২৭ নাম্বার রানওয়ের কাছে। রানওয়েটি বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল অবস্থায় ছিল এবং এর দৃশ্যমানতা ছিল প্রায় ৭০০ মিটার।

এদিকে বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অবতরণের সময় বিমানটি যথেষ্ট জোরালোভাবে মাটিতে আঘাত করছে এবং বিমানের বডিটি কিছুক্ষণের জন্য মাটিতে পিছলে সামনের দিকে চলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

এছাড়া মুম্বাই বিমানবন্দরের অন্যান্য বেশ কিছু ছবিতে রানওয়ের অনেক দূরে মেঘলা আকাশের নিচে বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। দুর্ঘটনার পরপরই প্রাথমিকভাবে পাওয়া ছবিতে বিমানের ধ্বংসাবশেষে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। যদিও জরুরি পরিষেবা পরে সেই আগুন নিভিয়ে ফেলে।

ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর মতে, দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনটি ছিল লিয়ারজেট ৪৫ মডেলের একটি বিমান।

Advertisement

কানাডাভিত্তিক বোম্বার্ডিয়ার এভিয়েশনের একটি বিভাগের তৈরি নয় আসন বিশিষ্ট সুপার-লাইট এই বিজনেস জেটটি বেঙ্গালুরু- ভিত্তিক একটি রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন সংস্থার নামে নিবন্ধিত।

Advertisement

এশিয়া

ফিলিপাইন-তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞের পর চীনে আঘাত হানলো টাইফুন গায়েমি

Published

on

 

সাগরে সৃষ্ট টাইফুন গায়েমি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এটি এবার চীনে আঘাত হেনেছে। চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৮ কিলোমিটার গতিতে ঝড়টি আছড়ে পড়ে।এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে আছড়ে পড়েছে টাইফুন গায়েমি। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

টাইফুন গায়েমি’র ফলে ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এলাকাজুড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি সেতু ও সংযোগ সড়ক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এরমধ্যেই ঝড়ের কারণে সব ফ্লাইট বাতিল ও ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিধস এবং বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

এছাড়াও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে ফুজিয়ান প্রদেশে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

Advertisement

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ জনে। চলমান এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯০ হাজার ৪০৩ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা তিনটি ‘গণহত্যায়’ ৩০ জন নিহত এবং আরও ১৪৬ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

থামছে না ইসরাইলি বর্বরতা, নিহত আরও ৮১ ফিলিস্তিনি

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে থামছে না ইসরাইলি বর্বর হামলা। সবশেষ হামলায় আরও ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৮ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা দুটি ‘গণহত্যায়’  ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৯৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। এখনো উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত,  গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

জেডএস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত